ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কঙ্গনার স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ০৮:৪৪, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

কঙ্গনার স্বীকারোক্তি

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ খ্যাতির শীর্ষে থাকা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জীবনের সব কিছুই যে মধুর নয়, তা পরিচালক মধুর ভা-ারকর তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রে নানাভাবে দেখিয়েছেন। তাঁর চলচ্চিত্রেই দেখা গিয়েছিল সাফল্যের চূড়ায় থাকা এক মডেলের ড্রাগের নেশায় হারিয়ে গিয়ে ফুটপাথে জীবনযাপন। ২০০৮ সালে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের সময়ে কিছু না জানালেও এ বার কঙ্গনা রানাউত জানালেন, তিনিও এক সময়ে ফুটপাথে রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। তাও সেটা এক-দু’রাতের ব্যাপার ছিল না বেশ অনেক দিনই মুম্বাইয়ে ফুটপাথবাসীর জীবন কাটিয়েছেন তিনি। আসলে এই মুহূর্তে খ্যাতির শীর্ষে থাকা কুইন সম্প্রতি মন দিয়েছেন জীবনের হিসাব-নিকাশে। তিনি আছেন মানেই চলচ্চিত্র হিট এমনটাই ধরে নিচ্ছে বলিউড। চলচ্চিত্র যে রকমই হোক না কেন, শুধু তাঁকে দেখতে গিয়েই ভক্তরা পয়সা তুলে দিচ্ছেন পরিচালক-প্রযোজকের ঘরে। তবে শুরুটা যে আদৌ এ রকম ছিল না, তাড়িয়ে তাড়িয়ে সাফল্য উপভোগের মাঝেই জানালেন কঙ্গনা। কঙ্গনা জানিয়েছেন আজকের মসৃণ জীবনযাত্রার থেকে অনেক অনেক দূরে ছিল শুরুর সেই দিনগুলো! মুম্বাইয়ে আমি বিমানের প্রথম শ্রেণী থেকে বেরিয়ে পা রাখিনি! ছোট শহরের মেয়ে হিসেবে মুম্বাইয়ে যে ধাক্কা খেতে হয়, তার সব কটাই কপালে জুটেছিল তাঁর। সেই সময়ে শীততাপনিয়ন্ত্রিত গাড়িতে চড়ে শহর সফরের কথা কল্পনাও করতে পারতেন না নায়িকা। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হলে সেই সময়ে বাসে বা ট্রেনে গিয়েছি। কখনও কখনও পয়সার অভাবে তাও পারতাম না। তখন উপায় বলতে কেবল হাঁটা। আর ফুটপাথের জীবন? পয়সা ছিল না বলে ওই সময়টায় ঘর ভাড়া নিতে পারিনি। তাই ফুটপাথেই থাকতাম। এখন ফুটপাথে একটা মেয়ে থাকলে তাকে যে ভাবে হেনস্থা হতে হয়, আমার সঙ্গেও তাই হয়েছিল। আমি বদ লোকদের ফাঁদে পড়ে গিয়েছিলাম। বাধ্য হয়ে সেই সময়টায় আমায় পুলিশের কাছে যেতে হয়। জীবনের অন্ধকার দিক আমি কম দেখিনি, সরল স্বীকারোক্তি নায়িকার! তবে ঠিক পরের মুহূর্তেই নায়িকার হাসি ফের প্রমাণ করে দিল, জীবনে নিরবচ্ছিন্ন অন্ধকার বলে কিছু থাকে না। ওই অন্ধকার দিকের পাশাপাশিই দেখুন, আমি দু’বার রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছি। তাছাড়া আজ আমি বলিউডের সব থেকে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী। আর জানালেন, ভেঙে না পড়ে বাধাগুলোকেই সুবিধে হিসেবে নিয়েছিলেন বলেই জীবনে এতটা এগোতে পেরেছেন তিনি।
×