ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে মাধ্যমিকের ফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে ২৫ কলেজকে চিঠি

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

যশোরে মাধ্যমিকের ফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে ২৫ কলেজকে চিঠি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় চরম ফল বিপর্যয়ের পরেও কাজে গতি আসেনি যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে। এবারের ফল বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড গত ১৮ আগস্ট চিঠি দেয় যশোর বোর্ডকে। কিন্তু সেই চিঠি পাওয়ার ২৩ দিন পর বোর্ডের অধীন ২৫ কলেজের মতামত চেয়ে ই-মেইল করা হয়েছে। যদিও এ জন্য কলেজগুলোকে সময় দেয়া হয়েছে মাত্র এক দিন। যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধবচন্দ্র রুদ্র জানান, বোর্ডের এইচএসসির ফলাফল খারাপ হওয়ার কারণ বিশ্লেষণের জন্য আন্তঃশিক্ষা বোর্ড থেকে একটি চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু কাজের চাপের কারণে তা নিয়ে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে ১০ সেপ্টেম্বর বোর্ডের অধীন ২৫ কলেজকে তাদের কলেজে ফলাফল খারাপ হওয়ার কারণ জানতে চেয়ে ই-মেইল করা হয়েছে। জানা যায়, বোর্ড থেকে গত বৃহস্পতিবার যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, যশোর সরকারী সিটি কলেজ, ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ, ঝিকরগাছার শেখ আকিজ কলেজিয়েট স্কুল, অভয়নগরের নওয়াপাড়া মডেল কলেজ এবং চৌগাছার জিসিবি মডেল কলেজকে ই-মেইল করা হয়েছে। একই ই-মেইল করা হয়েছে খুলনার খুলনা পাবলিক কলেজ, শিরোমণি খানজাহান আলী কলেজ ও কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির ও কলেজকে। এ ছাড়া বাগেরহাটের বাগেরহাট পিসি কলেজ, চিতলমারী শের-ই-বাংলা কলেজ, মংলার দিগরাজ কলেজ, সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ, তালা সরকারী কলেজ এবং সীমান্ত আদর্শ কলেজকে কারণ অনুসন্ধান করে আজ রবিবারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এর বাইরে মতামত দিতে বলা হয়েছে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ, কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ, আদর্শ কলেজ, ঝিনাইদহের রাইচরণ-তারিনীচরণ কলেজ, কোটচঁাঁদপুর জিটি কলেজ এবং মহেশপুরের ডক্টর সাইফুল ইসলাম কলেজ, চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজ, নড়াইলের আশার আলো কলেজ, মাগুরার মাগুরা আদর্শ কলেজ এবং মেহেরপুরের গাংনি মহিলা কলেজ। বৃহস্পতিবার ই-মেইল পাওয়া একাধিক কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, মাঝে মাত্র এক দিন সময় দিয়ে ফলাফল খারাপের কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। এটা একেবারেই অসম্ভব। তবে কলেজগুলো বোর্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারে না। তাই বাধ্য হয়ে তারা প্রতিবেদন দিলেও তাতে ফল বিপর্যয়ের প্রকৃত কারণ উঠে না আসার আশঙ্কা রয়েছে।
×