ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মিরকাদিমের গরু

ঢাকাইয়াদের পছন্দের শীর্ষে- মেলে রহমতগঞ্জ হাটে

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ঢাকাইয়াদের পছন্দের শীর্ষে- মেলে রহমতগঞ্জ হাটে

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল পুরান ঢাকাবাসীর কোরবানির পশু পছন্দের শীর্ষে “মিরকাদিমের ধবল গাই”। আর শত বছর ধরে এই চাহিদার জোগান দিয়ে চলেছে মিরকাদিমের খামারিরা। মিরকাদিম মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার একটি পৌরসভার নাম। প্রাচীন নদীবন্দর মিরকাদিমের খ্যাতি ছিল বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে। আর আপাত মামুলি এই জায়গার নামটি বিখ্যাত হয়ে গেছে এই ধবল গাইয়ের সুবাদে। তাদের অতি যতেœ পালিত গরুগুলো তোলা হয় পুরান ঢাকার গনি মিয়ার হাটে। সেখান থেকেই বাছাই করে কিনে নেন বনেদি ঢাকাইয়ারা। মিরকাদিমে সাদা রঙের বিশেষ জাতের গাভীগুলো লালনপালন করা হয় মূলত কোরবানির ঈদে চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখেই। ঈদের দু’দিন আগে পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জে গনি মিয়ার হাটে এসব গাভী তোলা হয়। আর বিশেষ শ্রেণীর ক্রেতারাও যেন মুখিয়ে থাকে। আগেভাগে বাছাই করে পছন্দের গরুটি কিনতে তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে এই হাটে। এবার এই হাট বসবে কাল বুধবার। সাদা রঙের গরু লালনপালন শেষে বিক্রি করে মিরকাদিমের অনেক খামার মালিকের ভাগ্য ফিরেছে। টানাটানির সংসারে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের অনেক সাধই অপূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু গরুর যতœ-আত্তিতে কোন ঘাটতি পড়ার সুযোগ নেই। দেশের আর কোথাও গবাদি পশু লালনপালনে এমনটা দেখা যাবে না। যে শ্যাম্পু নিজে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও খরচের কথা ভেবে দশবার ভাবতে হয়, সেই শ্যাম্পু দিয়ে পরম আদরে পালিত গরুকে নিয়মিত গোসল করান খামারিরা। মশার কামড় থেকে বাঁচাতে রাতে গোয়ালঘরে নিয়মিত মশারি খাটান। শীতে গরুর গায়ে চাপানো হয় বিশেষ ধরনের লেপ। আবার গরমে আরাম দিতে গোয়ালঘরে ঘুরতে থাকে বৈদ্যুতিক পাখা। খাবারের ব্যাপারেও ব্যতিক্রমী ভাবনা। নির্ভেজাল খৈল, বাছাই করা ভুসি, খুদের জাউ, ভাতের মার আর তাজা ঘাস প্রতিদিন তুলে দেয়া হয় গরুর মুখে। মাটিচাপা দিয়ে ধানের কুটা পচিয়ে এক ধরনের খাবার বানিয়ে খাওয়ানো হয় গরুকে। তবে ক্রমেই এই ঐতিহ্য বিলুপ্ত হতে চলছে। মিরকাদিমের খামার মালিক আরিফুর রহমান স্বপন জানান, মিরকাদিম ও আশপাশের প্রায় দেড় শ’ গরু এবার রহমতগঞ্জের হাটে যাচ্ছে। গেল বছর ছিল এর প্রায় দ্বিগুণ। বছর দশেক আগেও এই এলাকা থেকে প্রায় ১ হাজার গরু যেত ঐ হাটে। গোয়াল ঘুন্নী গ্রামের তৈয়ব আলী ১০০/১৫০ গরু পালন করতেন। কিন্তু তিনি কয়েক বছর আগে মারা যাওয়ার পর তার পরিবার থেকে এই গরু পালন বন্ধ হয়ে গেছে। একই গ্রামের সৈয়দ মেম্বারও ব্যাপকভাবে এই গরু পালন করতেন। তিনিও মারা গেছেন ৪/৫ বছর আগে। তার উত্তরসূরিরা এই গরু পালন করছেন। নানা কারণেই এখন মিরকাদিমের ঐতিহ্যবাহী এই গরু পালন কমে গেছে। পূর্বনগর কসবা কিল্লাপাড়া গ্রামের আরিফুর রহমান স্বপন এবার ১০টি গরু পালন করেছেন। গেল বছর ১২টি গরু পালন করে বিক্রি করেন সাড়ে ১২ লাখ টাকা। লাখ খানেক টাকা লাভ হয়। এর আগের বছর পালন করেন ২৪টি গরু। কিন্তু রাখালের অভাব এবং উপকরণের মূল্য বেশি হওয়ায় তিনি গরু এখন কম পালন করছেন। তিনি শখে ৮ বছর ধরে এই গরু পালন করছেন। তারমতে ৩০টি খামার আছে মিরকাদিমে। এর আগে মিরকাদিমের পূর্বপাড়া গ্রামের কালু ও নকলু দু’ভাই দীর্ঘদিন ধরে গরু পালন করছে। গোপালনগরের টিটু মোল্লা, নৈদিঘির পাথরের কালু মিয়া ও সালাউদ্দিন মিয়া, দুলাল মিয়া, পুকাই মিয়া, কাদির মিয়া, বিনোদপুরের লতিফ মেম্বার, রামগোপালপুরের খলিল মিয়া, কমলাঘাটের বাচ্চু সরদার, নরুল হক, টেঙ্গরের আনোয়ার হোসেন, নুরপুরের কাইয়ুম, কিল্লাপাড়া গ্রামের অলি মিয়াসহ প্রায় ৩০টি পরিবার তাদের বাড়িতে বা বাড়ির পাশে এমন খামার তৈরি করে ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। পরিবারগুলো সারা বছর এমন নিবিড় যতœ নিয়েই সাদা রঙের বিশেষ জাতের গরু লালনপালন করে। এগুলো দেশজুড়ে মিরকাদিমের সাদা গরু নামেই বিশেষ পরিচিত। স্থানীয়ভাবে বলা হয়, সাদা গাই। যুগের পর যুগ ধরে বংশপরম্পরায় মিরকাদিমের মানুষ বিশেষ ধরনের ধবধবে সাদা রঙের গাই গরু পালন করে আসছে। সাদা গরুর সুবাদে মিরকাদিম দেশের অন্যান্য অঞ্চলের অনেক মানুষের কাছেও বেশ পরিচিত। বিশেষ করে কোরবানির সময় এ নামটি উচ্চারিত হয় বেশি। ঈদের আগে আগে মিরকাদিমে গরু ব্যবসায়ীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। মিরকাদিমের গরু মানেই বাজারে ব্যাপক চাহিদা আর নিশ্চিত লাভের হাতছানি। খামার মালিক কালু মহিউদ্দিন জানান, বিভিন্ন উন্নত জাতের সাদা গাই বাছুর কিনে তা বছরব্যাপী লালনপালন করা হয়। গরু পরিচর্যায়ও নেয়া হয় বিশেষ যতœ। একেকটি গরুর শরীর ধোয়া-মোছার জন্য নতুন গামছা ব্যবহার করা হয়। এমনকি গরুর গোয়ালে বাইরের কাউকে ঢুকতে দেয়া হয় না। বর্তমানে অনেক খামার মালিক সাদা রঙের ষাঁড়বাছুর কিনে লালনপালন করছেন। তবে পুরান ঢাকাবাসীর কাছে সাদা রঙের ষাঁড়ের চেয়ে গাইয়ের চাহিদা বেশি। দামেও রয়েছে বেশ তফাত। সাধারণত সাদা রঙের একটি ষাঁড়ের দাম ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা হলে গাইয়ের দাম হবে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। অনেক সময় এই বিশেষ ধরনের পশুর সঙ্কট হলে দাম অনেকটা বেড়ে যায়। ঢাকার আদি বাসিন্দারাও অনেকে বাজারদরের দুই-তিনগুণ বেশি টাকা দিয়ে হলেও মিরকাদিমের গরু কিনে থাকে। অনেকে ব্যাপারীদের অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখে। মিরকাদিমের সাদা গাই ঢাকাইয়াদের আভিজাত্যের অংশ হয়ে গেছে। ঈদে যত গরু-খাসির মাংস খাওয়া হোক না কেন, মিরকাদিমের সাদা গাইয়ের এক টুকরো মাংস না খেলে যেন কোরবানির মাংস খাওয়াই অপূর্ণ থেকে যায়। এমনটাই মনে করে পুরনো ঢাকার বাসিন্দারা। শুধু মিরকাদিমের গরু বিক্রির জন্য রহমতগঞ্জের গনি মিয়ার হাট বিশেষভাবে সজ্জিত করা হয়। আলোকসজ্জার পাশাপাশি ওপরে টানানো হয় রং-বেরঙের সামিয়ানা। এই সামিয়ানার নিচে সাদা গরুগুলো সারিবদ্ধভাবে বেঁধে রাখা হয়। ইচ্ছা করলেই যেকোন পশুর হাটে মিরকাদিমের গরু মিলবে না। এ জন্য যেতে হবে এই গনি মিয়ার হাটে। প্রতিবছর কোরবানির ঈদের আগে নির্দিষ্ট পরিমাণ গরু ওঠে এই হাটে। এ ধরনের গরু বেচাকেনায় সংশ্লিষ্ট ব্যাপারীর সংখ্যাও সীমিত। হাটের মূল আকর্ষণ বরাবরই মিরকাদিমের গাই। দেখার জন্যও অনেকে হাটে ভিড় করে। তবে এই গরু সীমিত হওয়ায় ঢাকাইয়াদের চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। অনেকেই খালি হাতে হাট থেকে ফিরে যান। প্রতিবছর এই হাটে তিন হাজারের মতো সাদা গাই গরু তোলা হয় বলে হাটের ইজারাদার সূত্রে জানা যায়। গরুর নাম কেন মিরকাদিমের নামে হলো এমন প্রশ্ন অনেকের মনে। স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক শ’ বছর আগে ঢাকার কাছাকাছি জনপদ মিরকাদিম এলাকার লোকজন সাদা গাই পালন শুরু করেছিলেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত তা চলে আসছে। মিরকাদিমের গরুর ব্যাপারীরা যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুর প্রভৃতি এলাকা থেকে বাছাই করে সাদা গাই গরুর বাছুর কিনে আনেন। এরপর বিশেষ যতেœর সঙ্গে গরুগুলো পালন করে কোরবানির হাটে বিক্রির উপযোগী করে তোলা হয়। মিরকাদিম এলাকাটি পশুর খাদ্যের জন্য প্রসিদ্ধ। এখানে প্রচুর তেলকল ও ধানের চাতাল থাকায় সাশ্রয়ী দামে খৈল-ভুসি পাওয়া যায়। এছাড়া কৃষিপ্রধান এলাকা হওয়ায় উপকরণ সহজলভ্য। নানা কারণে সহজেই মিরকাদিমের গরু বেড়ে ওঠে। গরুগুলো নিখুঁত এবং উচ্চতায় বেশি হয়। সাধারণত খইল, কুড়া, ভুসি খাওয়ানো হয় এসব গরুকে। ঘাস খাওয়ানো হয় না। গরুগুলো বেশ সুঠাম দেহের হয়। আর মাংস বেশ সুস্বাদু। রহমতগঞ্জ ¯েপার্টিং ক্লাবের খেলার মাঠে গরুর হাটে প্রতিবছর কোরবানির ঈদের দু’দিন আগে নদীপথে ট্রলার ও জাহাজে গরু আসে। এ পশুর হাট ছাড়া মিরকাদিমের গরু রাজধানীর অন্য কোন হাটে মেলে না। এসব গরু রাখার জন্য এ হাটে নির্ধারিত জায়গা রাখা হয়। পুরান ঢাকার বড় বড় ব্যবসায়ীরা কোরবানির গরু কেনার জন্য শুধু এ হাটে আসে। ধলেশ্বরী তীরের মিরকাদিমে সতেজ আবহাওয়া, সুন্দর পরিবেশ, পরিচ্ছন্ন খামার, খামারিদের গরুর প্রতি বিশেষ যতেœর কারণেই মিরকাদিমের গরু এখন বিশেষ লোভনীয়। আর তাই এই গরু কিনতে এখন মুন্সীগঞ্জের খামারেও হানা দিচ্ছে ঢাকার ক্রেতারা। এই গরুর ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। মিরকাদিমের গরু ছাড়া কোরবানি যেন স¤পন্ন হয় না পুরান ঢাকাবাসীর। নির্দিষ্ট সময়ে খাবার পরিবেশন, পরিচ্ছন্নতা ও যতœ গাভীর চেহারাই পাল্টে দিচ্ছে। পরিষ্কার ঘরে রেখে গরুর এই পালনের বিশেষত্ব রয়েছে এখানে। দিনরাত গরুগুলোর যতœ নিতে গিয়ে বিশেষ মায়াও জন্মে খামারিদের। অল্প পুঁজি বা ঋণ নিয়ে এখানকার খামারিরা বাড়ির ভেতরে ছোট বড় খামার তৈরি করেছেন। সেখানে আকর্ষণীয় দেশীয় গরু। খামারিরা জানিয়েছেন, এ গরুগুলোর প্রতিটির দাম ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা। তবে দাম যাই হোক না কেন, গরু দেখে আকৃষ্ট হবেন যে কেউই। এছাড়া ঢাকার রহমতগঞ্জের হাটে সুঠাম দেহের আরেক জাতের মিরকাদিমের গরু পাওয়া যায়। লাল ও সাদা রঙের এই গরুগুলো দৈর্ঘ্য-প্রস্থে বিরাট। লাল বা সাদা নানান রঙের গরু রয়েছে খামারগুলোতে। তবে সাদা গরুই বেশি। অতিযতœ আর বিশেষ ধরনের খাবারের কারণে গরুগুলোর জৌলুস ছড়িয়ে পড়ে। ক্রেতাদের ভাষায়, এর মাংসও সুস্বাদু। মিরকাদিমের গরুর কদর যেমন বেশি অন্যান্য গরুর চেয়ে দামও তেমনিই বেশি। চাহিদার কারণে হাটের প্রবেশদ্বারে রাখা হয় এই গরুগুলোকে। বিক্রেতারা জানান, হাটে ওঠানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গরুগুলো বিক্রি হয়ে যায়। মিরকাদিমের বিনোদপুর স্কুলের পাশেই বসবাস আব্দুল লতিফের। তিনি এখন লতিফ মেম্বার নামে পরিচিত। পূর্ব পুরুষদের রীতি অনুযায়ী ২২ বছর ধরে সে রহমতগঞ্জের হাটে গরু নিয়ে যাচ্ছেন। একটি গরুর পেছনে কমপক্ষে ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতিটি গরুর ষাট হাজার থেকে দুই লাখ টাকা দাম ওঠে। গরুভেদে এর খরচ এবং দামের হেরফের হয়। এখানকার গরুর চাহিদা ইতিমধ্যে সারা বাংলায় ছড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে সাদা ধবল গরু আর ভুটানের বুট্টি গরুর জন্য মিরকাদিম সারা বাংলায় বিখ্যাত। এছাড়া ভারতের উড়িষ্যা, জঙ্গলি, নেপালের নেপালি গরুও এখানে লালন-পালন হয়ে থাকে। ধান-চাল আর তেলের কারখানা থাকার কারণে মিরকাদিমের ভুসি, কুড়া, খৈলসহ বিভিন্ন উন্নতমানের গরুখাদ্য খুব সহজে পাওয়া যায়। এখানকার ব্যবসায়ীরা মিরকাদিমের গরুকে মিনিকেট চালের খুদ, এক নাম্বার খৈল, ভাতের মার, সিদ্ধ ভাত, খেসারির ভুসি, গমের ভুসি, বুটের ভুসি খাওয়ান। এছাড়া গরু পালনে প্রশিক্ষিত লোক নিয়োগ করা হয়। খামারি জিন্নাহ এক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষ। তার পূর্ব পুরুষরাও এই কাছে দক্ষ ছিলেন। সে এখন সবচেয়ে বড় টিটু মোল্লার খামারে কাজ করছেন। তার কাছ থেকে অন্য খামারিও শিক্ষা নেয়। এখানকার খানদানি লোকেরা লোকজন দিয়ে কোরবানির জন্য এসব উন্নত জাতের গরু লালন-পালন করে থাকেন। যা অনেক দামে কিনে নেয় পুরান ঢাকার খানদানি লোকেরা। এছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে খাওয়ায় সুস্বাদু এই গরু কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে রহমতগঞ্জের গনি মিয়ার হাটে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অনেকে আবার আগেভাগে মিরকাদিমে এসে ব্যবসায়ীদের কাছে টাকা দিয়ে যায়। পরে ঈদের আগে তাদের গরু বুঝে নেন। কয়েকমাস ধরে লালন-পালন করে গরুর মালিককে বুঝিয়ে দেয়ার বিষয়টি বহু আগে থেকেই চালু রয়েছে। তবে দিন দিন গরুর এই ব্যবসাটিতে এখানকার ব্যবসায়ীরা উৎসাহ পাচ্ছে না। ভুসি, কুড়া আর খৈলের দাম বৃদ্ধি আর অপ্রতুল হওয়ার তারা হতাশ। তাছাড়া এর বাইরের জিনিস তারা গরুকে খাওয়ান না। এসব গরুর মাংস সুস্বাদু হওয়ার এটাই প্রধান কারণ। তাছাড়া মশারি টানিয়ে গরুকে ঘুম পাড়ানো হয়। এক কথায় গরু ব্যবসায়ীরা তাদের সন্তানের মতো করে বিভিন্ন জাতের গরু লালন-পালন করেন। আর এ কারণেই মিরকাদিমের এই গরুর ব্যাপক চাহিদা দেশব্যাপী ছড়িয়ে গেছে। খামারিরা জানান, ভারত ও ভুটানের আবাল-পশ্চিমা সাদা ষাঁড় ও সাদা গাভীর বাচ্চা কিনে আনেন মিরকাদিমের খামারিরা।
×