ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শনির চাঁদ এনসেলাডাসে তরল পানির মহাসাগর

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

শনির চাঁদ এনসেলাডাসে  তরল পানির  মহাসাগর

সৌরজগতের প্রায় শেষ প্রান্তেও রয়েছে আটলান্টিক বা প্রশান্ত মহাসাগরের মতো মহাসাগর। শনির চাঁদ এনসেলাডাসে পানি রয়েছে একেবারে পৃথিবীর মতো তরল অবস্থায়। কয়েক মাস আগে বৃহস্পতির দুই চাঁদ ‘ইউরোপা’ আর ‘গ্যানিমিদ’এ তরল পানির মহাসাগর থাকার জোরালো তথ্য হাতে এসেছিল নাসার। ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনায় নাসার জেট প্রপালসান ল্যাবরেটরির (জেপিএল) মিডিয়া সেলের পাঠানো ই-মেলে জানানো হয়েছে, ক্যাসিনি মহাকাশযানের পাঠানো ছবি থেকে দেখা যায়, শনির চারদিকে ঘোরার সময় এনসেলাডাস যেন একটু কাত হয়ে যাচ্ছে। কখনও উপগ্রহটি একটু বেশি ঝুঁকে পড়ছে বাঁ দিকে আবার কখনও বা একটু ডান দিকে। ডিমের মতো দেখতে এনসেলাডাসের পিঠটা যেমন পুরু ও শক্ত বরফের চাদরে মোড়া, তার অভ্যন্তরেও যদি পুরু ও শক্ত বরফ থাকত, তাহলে শনির কক্ষপথে ঘোরার সময় উপগ্রহটি কাত হয়ে যেত না। এনসেলাডাসের অভ্যন্তরে পানি তরল অবস্থায় থাকায় এমন হচ্ছে। নাসার পাঠানো ই-মেলে আরও বলা হয়েছে, এনসেলাডাসের দক্ষিণ মেরুর পুরু বরফের চাদরের ফাটল থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প বেরিয়ে আসার ছবি তুলেছে ক্যাসিনি। এর মধ্যে রয়েছে টুকরো টুকরো বরফের কণা ও সরল কিছু জৈব অণুও। ক্যাসিনি প্রথম যে ছবি পাঠিয়েছিল, তাতে মনে হয়েছিল, হয়তো পানির ছোটখাটো হ্রদ বা সাগর রয়েছে দক্ষিণ মেরুতে। কিন্তু পরে যে ছবি ও তথ্য মিলেছে, তাতে শনির চাঁদে মহাসাগর না-থাকলেই অবাক হতে হবে। নাসার বিজ্ঞানীদের এই গবেষণাপত্রটি আগামী সপ্তাহে বিজ্ঞান-জার্নাল ‘আইকারাস’-এ ছাপা হচ্ছে। আগামী ২৮ অক্টোবর এনসেলাডাসের আরও কাছে চলে যাবে ক্যাসিনি মহাকাশযান। তখন উপগ্রহটির অভ্যন্তরে থাকা মহাসাগরের অস্তিত্ব সম্পর্কে আরও তথ্য ও ছবি পাওয়া যাবে বলে নাসা মনে করছে। -আনন্দবাজার পত্রিকা
×