ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডাঃ মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন

ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন যাদের

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ডাক্তার হওয়ার  স্বপ্ন যাদের

যারা চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখছো, তারা যাতে স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পার তাদের উদ্দেশে মেডিক্যালে ভর্তি সংক্রান্ত সর্বশেষ নিয়ম কানুনসহ বিভিন্ন পরামর্শ। যা তোমাদের প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে। ভর্তির যোগ্যতা : ২০১৪ ও ১৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এবারের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় অবশ্যই বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতকার্য হতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষা মিলিয়ে জিপিএ ৮.০০ পেতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান বিষয়সহ অবশ্যই ৩.৫০ (জি.পি.এ) থাকতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার সময় খুবই সীমিত, বিশেষ করে মেডিক্যাল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে। তাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আগে নজর দিতে হবে। সময় হাতে থাকতেই ভালভাবে শেষ করতে হবে সেসব বিষয়। বিশেষ করে পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞানের মোট ৬টি বইয়ের খুঁটিনাটি মাথায় রাখা জরুরী। বিষয়ভিত্তিক পড়ার টেকনিক সাধারণ জ্ঞান : সাধারণ জ্ঞান বই থেকে বাংলাদেশ বিষয়াবলী এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী দেখে নাও। এই বইটির শেষে বিসিএস, পুলিশে ভর্তি, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ইত্যাদি সব প্রশ্ন ভাল ভাবে আয়ত্ত করতে হবে। অনেকে কোন স্যারের বই পড়বেন এ নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন। এ নিয়ে দ্বিধাবিভক্তির মধ্যে থেকে সময় নষ্ট করা যুক্তিহীন। বিশেষ করে এতে মনোযোগ নষ্ট হয়। তাই খোঁজখবর নিয়ে যে কোন একটি বই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। ইংরেজী : ইংরেজী গ্রামারে নজর দিতে হবে। বিশেষ করে বিগত বছরগুলোর মেডিক্যাল ও ডেন্টাল প্রশ্নপত্র থেকে ইংরেজী প্রশ্নগুলো (যেমন : ঠড়রপব, ঘধৎৎধঃরড়হ, ঝুহড়হুস ইত্যাদি), সমাধান করার পাশাপাশি ভাল কোন গ্রামার বই থেকে ওই বিষয়গুলো আরও বিস্তারিত পড়তে হবে। পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও গাণিতিক সমস্যা : পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও গাণিতিক সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বিগত বছরের মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর ভাল ভাবে আয়ত্ত করতে হবে। প্রতিদিন ২০০ প্রশ্নের উত্তর গাইড বই দেখে দাগিয়ে মুখস্থ কর। এবং বিগত বছরের প্রশ্নগুলো রিভিশন দিতে হবে। গাণিতিক সমাধান : পদার্থ ও রসায়নের গাণিতিক সমস্যাগুলোর সমাধানে আন্তরিক হতে হবে। বার বার অনুশীলনের মাধ্যমেই সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করা। ফলে সমাধানকৃত সমস্যাগুলোর ওপর চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। সেটা ধৈর্য ধরে যতবার সম্ভব ততবারই করতে হবে। যা জানা জরুরী হৃ পরীক্ষার কমপক্ষে ২ দিন আগে প্রিপারেশন শেষ করা জরুরী। ফাইনাল পরীক্ষার ঠিক আগের দিনে রিল্যাক্স মুডে থাক। নিজের সিট কোথায় পড়ল, সেটা একবার দেখে আসাটা বুদ্ধিমানের কাজ। এতে টেনশনমুক্ত থাকা যায়। হৃ যেখানে তোমার সিট পড়েছে, সেই হল খুলে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঢুকে পড়ো এবং ধীরস্থির হয়ে বসে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন বল পয়েন্ট কলম, পেন্সিল, ইরেজার, প্রবেশপত্র, ক্যালকুলেটর (যদি নিতে দেয়) শেষবারের মতো আর একবার চেক করে নাও। এরপর প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর সাবধানে নির্ধারিত ঘরগুলো পূরণ করো। কোন আবস্থাতেই যেন ওএমআর ফরমের নির্ধারিত ঘরগুলো পূরণে ভুল না হয়। হৃ শেষ ৮-১০ মিনিট রিভিশন এবং উত্তর না দেয়া প্রশ্নগুলো সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। হৃ কোন একটি প্রশ্ন না পারলে সেটির পিছনে অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না। লেখক : চেয়ারম্যান, ইস্টওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজ এ্যান্ড হসপিটাল, ঢাকা
×