ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বেতন স্কেলে বৈষম্য দূর করার দাবিতে এবার ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বেতন স্কেলে বৈষম্য দূর করার দাবিতে এবার ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের হুঁশিয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি ঘোষিত ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে প্রকৌশলীদের সঙ্গেও মারাত্মক বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে অভিযোগ এনে তা সংশোধনের দাবি জানিয়েছে প্রকৌশলীদের সংগঠন ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি)। এ সময় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রকৌশলী নেতারা বলেন, বৈষম্য রোধে দ্রুত বেতন স্কেল সংশোধন করা না হলে রাজপথে আন্দোলনসহ কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবেন তারা। শনিবার কাকরাইলে আইডিইবি ভবনের সেমিনার হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রকৌশলী নেতারা এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইডিইবি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঘোষিত ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল না দেয়ায় গোটা জীবন অমানবিকভাবে একই গ্রেডে চাকরি করতে হবে। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বৈষম্য নিরসনে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া না হলে পর্যায়ক্রমে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, উন্নয়নকর্মী হিসেবে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিক্ষুব্ধ করে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হবে না। তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে কোনভাবে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা যাবে না। অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো সরকারকে কর্মজীবীদের মুখোমুখি দাঁড় করানোর গভীর ষড়যন্ত্র আখ্যায়িত করে সংগঠনের নেতা একেএমএ হামিদ বলেন, সরকার ও জনস্বার্থবিরোধী একটি চক্র প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সরকারের বিরুদ্ধে উষ্কে দেয়ার অপকৌশল নিয়েছে বেতন স্কেল প্রণয়নে। বেতন স্কেলে মারাত্মক বৈষম্য রেখে সাত ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব নয়। বেতন স্কেলের ১০ থেকে ২০ তম গ্রেডের ৮০ থেকে ৯০ ভাগ কর্মচারীকে ন্যায্য বেতন ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা তাদের পেশায় অবহেলা কোনভাবেই তা মেনে নেবে না উল্লেখ করে সঙ্কট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, সমৃদ্ধ দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুর চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৮ম বেতন স্কেলের ধাপ ২০ টির পরিবর্তে ১৫ বা ১৬ টি নির্ধারণ করতে হবে। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল প্রদান করে গ্রেড পরিবর্তনের সুযোগ দেয়াসহ কয়েকদফা দাবিও তুলে ধরে আইডিইবি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইডিইবির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফজলুর রহমান, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, চাকরিবিষয়ক সম্পাদক আবুল বাসার, প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান নয়ন প্রমুখ।
×