ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরে সাপে কাটা যুবকের দাফন নিয়ে ওঝার তুলকালাম

মৃত ব্যক্তিকে চেয়ারে বসিয়ে মন্ত্র পাঠে বাঁচানোর চেষ্টা

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মৃত ব্যক্তিকে চেয়ারে বসিয়ে মন্ত্র পাঠে বাঁচানোর চেষ্টা

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ১৭ সেপ্টেম্বর ॥ লক্ষ্মীপুরে মোঃ মাসুদ নামে এক যুবককে সাপে কামড়ের পর তার মৃত্যু নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের শাকচর গ্রামের তাজুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত মাসুদ আলম (৩৫) ওই গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মাসুদ মারা যায়নি, তিনি বেঁচে আছেন- এমন দাবি করে চরমনী এলাকার ওঝা রৌশন আলী। এরপর থেকে মৃত ব্যক্তিকে চেয়ারে বসিয়ে রেখে মাথায় থালা-বাটি, পায়ে মুরগির বাচ্চা ও কোমরে সাদা কাপড় বেঁধে তন্ত্র-মন্ত্র পড়তে থাকে ওই ওঝা। প্রথম দিন তন্ত্র-মন্ত্র চালালেও বুধবার থেকে যোগ দেয় ভোলার লালমোহনের আরও দুই ওঝা। হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করলেও ঘটনার ৩ দিন পর ওই যুবকটির মরদেহ দাফন করা হয়। সাপে কাটা রোগী ৭ দিন পর্যন্ত জীবিত থাকেন- এমন বিশ্বাস নিয়ে যুবকটির জ্ঞান ফেরাতে ঝাড়ফুঁক করা হয় দিনব্যাপী। বুধবার দিনব্যাপী উৎসুক হাজার হাজার নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী কৌতূহলী নারী-পুরুষ-শিশু একনজর দেখতে ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাপে কাটা মাসুদকে সারিয়ে তুলতে ওঝাদের খরচ দেয়ার অজুহাতে একাধিক স্থানে টেবিল বিছিয়ে টাকা আদায় করতে দেখা গেছে। তবে এ সময় প্রশাসনের কাউকে ওই এলাকায় দেখা যায়নি। জানা যায়, সোমবার রাতে মাসুদ বিলে মাছ ধরতে যান। এ সময় চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন মাসুদ পড়ে আছে। পরে তার ডান পায়ে একটি ক্ষত চিহ্ন দেখে তারা নিশ্চিত হন মাসুদকে সাপে কেটেছে। প্রথমে সদর ও পরে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে এনে মাসুদকে দাফন করার আগে গোসল করানোর কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা তাকে গোসল করাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তাদের মতে, মাসুদ জীবিত তাই তারা গোসল করাতে পারবেন না। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভিড় জমান। এ সুযোগে মাসুদের চিকিৎসা কাজে ব্যয় করার অজুহাতে ওই এলাকার একাধিক স্থানে টাকা আদায় করতে দেখা গেছে। এমন একটি স্থানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকেও দেখা যায়। স্থানীয় শাকচর ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল জানান, মাসুদকে দাফনের আগে মসজিদের ইমাম বলেছেন তিনি জীবিত। এরপর ওঝা দিয়ে তার চিকিৎসার জন্য টেবিল বিছিয়ে টাকা তোলা হয়। তবে জেলা সির্ভিল সার্জন বলেছেন, মৃত মানুষকে জীবিত করার কোন সুযোগ নেই। এটা প্রতারণা। তবে বুধবার রাত ১১টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে নিহত মাসুদের লাশ দাফন করা হয়। ঝিনাইদহে আমাদের সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক-প্রকাশকের বিরুদ্ধে মামলা নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ, ১৭ সেপ্টেম্বর ॥ দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ গোলাম সারওয়ার ও প্রকাশক এসএম বকস কল্লোলের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে আগামী ১০ নবেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। জানা গেছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর দৈনিক আমাদের সময়ে ‘আওয়ামী লীগের জেলা কমিটি ঘিরে বাণিজ্যের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যমূলক ও কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে বলা হয়েছে, কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য সাইদুল করিম মিন্টুর কাছ থেকে বিএম মোজাম্মেল হক এমপি প্রায় এক কোটি টাকা নিয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য জেলার খবরও বিভ্রান্তিকরভাবে পরিবেশিত হয়েছে। উক্ত সংবাদের কারণে জাতীয় ও আঞ্চলিক নেতাদের মানহানি করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
×