ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ানডে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ওয়ানডে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ ৩-২এ জিতে নিল সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফাইনালসম লড়াইয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি স্বাগতিক ইংলিশরা। ৩৩ ওভারে ১৩৮ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। জবাবে ২৪.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ১২ ও ওপেনার জো বার্নস ০ রানে আউট হলেও এ্যারন ফিঞ্চ ৭০ এবং জর্জ বেইলি ৪১ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। বোলাররাই অস্ট্রেলিয়ার জয়ের পথ তৈরি করে দেন। টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে অসি-বোলিং তোপের মুখে পড়ে ইংলিশরা। এক ম্যাচের বিশ্রাম শেষে বড় তারকা মিচেল স্টার্ক ফিরলেও এদিন বল হাতে তা-ব চালান জন হেস্টিংস আর মিচেল মার্শ। মূলত এই দুজনের গতির সামনে বালুর বাঁধের মতো ভেঙ্গে পড়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং-লাইন। ৪ রান করা জেসন রয়কে ফিরিয়ে ধসের সূচনা করেন স্টার্ক। দলীয় ১৩ রানের মাথায় অপর ওপেনার এ্যালেক্স হেলেসকে তুলে নেন হেস্টিংস। ব্যক্তিগত ৪ গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। নিজের পরবর্তী ওভারেই ১২ রান করা জেমস টেইলরকে উইকেটের পেছনে ম্যাথু ওয়েডের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান হেস্টিংস। ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ২২ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। অবস্থাটা মারাত্মক পরিস্থিতে রূপ নেয় যখন স্টার্কের বল সরাসরি ইয়ন মরগানের হেলমেটে আঘাত করে। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে বাধ্য হন ফর্মের তুঙ্গে থাকা অধিনায়ক। যিনি আগের দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করেছিলেন। চতুর্থ ওয়ানডেতে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। একপ্রান্তে আশা জাগিয়ে রাখেন বেন স্টোকস। জনি বেয়ারস্টো তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু সে প্রচেষ্টা দীর্ঘ হয়নি। চতুর্থ উইকেটে ৬.৪ ওভারে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন তাঁরা। ১০ রান করা বেয়ারস্টোকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে অপর প্রান্তে ধ্বসংযজ্ঞ শুরু করেন মিচেল মার্শ। ৫৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ইংলিশরা (মরগানের দুর্ঘটনায় কার্যত যা পঞ্চম)! ইংল্যান্ড আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি তারা। মঈন আলি ৫ ও ডেভিড উইলিও মার্শের শিকারে পরিণত হলে দলীয় ৮৫ রানেই ষষ্ঠ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সর্বোচ্চ ৪২ রান করা স্টোকসও এই অসি পেসারের বলে এলবিডব্লিউ হলে সেটি সপ্তম হতে সময় লাগেনি। মনে হচ্ছিল, ১শ’র নিচে গুটিয়ে যাবে মরগানের দল। শেষ দিকে তাঁদের অভাবনীয় সেই লজ্জার হাত থেকে রক্ষা করেন আদিল রশিদ। নয় নম্বরে নেমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৫ রান করেন তিনি। ৬ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। ১০ ওভারে ৩ উইকেটের জন্য মাত্র ২১ রান খরচ করেন পেসার হেস্টিংস। স্টার্ক ও স্পিনার এ্যাস্টন আগার নেন ১টি করে উইকেট। এ্যাশেজ টেস্ট সিরিজ হারের দায় মাথায় নিয়ে অবসর নেন মাইকেল ক্লার্ক। ওয়ানডে সিরিজটি তাই নতুন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের জন্য ছিল কঠিন এক চ্যালেঞ্জ। শুরুতে টানা দুই জয়ে ভাল কিছুর প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু পরের দুই ম্যাচেই যে হেরে বসে ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটি হয়ে ওঠে অঘোষিত ফাইনাল।
×