ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকৃতির দান

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

বিশুদ্ধ পানি প্রকৃতির দান, এই দান বিভিন্ন পদ্ধতিতে মহল্লায় ধারণ করে রাখা একান্ত প্রয়োজন। অন্যদিকে মানুষের সহযোগিতায় তৈরি ও নদী খাল থেকে উত্তোলনকৃত ওয়াসার পানি দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। একমাত্র কারণ সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি। পাইপ ফেটে নালার ময়লা ওয়াসার পাইপে প্রবেশ করে এবং টিউবওয়েলের পানিতে আর্সেনিক ও আয়রন থাকে। পাহাড়তলী হাজী আবদুল গণি রোড, শহীদ আবদুল হাই রোড, নবী চৌধুরী রোড, কালা মিয়া হাজী রোড, বাঁচা মিয়া ওয়াসা সড়কে সপ্তাহে ৩ দিন রেশনিং পদ্ধতিতে পানি দিয়ে থাকে। এর ভেতর আবার কাউন্সিলর এবং প্রভাবশালী মহলের তোলা অবৈধ পানির পাইপ দ্বারা গ্রাহক ছাড়া অন্যরাও নিয়ে থাকে। প্রয়োজনের তুলনায় টাকা দিলেও গ্রাহকরা সামান্য পানি পেয়ে থাকে। তাই বৃষ্টির পানি ধারণ করে রাখতে পারলে মানুষ উপকৃত হবে। এমএ কালাম পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম এসব কী হচ্ছে? ২৯ আগস্ট দৈনিক জনকণ্ঠের শেষের পাতায় পাশাপাশি দুটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বাম পাশের সংবাদে জানা যায়, সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজের যন্ত্রপাতি ক্রয়ে উচ্চশিক্ষিত প্রথম শ্রেণীর সম্মানিত ব্যক্তিগণ মাত্র ১৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন এবং ডান পাশের খবরে প্রকাশÑ বঞ্চিত দক্ষিণবঙ্গের পটুয়াখালীর বাউফলে চতুর্থ শ্রেণীর ৮ বছরের শিশু ছাত্র রাকিব তার বাবা আব্দুল খালেক রাঢ়ীর পকেট হতে এক হাজার এক শ’ টাকা চুরি করেছে। পার্থক্য অর্থ আত্মসাত এবং চুরি। পার্থক্য সরকার তথা জনগণের মালিকানাধীন খাজাঞ্চিখানার অর্থ এবং জন্মদাতা বাবার পকেটের অর্থ। পার্থক্য সাগর চুরি এবং বাবার পকেট চুরি। ভাষার ব্যবধান চুরি এবং অভিযোগ। সে ভিন্ন কথা, শত হলেও উচ্চশিক্ষিত ভদ্র কর্মকর্তাদের ব্যাপারস্যাপার। বলছিলাম, শিশু রাকিবের ওপর অমানুষিক নির্যাতনের কথা। পাথরের যুগ চলে গেছে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অবসান হয়েছে। নীলকর নেই। সভ্য যুগে সভ্যতার মাথা খেয়ে শিকলে বাঁধা, গাছের সঙ্গে বাঁধা? কোথায় আছো সচেতন মানুষ এমন দিনে এক হও। রাকিব তুমি মালালার মতো মাথা উঁচু করে প্রতিবাদ কর, আমরা আছি তোমার সঙ্গে। মেছের আলী শ্রীনগর একটি চাকরি চাই আমি হাবিবুর রহমান, পিতা : মৃত আব্দুস ছাত্তার, গ্রাম : করমদি, উপজেলা : গাংনী, জেলা : মেহেরপুরের একজন স্থায়ী বাসিন্দা। আমার পরিবার ১৯৪৮ সাল থেকে অদ্যাবধি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। আমি ১৯৯৭ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা এবং ২০০৯ সালে বিএসএস পাস করি। বর্তমানে আমার বয়স ৩৬ বছর। জন্ম তারিখ ১৯৭৯ সালের ১৬ আগস্ট। আমার চাকরির বয়স শেষ হওয়ায় সরকারী চাকরির আর কোন সুযোগ নেই। আমার অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। আমার স্ত্রী একজন হার্টের রোগী। এমতাবস্থায় বেঁচে থাকার জন্য আমার একটা চাকরি খুবই প্রয়োজন। মোহাঃ হাবিবুর রহমান করমদি, গাংনী, মেহেরপুর যারে যা চিঠি দিন গড়াচ্ছে, যুগ যাচ্ছে বদলে। সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে অনেক পুরনো রীতিও। এমন একটি পুরনো রীতি ছিল চিঠি লেখা। এমন এক সময় ছিল যখন যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল চিঠি। চিঠি চালাচালির মাধ্যমে পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা করা হতো। এমন সময়ও ছিল যখন পায়রার পায়ে চিঠি বেঁধে দিয়ে খবর পাঠানো হতো। মনের মাধুরী মিশিয়ে চিঠি লেখার মজাই ছিল আলাদা। কাগজে লিখে খামে পুরে চিঠি পাঠানো হতো। চিঠি লেখার জন্য ছিল পোস্টকার্ড ও বিভিন্ন রং-বেরঙের প্যাড। কতই না সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার চিঠিতে ভরা থাকত ডাক পিয়নের ঝোলা। তারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে গ্রাম্য হাট-বাজারে বিলি করতেন এসব চিঠিপত্র। যারা চিঠি লিখতে পারত না তারা তাদের অভিব্যক্তি মুখে বলে অন্যদের দিয়ে চিঠি লেখাত ও প্রাপ্ত চিঠি পড়াত। যেসব দিন আজ স্মৃতিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান মোবাইল ফোনের যুগে এসে দিন দিন উঠে যাচ্ছে চিঠি লেখার প্রচলন। চিঠির জায়গা দখল করছে মোবাইল ফোন। আমন্ত্রণ/নিমন্ত্রণ থেকে শুরু করে সকল যোগযোগের ক্ষেত্রে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে মোবাইল ফোন। তাই কেউ আর চিঠি লেখে না। চিঠি নিয়ে রয়েছে কতই না কথামালা। যেমন ‘যারে যা চিঠি লেইখ্যা দিলাম সোনা বন্ধুর নামে’, ‘বিদেশ গিয়া বন্ধু তুমি আমায় ভুইল না, চিঠি দিও পত্র দিও জানাইয়ো ঠিকানারে’। না এখন আর ঠিকানা জানানোর দরকার নেই। এক মুহূর্তে খবর পাড়ি দিচ্ছে সাত সমুদ্র তেরো নদী। ‘যত লিখে যাই চিঠির লেখা হয় না তো শেষ।’ চিঠির এসব আবেদন আর নেই। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এসে কে আর চিঠি লিখতে চায়? ডাকবাক্সগুলোতে এখন আর চিঠি ফেলা হয় না। কালেভাদ্রে কেউ কেউ ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল চিঠি লিখলেও এমন দিন আর বেশি দূরে নয়, যখন একবারেই উঠে যাবে আমাদের পুরনো রীতি চিঠি লেখার চল। শ্যামল চৌধুরী মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি ও কার্যকারিতা ছাত্রছাত্রীদের মুখস্থবিদ্যা থেকে বের করে আনার জন্য চালু করা হয়েছিল সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি। শুরুতে এর নাম ছিল কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নপদ্ধতি। এ পদ্ধতিটি সত্যি ভূয়সী প্রশংসনীয়। কিন্তু গাইড বই ও কোচিং সেন্টারের দৌরাত্ম্যের মহা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশ্ন কমন ও পরীক্ষায় ভাল নম্বর পাওয়ার মাধ্যম হিসেবে ছাত্রছাত্রীরা গাইড বই ও কোচিং সেন্টারের শরণাপন্ন হচ্ছে। এমনকি একটি ছাত্র/ছাত্রী ২-৩ টি কোচিং সেন্টারে ভর্তি রয়েছে। কোচিং সেন্টার দ্বারা প্রদত্ত শিটগুলো অনবরত মুখস্থ করছে। প্রায়ই বিভিন্ন পরীক্ষায় গাইড বই থেকে হুবহু প্রশ্ন তোলে দেয়া হয়। যার ফলে ছাত্রছাত্রীরা মুখস্থ থেকে বেরিয়ে আসার বদলে মুখস্থের প্রতি বেশি ঝোঁকে পড়ছে। এমতাবস্থায় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতির কার্যকারিতা বিফলে যাবে। কয়েছ আহমদ শাহ্জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট ভোক্তা অধিকার আইন প্রতিবছর বেশ ঘটা করে পালিত হয় বিশ্বভোক্তা অধিকার দিবস। বাজারে কেনা-বেচার হয়রানি ও প্রতারণা রোধের প্রয়োজনে ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অধিদফতর চালু হয়েছিল। জেলায় জেলায় কার্যালয় স্থাপন করে কর্মকর্তাও নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটিও তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ভোক্তাদের জন্য তাদের অধিকারের বিষয়ে কোন কাজই করতে দেখা যায়নি বা যাচ্ছে না। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ মোতাবেক পণ্যের বেশি দাম নেয়া, ভেজাল পণ্য বেচা, মিথ্যা বিজ্ঞাপন প্রচার, ওজন বা মাপে কম দেয়া, ভেজাল বা বিষাক্ত দ্রব্য বেচা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বেচা দ-নীয় অপরাধ। আইনে ভোক্তা অধিকার অধিদফতর প্রতিষ্ঠা, জেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া পরিষদ প্রতিষ্ঠা, জেলা, উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি প্রতিষ্ঠার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু ভোক্তাদের কোন প্রত্যাশাই পূরণ হয়নি। বিভাগটি সক্রিয় ও সক্ষম করে গড়ে তোলা প্রয়োজন রয়েছে বিশেষভাবে। সাধারণ মানুষ যেন কোন জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে না ভোগে সেটা দেখাও প্রয়োজন। ভেজাল খাদ্য স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ভেজাল এবং বিষাক্ত খাদ্য খেয়ে ভোক্তারা আক্রান্ত হয় লিভার, কিডনি, হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগে। তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সত্তর গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অশোক কুমার সাহা কুমারখালী, কুষ্টিয়া ষড়ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ ছয়টি ঋতুতে এ দেশের পরিবেশ-প্রকৃতি ভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে আমাদের কাছে ধরা দেয়। এ দেশের মাটি, পানি, গাছপালা, ফুল, ফল, পাকপাখালি সবই ষড়ঋতুর বৈচিত্র্যমণ্ডিত। বৈশাখের কড়া রোদ, আষাঢ়ে মেঘের ঘনঘটা, শ্রাবণের বারিধারা, শরতের মেঘমুক্ত নির্মল আকাশ এ দেশের মানুষের মন ও মননকে প্রভাবান্বিত করেছে। বাংলা আষাঢ়-শ্রাবণ এ দুই মাস মিলে বর্ষাকাল হলেও আমাদের দেশে এর স্থায়িত্ব আরও বেশি। বাঙালী কবিরা বর্ষায়, বৃষ্টির ছন্দে সৃষ্টির ফুল ফোটাতে পছন্দ পারেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও কবিতার মাঝে তুলে ধরেছেন বর্ষার প্রতি তার মুগ্ধতার কথা।-‘যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে/এমন দিনে তারে বলা যায়/এমনও ঘনঘোর বরিষায়’। গ্রীষ্মে গ্রামবাংলার খাল-বিল, নদী-নালা শুকিয়ে যায়। ক্লান্ত পথিক খোঁজে একটু ছায়া। চায় একটু শ্রান্তি। প্রার্থনা করে আকাশ ঝেপে পানি পড়ার জন্য। মানুষের এ শ্রান্ত মনের প্রার্থনা প্রকৃতি ঠিকই শোনে। প্রকৃতিতে নেমে আসে ঝমঝম ঝিমঝিম বৃষ্টি। বাঙালীর মন শান্তিতে ভরে তোলে বর্ষাঋতু। বর্ষায় খাল-বিল, নদী-নালা কানায়-কানায় পানিতে ভরে সমুদ্রের মতো মনে হয়। বর্ষা শান্তির, স্নিগ্ধতার, স্মৃতির, আবেগের, স্বপ্নের এবং সৃষ্টির। বর্ষাকালে সহসাই মন নেচে ওঠে ময়ূরের মতো করে। উচাটন মন তখন কিছুতেই ঘরে বসে থাকতে চায় না। প্রিয়জনের সান্নিধ্য পাওয়ার আশায় মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। মনের অজান্তেই গেয়ে ওঠে কেউÑ ‘এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে থাকে না তো মন, কাছে যাব কবে পাব ওগো তোমার নিমন্ত্রণ।’ বৃষ্টির দিনে কাক্সিক্ষত সেই প্রিয়জনকে কাছে পেলে বলে দেয়া যায় হৃদয়ের গহিনে জমিয়ে রাখা না বলা সব কথা। বর্ষাকালে ফুটে নানা ধরনের ফুল। এর বেশিরভাগই সাদা ফুল। শাপলা বর্ষাকালেই ফোটে। এছাড়া শহর ও গ্রামে কেয়া, কদম তখনই চোখে পড়ে। ফুলকে ভালবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রকৃতির সুন্দর এই সৃষ্টির প্রতি মানুষের ভাললাগা নতুন নয়। দেশ-কাল ছাড়িয়ে এই ভাললাগা পৃথিবীর সব জাতির মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। আর সে কারণেই পৃথিবীর যে কোন প্রান্তবাসী মানুষ মুগ্ধতা, ভালবাসা, শুভেচ্ছা এমনকি সহানুভূতি প্রকাশে যুগ যুগ ধরে ফুলের শরণাপন্ন হচ্ছেন। কিন্তু আজ নগরায়নের ফলে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার পরিণতিতে বর্ষা দেখা দিচ্ছে নতুন রূপে, নতুন চরিত্রে। তার ওপর আছে নগর জীবনে অপরিকল্পিত স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা। এ দেশের মানুষের জীবনাচারের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে অনেক। যে লোক এখন গ্রামে থাকেন তিনি আর গ্রামের ওপর নির্ভরশীল নন। নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন নগর জীবনের ওপর। নদীর নাব্য হারানোর ফলে অল্প বৃষ্টিতেই বন্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বর্ষার কিছু অসুবিধা থাকলেও এর সুবিধাই বেশি। বর্ষা নিয়ে আসে সোনার পলিমাটি। ফসলের উৎপাদন তাই বৃদ্ধি পায়। বর্ষাকাল আমাদের এই সোনার বাংলাদেশকে নতুন করে জাগিয়ে দেয়। বর্ষা না এলে সারাদেশ শুকিয়ে কাঠ হয়ে যেত। গাছপালা শুকিয়ে মরে যেত। তাই বর্ষাকে আমাদের প্রয়োজন। বর্ষাকে আমরা ভীষণ ভালবাসি। এখানে বর্ষা জীবনের স্বপ্ন দেখায়। সব মিলিয়ে বর্ষা কল্যাণের। বর্ষার ছোঁয়ায় গ্রামবাংলা হয়ে ওঠে রূপসী। সফিউল আলম প্রধান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আয়লান বিশ্ববাসীকে শেখাল মানবতা বিশ্ব মোড়লদের মোড়লিপনা আর ক্ষমতার দম্ভকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে তিন বছরের আয়লান। ওবামার ভ্রান্ত যুদ্ধনীতির কারণে মধ্যপ্রাচ্যসহ কয়েকটি দেশে উদ্বাস্তু সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়া, মিসর, তুরস্কসহ কয়েকটি দেশে চলছে চরম অস্থিরতা। সেখানকার ঘরহারা, সহায় সম্বলহীন মানুষ একটু আশ্রয়ের জন্য সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ছুটছে ইউরোপে। সমুদ্রপথে, জঙ্গল পেরিয়ে তারা স্রোতের মতো ঢুকছে জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালিসহ উন্নত দেশে। কাঁটাতার, সীমান্ত দেয়াল, পুলিশ প্রহরা কোনকিছুই এসব মানুষকে দমাতে পারছে না। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার সময় হাজার হাজার মানুষের সলিলসমাধি ঘটছে; তারপরও মানবিক সাহায্যে এগিয়ে আসছে না ইউরোপের শক্তিধর দেশগুলো। তিন বছরের আয়লানও বাবা-মার সঙ্গে উন্নত জীবনের আশায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে যেতে চেয়েছিল ইউরোপে; কিন্তু ভাগ্য সহায় হলো না তার। নৌকা ডুবে ছোট্ট আয়লানের নির্মম মৃত্যু হলো। তুরস্কের বদ্রুম উপকূলে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা ফুটফুটে নিষ্পাপ আয়লান বিশ্ব নেতাদের তো বটেই, বিশ্ববিবেককে নতুন করে জাগিয়ে তুলল। অপরাধী করে তুলল। জাগিয়ে তুলল এক নতুন মানবতাকে। আয়লানের মৃত্যু ইউরোপসহ বিশ্ববাসীকে নতুন এক বার্তা দিল। এখন ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, কানাডা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রিয়া যুদ্ধের কারণে আশ্রয়হীন লাখ লাখ মানুষকে সেসব দেশে থাকার অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছে। আমরা আর আয়লানের মতো নিষ্পাপ শিশুর লাশ সমুদ্র উপত্যকায় দেখতে চাই না। এমএ সালেহ নারিন্দা, ঢাকা বিদ্যুত চাই আমরা কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলা সদরের স্থায়ী বাসিন্দা। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানতে পারি, দেশে ৮ হাজার মেগাওয়াটের ওপর বিদ্যুত উৎপন্ন হয়েছে। কিন্তু আমাদের ভাগ্যে বিদ্যুত জোটে না। তাহলে এ বিদ্যুত কোথায় ব্যবহৃত হয়? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ঘোষণা করেছেন, দেশের মানুষ যেন কোনভাবেই বিদ্যুত থেকে বঞ্চিত না হয়। অথচ আমরা বিভিন্ন সময় (রোজা, ঈদ, উৎসব) বিদ্যুত থেকে বঞ্চিত হই। আমরা এর প্রতিকার চাই। উল্লেখ্য, উক্ত এলাকায় পল্লীবিদ্যুত সমিতি কোন দিনই একাধারে ২০-৩০ মিনিটের বেশি বিদ্যুত সরবরাহ দেয়নি। বিদ্যুতমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, একটি নির্দিষ্ট সময় আমাদের বিদ্যুত দেয়া হোক। মাহবুবুল আলম খোকন, বুলবুল চৌধুরী করিমগঞ্জ বাজার, কিশোরগঞ্জ
×