স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘এএফসি অনুর্ধ ১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্ব’-এর ‘ডি’ গ্রুপের উদ্বোধনী খেলায় স্বাগতিক বাংলাদেশকে ৫-১ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে সৌদি আরব। অথচ বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-১ গোলে সমতা ছিল এবং প্রথমে গোল করে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশই। তাহলে কিভাবে এত বড় ব্যবধানে হারল এক মাসে আগে সিলেটে অনুষ্ঠেয় ‘সাফ অনুর্ধ ১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ’- এর শিরোপা জেতা বাংলাদেশের কিশোর ফুটবলাররা। যারা খেলা দেখেছেন, তারা অবশ্যই জানেন এর উত্তরটা। এক লাল কার্ডেই সর্বনাশ হলো বাংলাদেশের। আগে গোল করেও হারতে হলো অসহায়ভাবে। দ্বিতীয়ার্ধে ৫০ মিনিটে একটি লাল কার্ডেই সব এলোমেলো হয়ে যায়। ১০ জনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। লাল কার্ড পায় বাংলাদেশের গোলরক্ষক ফয়ছল আহমেদ। এরপরই রক্ষণ, মাঝমাঠ, আক্রমণভাগ সবই তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে স্বাগতিক দলের। অনেকের মতেÑ ওই লাল কার্ডটি না পেলে জয় না হোক, অন্তত ড্র করতে পারত সৈয়দ গোলাম জিলানীর শিষ্যরা। হেড টু হেডে সৌদিদের কাছে আগের দুইবারের মোকাবেলায় হেরেছিল বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
২৮ মিনিটে প্রথম আক্রমণেই সফল হয় শাওন শিবির। বক্সের একটু বাইরে থেকে পাস দেয় বাংলাদেশের মোস্তাজিব খান। বক্সের মধ্যে খুব দ্রুতই তা প্লেসিং করেন সারওয়ার জামান নিপু। বল চলে যায় সৌদি আরব গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে (১-০)। ৩৯ মিনিটে কর্নার কিকে জটলার মধ্য থেকে অধিনায়ক আলমাসের গোলে ম্যাচে ফেরে সৌদি আরব (১-১)। ৫০ মিনিটে বল নিয়ে দ্রুত বক্সের ঢুকে সৌদির তারিক। ক্লিয়ার করতে গিয়ে বক্সের বাইরে তারিককে বাজে ট্যাকল করে লাল কার্ড পেয়ে বহিষ্কৃত হয় বাংলাদেশ গোলরক্ষক ফয়ছল আহমেদ। নতুন গোলরক্ষক হিসেবে মাঠে নামে নূর আলম। ডিফেন্স থেকে উঠে যায় হৃদয়। ৫৬ মিনিটে আলমাস নাইফের ক্রস পা লাগিয়ে আগুয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করে সৌদির আলব্রিকান ফিরাস তারিক (২-১)। ৮২ মিনিটে বক্সের মধ্যে সৌদির আলসাওয়াতকে ফেলে দেয় ইমন। রেফারি পেনাল্টি এবং হলুদ কার্ডের নির্দেশ দেন। মিডফিল্ডার মালির শট জড়ায় জালে (৩-১)। এর দু’মিনিট পর ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে আব্দুল আজিজ সোলাইমানের শট পোস্টে লেগে ঢোকে বাংলাদেশের জালে (৪-১)। ৯০ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় আল আবদান (৫-১)। ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি অনুর্ধ ১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ। ১১ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা চার রানার্সআপ দল অংশ নেবে মূল পর্বে।