ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভ্যাট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই দেবে ॥ অর্থমন্ত্রী, পাবলিক ভার্সিটি শিক্ষকদের আজ ও কাল কর্মবিরতি

শিক্ষার্থীদের বড় অংশ নীরব ॥ অন্যদের বিক্ষোভ, অবরোধ

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

শিক্ষার্থীদের বড় অংশ নীরব ॥ অন্যদের বিক্ষোভ, অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন আন্দোলনরত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এক অংশ। ‘নো ভ্যাট অন এডুকেশন’র ব্যানারে ডাকা তিন দিনের ছাত্র ধর্মঘটের প্রথম দিন ক্লাস বর্জন করে সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আগের দিনের মতো রাজপথ স্থবির হয়ে না পড়লেও রাজধানীর কয়েকটি সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও মিছিল করায় এদিনও যানজটের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে চট্টগ্রাম, সিলেটেও। এদিকে বেতন স্কেলে মর্যাদাহানির অভিযোগে আজ পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করবেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ভ্যাটের অর্থ শিক্ষার্থীদের পরিশোধ করতে হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী ও এনবিআরের দেয়া ঘোষণার পর আশ্বস্ত হয়ে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যাণ ফাউন্ডেশন আন্দোলন প্রত্যাহার করায় শনিবার শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নীরব ছিল। ফলে রাজধানীর অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এলেও তাদের অধিকাংশকেই মিছিল সমাবেশে দেখা যায়নি। তবে তার পরেও ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচী পালন করেছে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী। ধানম-ি এলাকায় অবস্থিত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের সক্রিয় থাকতে দেখা যায়। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষা সচিব ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই দেবে। এই ভ্যাটের কারণে যেন নতুন করে টিউশন ফি বা অন্য কোন নামে বাড়তি অর্থ নিতে না পারে, সে জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘বিতর্ক বিকাশ’-এর ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় যে ফি নেয় তা খুবই হাই। আমি একটি হিসাব করে দেখেছি, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর প্রতিদিন খরচ হয় এক হাজার টাকা। এটা তার ফি, বইয়ের খরচ, লাইব্রেরি ফি, খাওয়াদাওয়াসহ। আমি সেখান থেকে কত চেয়েছি? মাত্র ৭৫ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আমি বলেছি যে, এই সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট, যেটা টিউশন ফি আদায় হচ্ছে সেখান থেকে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীদের বলছি, তোমরা যদি নজর না দাও তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফি, ডেভেলপমেন্ট ফান্ড কিংবা অন্য কোন নামে তোমাদের কাছ থেকে এই অর্থ তুলে নেবে। সে জন্য তোমরা আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি নাও, যেন ফি না বাড়ে। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন রাস্তাঘাট আমরা আর করছি না। বিদ্যমান সড়কের মান ভাল করছি। স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের বেশি খরচ করতে হচ্ছে। এ ছাড়া আরও অনেক খাত থেকে আমাদের ওপর হুকুম আসছে, সে খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। সে টাকাটা কোথা থেকে আসবে? সেটার জন্য রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে। আর রাজস্ব বাড়াতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁচা দিতে হয়। তেমনই একটি হচ্ছে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপ। একই অনুষ্ঠানে ছিলেন শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছেন, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভ্যাটের জন্য আন্দোলন করছেন, রাস্তা অবরোধ করছেন। আপনারা যে আন্দোলন করছেন, আমি যদি তার নেতা হতাম তাহলে বলতাম, আমি ভ্যাট দেব। কিন্তু এ জন্য একটি ট্রাস্ট করতে হবে। ট্রাস্টের নাম হবে রিসার্চ ট্রাস্ট ফান্ড। আমি যত পরিমাণ ভ্যাট দেব, সমপরিমাণ টাকা সরকারও ওই ট্রাস্টে দেবে। ওই অর্থ গবেষণায় খরচ হবে। তাহলে অনেক মানসম্পন্ন গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে আসবে। আয়োজক ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের পরিচালনায়া বক্তব্য রাখেন এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান। বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ চলছেই ॥ শনিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মিছিল সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। কোন বিশ্ববিদ্যালয়েই ক্লাস ও পরীক্ষা হয়নি। ইউল্যাবের সেমিস্টার ব্রেক ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগেই তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল। বেলা ১২টার দিক থেকে রাজধানীর কলাবাগানে স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসের সামনে থেকে ছাত্র ধর্মঘটের সমর্থনে এবং ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি মিরপুর রোড প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ক্যাম্পাসের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা মিছিল থেকে ভ্যাট বিরোধী বিভিন্ন সেøাগান দেয়। শুক্রাবাদে নিজেদের ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ করে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও। ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে তারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন নিয়ে সেøাগান দেয়। সাড়ে ১২টার দিকে আসাদ গেটের নিজেদের ক্যাম্পাস থেকে ভ্যাটবিরোধী মিছিল বের করে বাংলাদেশ ইউনিভাসির্টির শিক্ষার্থীরা। আসাদ গেট থেকে রাসেল স্কয়ার (ধানমন্ডি ৩২) হয়ে আবারও নিজেদের ক্যাম্পাসে ফিরে আসে মিছিলটি। তবে ধীর লয়ে চলা এ মিছিলটি এক ঘণ্টারও বেশি সময় চলে। মিছিলে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা ধানম-ির ২৭ নম্বরে রাপা প্লাজার সামনে, শুক্রবাদ মোড়ে এবং রাসেল স্কয়ারে সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু নিজেদের মধ্যে মতানৈক্যের কারণে তা হয়নি। এ মিছিল চলাকালে আসাদ গেট থেকে নিউমার্কেট যাওয়ার রাস্তায় সৃষ্টি হয় প্রচ- যানজট। দীর্ঘক্ষণ ধরে যানবাহনে বসে থেকে বাধ্য হয়ে হেঁটে নিজেদের গন্তব্যে রওনা দেন অনেকেই। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির মিছিল শেষে আসাদ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রবিবার (আজ) ধানম-ি ২৭ নম্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়। রাজধানীর ধানম-ি, কলাবাগান এবং এর আশপাশ এলাকায় অবস্থিত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বলে জানান বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বিবিএ ছাত্র ইয়াসিন। বিক্ষোভ করে রাজধানীর আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। সাড়ে ১২টায় তেজগাঁও লাভ রোড ক্যাম্পাসের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ওই এলাকায় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ক্যাম্পাসের সামনে এসে শেষ হয়। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসের সামনে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন থেকে ভ্যাট বিরোধী বিভিন্ন সেøাগান দেয়। ল্যাবএইড হাসপাতালের কাছে বেলা ১২টার দিকে মানববন্ধন করে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা সড়কে অবস্থান নেয়। অবরোধে সিটি কলেজ থেকে কলাবাগান যাওয়ার পথ আটকে যায়। কিছুক্ষণ পর ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। পুলিশের অনুরোধে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে রাস্তা ছেড়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা মানববন্ধন করে এবং দেড়টার মধ্যে কর্মসূচী শেষ করে তারা। ধানম-ি ১৫ নম্বরে নিজেদের ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ করে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার দিকে তারা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। নর্দার্ন ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থীরাও একই জায়গায় সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। পরবর্তী কর্মসূচীর বিষয়ে আন্দোলনকারীদের একজন ফারুক আহমাদ আরিফ বলছিলেন, শনিবার আমরা সারাদিনই বিক্ষোভ করেছি। ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমাবেশ ও মিছিল করেছে। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করছি, তারপরই পরবর্তী আন্দোলনের বিষয়ে জানাব। তিনি বলেন, আমাদের এ আন্দোলন ছাত্র-ছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই এ আন্দোলনকে রাজনীতির রং দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের এ আন্দোলন মোটেও রাজনৈতিক নয়। আমরা শুধুমাত্র শিক্ষার ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করছি। আমাদের কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। এদিকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাবিবুল হাসান জানান, শনিবার তাদের কোন কর্মসূচী ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের একটি সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেবে। তাদের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে আমরা রবিবার পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করব। আগের দিন লাগাতার অবস্থান ও ধর্মঘট ডাকলেও এদিন মাঠে দেখা যায়নি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোঃ রায়হান বলেন, তারা রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে সমবেত হয়ে পরবর্তী কর্মসূচীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। কর্মসূচী চলছে ঢাকার বাইরেও ॥ একই দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আশুলিয়ার বাইশমাইল এলাকায় অবস্থান নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। এ সময় ওই সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এরপর শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ করে রাখায় ঢাকা- আরিচা মহাসড়কে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। পরে পুলিশ এসে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। বিক্ষোভ কর্মসূচী থেকে শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানায়। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দেয় তারা। ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ এলাকা অবরোধ করে রেখেছিল বেসরকারী বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সকাল ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়কের নামার আধা ঘণ্টা পর পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়। বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মোঃ সাকিব বলেন, রবি ও সোমবারও আমরা একই কর্মসূচী পালন করব। সড়ক অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দুই অংশেই যানজটের সৃষ্টি হয়। ভ্যাট প্রত্যাহারে দাবিতে সিলেটে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টা থেকে চৌহাট্টা এলাকায় শহীদ মিনারের সামনে সড়ক অবরোধ করে রাখে সিলেটের চারটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও চারটি বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী রিমন আহমদ বলেন, ভ্যাট নিয়ে সরকারের একেক রকম কথায় তারা অসন্তুষ্ট। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভ্যাট দেবে, পরের বছর থেকে আবার শিক্ষার্থীদের উপর ভ্যাট চাপিয়ে দেয়া কিছুতেই মানা যায় না। কর্মসূচীতে সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, লিডিং ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি এবং রাগীব রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ, সিলেট ইউমেন্স মেডিক্যাল কলেজ, নর্থইস্ট মেডিক্যাল কলেজ ও পার্কভিউ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার কর্মবিরতি ॥ বেতন কাঠামো পুনর্নির্ধারণের দাবিতে আজ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তবে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ওই দিন তাঁরা পরীক্ষা নেবেন। আন্দোলনরত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির জোট বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, রবিবার কর্মসূচীর সিদ্ধান্ত শিক্ষকরা আগেই নিয়েছিলেন। কর্মসূচীর মধ্যেও পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মাকসুদ কামাল বলেন, এর মধ্যে সরকার যদি আলোচনার প্রস্তাব দেন, তাহলে শিক্ষকরা অবশ্যই সে আলোচনায় যোগ দেবেন। সে ক্ষেত্রে কর্মসূচী নিয়ে তাঁরা নতুন করে ভাববেন। এর আগেও একই দাবিতে কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দেশে বর্তমানে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এবার চাকরির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ৩৪তম বিসিএস’র নন-ক্যাডাররা ॥ এবার চাকরির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ৩৪তম বিসিএস’র নন-ক্যাডাররা। ৩৪তম বিসিএসে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির আলোকে ৪০৪টি শূন্য পদে কৃতকার্য প্রার্থীদের মূল্যায়ন এবং ৩৩তম বিসিএসের ন্যায় এবারও মেধা ও প্রাধিকার কোটা আলাদা করে ফলাফল প্রকাশসহ ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে বিসিএস ক্যাডার বঞ্চিতরা। শনিবার সকাল ১০টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচী শুরু হয়। তা চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। একই দাবিতে আগামী সোম ও মঙ্গলবার তারা নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করেন। কর্মসূচীর মধ্যে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি পেশ এবং পিএসসি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন থাকবে বলে জানা গেছে।
×