ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এনসিএলের টাইটেল স্পন্সর ওয়ালটন

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

এনসিএলের টাইটেল স্পন্সর ওয়ালটন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) ১৭তম আসর শুরু হবে ১৮ সেপ্টেম্বর। এ লীগেরও টাইটেল স্পন্সর হয়েছে ইলেকট্রিক্যাল, ইলেক্ট্রনিকস, অটোমোবাইলস ও হোম এ্যাপ্লায়েন্স সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এ ঘোষণা দিয়েছে। এবার লীগ হবে দুই স্তরের। চারটি করে দল ডাবল লীগ পদ্ধতিতে দুই স্তরে লড়াই করবে। গত আসরে পয়েন্ট তালিকায় থাকা সেরা চারটি দল ঢাকা মেট্রো, ঢাকা বিভাগ, রংপুর ও খুলনা প্রথম স্তরে, পরের চারটি দল রাজশাহী, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট দ্বিতীয় স্তরে খেলবে। এবার প্রথম স্তরের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্তরের চ্যাম্পিয়ন দলও পাবে ২০ লাখ টাকাই। বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানই এমনটি জানিয়েছেন। আপাতত লীগের প্রথম রাউন্ডের সূচীই ঘোষণা করেছে বিসিবি। সূচী অনুযায়ী প্রথম রাউন্ডে যে চার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, বগুড়ায় খেলবে রংপুর বিভাগ-ঢাকা মেট্রো, খুলনায় খেলবে খুলনা বিভাগ-ঢাকা বিভাগ, রাজশাহীতে খেলবে রাজশাহী বিভাগ-বরিশাল বিভাগ ও ফতুল্লায় খেলবে চট্টগ্রাম-সিলেট বিভাগ। প্রথম স্তরের চার দল লড়াই করবে। লীগ পর্ব শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা দল চ্যাম্পিয়ন হবে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল হবে রানার্সআপ। ঠিক একইভাবে দ্বিতীয় স্তরে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা দল চ্যাম্পিয়ন হবে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল হবে রানার্সআপ। প্রথম স্তরে পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা দলের অবনমন হবে। দ্বিতীয় স্তরে নেমে যাবে। আর দ্বিতীয় স্তরের চ্যাম্পিয়ন দল হবে প্রথম স্তরে উন্নীত। লীগে প্রতিযোগিতা বাড়াতেই এমন করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের আগে একটি রাউন্ড রাখা হয়েছে। যেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা খেলতে পারে। দীর্ঘপরিসরের খেলার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। তবে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে যে ক্রিকেটাররা ভারতে খেলতে গেছেন, তারা প্রথম রাউন্ডে অংশ নিতে পারবেন না। সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ ঠিকই খেলবেন প্রথম রাউন্ডে। প্রথম স্তরে ২১ হাজার ও দ্বিতীয় স্তরে ২০ হাজার টাকা করে ম্যাচ ফি পাবেন ক্রিকেটাররা। এ ফি আরও বাড়িয়ে দেয়া হতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান, মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। ওয়ালটন গ্রুপের পক্ষে পলিসি ও এইচআরএম বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান, ক্রিয়েটিভ এ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগের অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম, পিআর এ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর ফিরোজ আলম ও এ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর মিল্টন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। দলগুলোর চূড়ান্ত স্কোয়াড ঢাকা বিভাগ ॥ মোহাম্মদ শরীফ, রকিবুল হাসান, আবদুল মজিদ, নাদিফ চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন, নাজমুল ইসলাম, দেওয়ান সাব্বির, নাসিরুদ্দিন ফারুক, মোঃ মাসুম, সগীর হোসেন, মাহবুবুল আলম, জয়রাজ শেখ, মোঃ সাইফুদ্দিন ও মাইশুকুর রহমান। ঢাকা মেট্রো ॥ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সৈকত আলী, সাদমান ইসলাম, মেহেদি হাসান (মারুফ), শামসুর রহমান, মার্শাল আইয়ুব, আসিফ আহমেদ, শরীফউল্লাহ, জাবিদ হোসেন, ইলিয়াস সানি, মোহাম্মদ শহীদ, আবু হায়দার, মেহরাব হোসেন ও আসিফ হাসান। রাজশাহী বিভাগ ॥ মুশফিকুর রহীম, জহুরুল ইসলাম, ফরহাদ রেজা, ফরহাদ হোসেন, সানজামুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, হামিদুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মুক্তার আলী, তৌহিদ তারেক, জুবায়ের আহমেদ, নিহাদুজ্জামান, অভিষেক মিত্র ও নাজমুল হোসেন (শান্ত)। চট্টগ্রাম বিভাগ ॥ তামিম ইকবাল, নাফিস ইকবাল, ইরফান শুক্কুর, তাসামুল হক, ফয়সাল হোসেন, ইয়াসিন আলী, মনিরুজ্জামান, ইফতেখার সাজ্জাদ, নাঈম ইসলাম জুনিয়র, সাজ্জাদুল হক, আবদুল্লাহ আল মামুন, সাইফুদ্দিন, মেহেদি হাসান (রানা) ও মোহাম্মদ ইউনুস। খুলনা বিভাগ ॥ আবদুর রাজ্জাক, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন, তুষার ইমরান, জিয়াউর রহমান, রবিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি হাসান, নুরুল হাসান, সাকিব আল হাসান, এনামুল ইসলাম, নাজমুস সাদাত ও মেহেদি হাসান (মিরাজ)। সিলেট বিভাগ ॥ ইমতিয়াজ হোসেন, রুম্মান আহমেদ, অলক কাপালি, রাজিন সালেহ, আবুল হাসান, নাজমুল হোসেন, আবু জায়েদ চৌধুরী, এনামুল হক, সায়েম আলম, সাদিকুর রহমান, রাহাতুল ফেরদৌস, শানাজ আহমেদ, নাসুম আহমেদ ও জাকির হাসান। রংপুর বিভাগ ॥ সোহরাওয়ার্দী শুভ, মাহমুদুল হাসান, আরিফুল হক, নাঈম ইসলাম, ধীমান ঘোষ, তানভীর হায়দার, সাজেদুল ইসলাম, বিশ্বনাথ হালদার, নাবিন ইসলাম, সায়মন আহমেদ, সাদ্দাম হোসেন, তারিক আহমেদ, সাদ্দাম হোসেন ও সন্দ্বীপ সাহা দ্বীপ। বরিশাল বিভাগ ॥ শাহরিয়ার নাফীস, ফজলে রাব্বি, সালমান হোসেন, মোহাম্মদ সজীব, নুরুজ্জামান, কামরুল ইসলাম, আবু সায়েম, সোহাগ গাজী, আল-আমিন হোসেন, শাহীন হোসেন, মনির হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম ও মোসাদ্দেক হোসেন।
×