নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ২১ সেপ্টেম্বর ॥ আসন্ন ঈদে যানজটের ঝামেলা কমাতে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের দুর্ঘটনা প্রবণ পাঁচ স্থানের সড়ক দ্রুত সংস্কার, প্রশস্তকরণ ও ডিভাইডার নির্মাণের কাজ চলছে। আর এ কাজ করতে অবৈধভাবে সড়ক বিভাগের মূল্যবান গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এক শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্মচারী লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বলছেন ওইসব গাছ চুরি হওয়ায় টেন্ডার সম্পন্ন হয়নি। নীলফামারী জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগ ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের দুর্ঘটনা প্রবণ পাঁটি এলাকায় দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ডিভাইডার ও চ্যানেল স্থাপন প্রকল্পের টেন্ডার আহবান করে। রংপুরের তাজ মন্জিল নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজের কার্যাদেশ পায়। পাঁচ কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে ওই সড়কের ২৯ মাইল এলাকায় ২শ’ মিটার, সালন্দর এলাকায় ২শ’ মিটার, বড় খোঁচাবাড়ি এলাকায় ৫০ মিটার, ছোট খোঁচাবাড়ি এলাকায় ৫০ মিটার এবং পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৪শ’ ৩০ মিটার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে। কিন্তু নির্মাণ কাজের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপদ বিভাগ হতে নির্ধারিত এলাকার বেশ কিছু গাছ মার্কিং ও সার্ভে করা হয়। গাছ অপসারণের জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের রাজশাহী (পশ্চিমাঞ্চল) অফিসে প্রস্তাব পাঠায়। যথারীতি সড়ক ও জনপদ বিভাগের রাজশাহী বৃক্ষ পালনবিদ অফিস হতে তাদের ওয়েবসাইটে জুলাই/১৫ মাসে নিলাম দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং অনেক ব্যবসায়ী দরপত্র কেনে। কিন্তু নিলাম পর্যন্ত অপেক্ষ না করে ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাস্তা প্রশস্ত করার অজুহাতে সরকারী দলের কতিপয় নেতার সহযোগিতায় নির্ধারিত পাঁচ স্থানের মূল্যবান আম, কাঁঠাল ও নিমসহ বিভিন্ন প্রজাতির অর্ধ শতাধিক গাছ কেটে রাতের আঁধারে বিক্রি করে দেয়। এসব গাছের মূল্য ১০ লক্ষাধিক টাকা। এরমধ্যে শুধু ২৯ মাইল এলাকায় কর্তনকৃত গাছের সংখ্যা ২৫-৩০টি এবং খোঁচাবাড়ি এলাকার ২টি আমগাছের মূল্য ৫০ হাজার টাকা। এদিকে সংস্কারের জন্য রাস্তার উভয় পার্শ্বে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বর্ষার পানি জমে পথচারীদের চলাচলের চরম অসুবিধা ঘটছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। এমনকি রাস্তার মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকলেও তা অপসারণের কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।