ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে জাপার সম্মেলন ॥ বিএনপি এখন কফিনে, খালেদা জেলে গেলে শেষ পেরেক ॥ এরশাদ

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

চট্টগ্রামে জাপার সম্মেলন ॥ বিএনপি এখন কফিনে, খালেদা জেলে গেলে শেষ পেরেক ॥ এরশাদ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনের ডাক দেয়। কিন্তু কেউ রাস্তায় নামে না। বিএনপি এখন কফিনে। খালেদা জিয়া যেদিন জেলে যাবেন সেদিন কফিনে শেষ পেরেক লাগবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এ সম্মেলনে পার্টি প্রধান এরশাদ বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, ময়মনসিংহের এক জনসভায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন এরশাদের ঠিকানা হবে জেলখানায়। আর বের হবেন লাশ হয়ে। বিএনপি নেত্রী ভেবেছিলেন তিনি আবারও ক্ষমতায় আসবেন। কিন্তু পারেননি। জনগণ তাকে চায়নি। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আমি কিন্তু জীবন্ত আছি। কে লাশ হয়ে বের হয় তা দেখার অপেক্ষায় আছি। তিনি বলেন, বিএনপি এখন কোথায়? বিএনপি কফিনে আছে। খালেদা জিয়া যেদিন জেলে যাবেন সেদিন ওই কফিনে শেষ পেরেক লেগে যাবে। বিএনপির আন্দোলনের ডাকে মানুষ এখন আর রাস্তায় নামে না বলে উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টিই একমাত্র দল যে দলটি সরকারের কর্মকা- নিয়ে কথা বলছে। জাতীয় পার্টি গণতন্ত্রের পক্ষে ছিল, থাকবে। তিনি জাতীয় পার্টির পতাকাতলে সমবেত হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান। জাতীয় পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আহবায়ক মাহজাবীন মোরশেদ এমপির সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু এমপি। বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় ও চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ। মহানগরীর বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা এতে যোগ দেন। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুটি গ্রুপের কোন্দল চরমে উঠে। এই সম্মেলনের বিরুদ্ধে মাঠে সক্রিয় ভূমিকায় থাকে দলের একটি অংশ। তাদের অভিযোগ, সম্মেলনের নামে একটি পকেট কমিটি ঘোষণার নীলনক্সা চূড়ান্ত হয়েছে। এ অবস্থায় জাপার সম্মেলনে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা বিরাজ করে। তবে শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি। চট্টগ্রামে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে দুটি ধারা সক্রিয় রয়েছে। একপক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন বর্তমান আহবায়ক মাহজাবীন মোরশেদ এমপি। অপর অংশের নেতৃত্বে আছেন মহানগর জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠ। সম্মেলনে সোলায়মান শেঠ আমন্ত্রণ পাননি বলে জানা যায় পার্টির অভ্যন্তরীণ সূত্রে। জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ অনুসারী নেতাকর্মীরা এ সম্মেলন মানেন না বলে ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, এটি সম্মেলনের নামে কার্যত একটি পকেট কমিটি ঘোষণার আয়োজন। জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা যায়, সোলায়মান আলম শেঠের নেতৃত্বে কাউন্সিলের মাধ্যমে ২০১৩ সালের মার্চে যে কমিটি গঠিত হয়েছিল তা পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ভেঙ্গে দেন ২০১৪ সালের ৯ আগস্ট। আদেশে মাহজাবীন মোরশেদ এমপিকে আহবায়ক করে ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের জন্য বলা হয়। কিন্তু পর পর চারবার সময় বৃদ্ধি করেও তেরো মাসে সে কমিটি গঠন করা যায়নি।
×