শরতের ছড়া
গৌতম রায়
ভাদ্র আর আশ্বিন মাসে শরত ঋতু হয়,
সোনামণিরা তোমরা জানো নিশ্চয়
শাপলা ফোটে ঝিলের জলে
শিউলি ফোটে শরতকালে
সাদা মেঘের পান্সি নৌকা
ভাসে আকাশময়।
কাশ ফুলেরী শুভ্র হাসে
সঙ্গে নদীর দুকূল হাসে
রাজহংসী আনন্দেতে
গহীন জলে ভাসে।
কদম কোয়ার গন্ধে গথিক
পথের মাঝেÑ থামে,
বিদায় নিয়েও ভাদর কেন
অঝোর ধারায় নামে।
ঘাসফড়িং
আহমেদ রউফ
হতাম যদি ছোট্ট পাখি
বাঁধতাম ছোট বাসা
মনের সুখে গান গাইতাম
অনেক বড় আশা।
কিন্তু আমি পাখি যে নই
ছোট্ট ঘাসফড়িং
সবুজ ঘাসের সাথে তাই
করি তিড়িংভিড়িং।
সবুজ ঘাসে সবুজ পাতায়
মনটা থাকে সতেজ
তাইতো আমি মনের ভেতর
আঁকি প্রিয় স্বদেশ।
মা
মো. ইকবাল
মা গো তোমার ভালবাসায়
হয়েছি আমি বড়
তোমার মমতার কাছে
সারাজীবন আমি ছোট।
আমার দুঃখে কাঁদ তুমি
আমার সুখে হাসো
কোন অপরাধ করলে আমি
তুমি যাও গো রেগে
মা বলে ডাকি যখন
সব যাও গো ভুলে।
টিয়ে পাখি
আজিম হোসেন
টিয়ে পাখির ঠোঁটটি রঙিন
সবুজ জামা গায়ে,
রঙের যাদু মাখা যেন
রাঙা দুটি পায়ে।
সচারচর যায় না দেখা
এদিক-সেদিক ঘুরতে,
হঠাৎ হঠাৎ যায় যে দেখা
আকাশ পানে উড়তে।
খোকা-খুকি সবার প্রিয়
রঙিন টিয়ে পাখি,
আরো প্রিয় দেখতে তার
কাজল কালো আঁখি।
সেই পাখিটি খাঁচার ভেতর
থাকে যখন বন্দি,
কেমন করে করবে তবে
সবার সাথে সন্ধি!
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: