ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদিতে হাসপাতালে মর্টার হামলা ॥ দুই বাংলাদেশী নিহত

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সৌদিতে হাসপাতালে মর্টার হামলা ॥ দুই বাংলাদেশী নিহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সৌদি আরবের একটি হাসপাতালে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের মর্টার হামলায় অন্তত দুই বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এক ফেসবুক পোস্টে জানান, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে ইয়েমেন সীমান্তসংলগ্ন সৌদি আরবের জিজান এলাকার সামতাহ জেনারেল হাসপাতালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত বাংলাদেশীরা হলেন টাঙ্গাইলের নুরু ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাতেন। তারা ওই হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। এদিকে সামতাহ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ড. মিলন দুই বাংলাদেশীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে প্রথম হামলাটি হয়। মর্টার হামলায় আরও ১০ বাংলাদেশী আহত হয়েছেন। সামতাহ হাসপাতালেই তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি জানান, হতাহতরা সবাই পরিচ্ছন্নতাকর্মী। সকাল ৭টায় তাদের ক্যাম্পের ওপর মর্টারের গোলা বিস্ফোরিত হয়। স্থানটি পবিত্র মক্কা নগরী থেকে এক হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন আরব জোট ইয়েমেন সরকারের সমর্থনে সে দেশের হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে নামায় এর আগেও এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে। সৌদি আরবের হামলার জবাবে মাঝে মধ্যেই সৌদি সীমান্তে বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় হুতি বিদ্রোহীরা। ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় শিয়া হুতি বিদ্রোহীরা গত ফেব্রুয়ারিতে সরকার উৎখাত করে রাজধানী সানা দখল করে নেয়ার পর থেকেই দেশটিতে অরাজক পরিস্থিতি চলছে। ইতোমধ্যে সেখান থেকে বিদেশীদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও হুতি বিদ্রোহীদের ভূমিকার সমালোচনা করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার থেকে হুতিবিরোধী সৌদি জোটের প্রতি সমর্থনও দেয়া হয়েছে। হুতি বিদ্রোহীরা এ বছরের ২০ জানুয়ারি ইয়েমেনের ক্ষমতা দখল করে। এ সময় বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে হামলা চালায়। প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদি তখন প্রেসিডেন্ট প্রাসাদেই ছিলেন। নিরাপত্তা রক্ষীরা প্রেসিডেন্টকে এ যাত্রা রক্ষা করতে পারলেও পরে তিনি জীবন বাঁচাতে সৌদি আরবে পালিয়ে যান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মানসুর হাদিকে বৈধ রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে মনে করে। এর পর থেকে ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন আরব বাহিনী বিমান বাহিনীর ছত্রছায়ায় হুতি বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালাতে থাকে। এর প্রতিশোধ হিসেবে শিয়া হুতি বিদ্রোহীরা প্রায়ই সৌদি আরবের সীমান্তে গোলাবর্ষণ করে থাকে।
×