ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাউফলে দুই আবাসন প্রকল্পের ঘর গরু ছাগলের দখলে

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বাউফলে দুই আবাসন প্রকল্পের ঘর গরু ছাগলের দখলে

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ২১ সেপ্টেম্বর ॥ বাউফলের দক্ষিণ-কর্পূরকাঠী ও বটকাজল আবাসন প্রকল্পের অধিকাংশ ঘরে এখন গরু-ছাগল বসবাস করছে। জীবন যাপনের জন্য ন্যূনতম সুবিধা না থাকায় আবাসন প্রকল্পের অধিকাংশ পরিবারই ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। জানা গেছে, সিডরে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য জাপান সরকারের অর্থায়নে ২০০৮-২০০৯ সালে কালাইয়া ইউনিয়নের কর্পুরকাঠী ও নওমালা ইউনিয়নের বটকাজল গ্রামে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি আবাসন প্রকল্পের ১৮০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। এ আবাসন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের জন্য স্যানেটারি ল্যাট্রিন ও গভীর নলকূপ স্থাপন করা হলে সেগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। নলকূপে পানি উঠছে না। সরেজমিনে দেখা গেছে, দক্ষিণ কর্পুরকাঠী আবাসনের ১০০টি ঘরের অধিকাংশই এখন বসবাসের অনুপযোগী। বাসযোগ্য পরিবেশ না থাকায় অনেকে আবাসন ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। মাত্র ১৫টি পরিবার বসবাস করছেন প্রকল্প ঘরে। কোন গভীর নলকূপ সচল নেই। টয়লেটগুলো ব্যবহারে অনুপযোগী। পরিত্যক্ত ঘরগুলোর মধ্যে গরু-ছাগল ও খড়কুটা রাখছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। সন্ধ্যার পরে কোন কোন ঘরে বসে মাদকসেবীদের আসর। একই অবস্থা নওমালা ইউপির বটকাজল আবাসন প্রকল্পের (ফেইজ-২)। এখানে ৮০টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মিত হলেও বসবাস করছেন মাত্র ১২টি পরিবার। ঘরের টিন ও বেড়া মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। চুরি হয়ে গেছে পরিত্যক্ত ঘরের টিন ও লোহার এ্যাঙ্গেল ও বেড়া। ১০টি গভীর নলকূপের মধ্যে ৭টিই বিকল। রাজশাহীতে দমকল বাহিনীর ভূমি কম্পন মহড়া স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলে কী করে তা মোকাবেলা করা যায় এ নিয়ে বিশেষ ভূমিকম্প ‘মহড়া’ পরিদর্শন করেছে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে নগরীর রাণীবাজারে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ মহড়া প্রদর্শন করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ, রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহ উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম, সহ-পরিচালক আহসানুল কবীর, এবং সহ-পরিচালক (বগুড়া সার্কেল) আব্দুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন। নুরুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ ভূমিকম্পে আমাদের করণীয় কী কী তা মহড়ার মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা করেছি। ভূমিকম্পন পূর্ব, ভূমিকম্পকালীন এবং ভূমিকম্প পরবর্তী মুহূর্তগুলোতে কিভাবে আমরা সচেতন হয়ে মোকাবিলা করতে পারি এবং ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত কোন বাড়ি থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে পারি সে সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে এ মহড়ায়। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক কোন ভূমিকম্পন কখনও কখনও মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই সবাইকে সচেতন থেকে ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে। সেইসঙ্গে বহুতল ভবন নির্মাণেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দমকল বাহিনীর সদস্য ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির বেশকিছু কর্মী এ মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন। মহড়া দেখতে হাজার হাজার উৎসুক জনতা ভীড় জমান নগরীর রাণীবাজার এলাকায়।
×