ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধ, সহিংসতা ও দমন-পীড়ন

ইউরোপে ঢুকবে সাড়ে আট লাখ শরণার্থী ॥ জাতিসংঘ

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ইউরোপে ঢুকবে সাড়ে আট লাখ শরণার্থী ॥ জাতিসংঘ

যুদ্ধ ও সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত অন্তত সাড়ে আট লাখ মানুষ এ বছর এবং আগামী বছরে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে আশ্রয়ের আশায় ইউরোপে ঢুকবে বলে জাতিসংঘ মঙ্গলবার জনিয়েছে। শরণার্থীর এই স্রোত সামাল দিতে ধনী দেশগুলোর অভিবাসন আইন ঢেলে সাজানো প্রয়োজন বলেও মত দিয়েছে জাতিসংঘ। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ওয়েবসাইটের। সিরিয়া ও লিবিয়ার যুদ্ধ, আফগানিস্তানের অস্থিরতা এবং ইরিত্রিয়ার দমন-পীড়নের কারণে দু’বছর আগে ইউরোপমুখী দেশান্তরের প্রবণতা বাড়তে শুরু করে। সম্প্রতি শরণার্থীদের বহনকারী নৌকা ডুবে ভূমধ্যসাগরে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুর পর এ সঙ্কটের ভয়াবহতা নতুন মাত্রা নিয়ে বিশ্বের সামনে হাজির হয়। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, ২০১৫ সালে অন্তত চার লাখ মানুষ ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে আফ্রিকা থেকে ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন করতে পারে। ২০১৬ সালে এই আবেদনের সংখ্যা সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র উইলিয়াম স্পিন্ডলার জানান, চলতি বছর এরই মধ্যে তিন লাখ ৬৬ হাজার শরণার্থী ইউরোপে পৌঁছে গেছেন। আসছে শীতে সাগর অনেক বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠলে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে আসার চেষ্টা কমবে কিনা, তার ওপরই পুরো পরিস্থিতি নির্ভর করবে। তবে শীতের মাসগুলো এগিয়ে এলেও শরণার্থীর স্রোত কমার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বরং সিরীয় শরণার্থীদের ক্ষেত্রে জার্মানির আইন শিথিল করার ঘোষণায় সাগর পাড়ি দেয়ার ভয়ঙ্কর চেষ্টা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। ইউএনএইচসিআর বলছে, সোমবার একদিনেই মেসিডোনিয়ায় প্রবেশ করেছেন সাত হাজার সিরীয় শরণার্থী। এটি একদিনের হিসেবে সর্বোচ্চ রেকর্ড। প্রায় ৩০ হাজার শরণার্থী এখনও অবস্থান করছেন ভূমধ্যসাগরে গ্রিসের বিভিন্ন দ্বীপে। এরা হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া হয়ে জার্মানি যাওয়ার অপেক্ষায়। এর মধ্যে লেসবস দ্বীপেই আছে ২০ হাজার শরণার্থী। এদিকে ইইউভুক্ত দেশের মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার শরণার্থীর দায়িত্ব ভাগ করে দিতে একটি পরিকল্পনার খসড়া বুধবার প্রকাশ করা হয়। এই কোটা ব্যবস্থাকে জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মেরকেল দেখছেন সঙ্কট উত্তরণের ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রথম ধাপ’ হিসেবে। তিনি বলেছেন, আশ্রয় পাওয়ার অধিকার যাদের আছে তাদের ক্ষেত্রে আরও খোলামেলা একটি ব্যবস্থা ইইউকে নিতে হবে।
×