ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে ৫২ ভাগ কোম্পানির দরপতন

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

পুঁজিবাজারে ৫২ ভাগ কোম্পানির দরপতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেনের খরা কাটছে না। পবিত্র ঈদ-উল-আযহার আগের বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার চাপে সূচকের সঙ্গে লেনদেনও টানা কমছে। আগের দিনের ধারাবাহিকতায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বুধবারে দর কমেছে। প্রধান বাজার ডিএসইতে প্রায় ৫২ ভাগ কোম্পানির দর কমেছে। তবে বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমলেও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর দর একটি ছাড়া বাকি ২৯টিরই দর বেড়েছে। আগামী তৃতীয় প্রান্তিকে আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর মুনাফা আগের তুলনায় বাড়বে এমন আশাবাদ ছড়িয়ে পড়ায় চাহিদা বেড়েছে। শুধু খাতটি ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিংয়ের শেয়ার ছাড়া বাকি সব কোম্পানির দর বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। তাই খাতটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আলাদা আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার, যা মঙ্গলবারের তুলনায় ২৯ কোটি ৬ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ কম। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩২০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৩টির, কমেছে ১৭১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির শেয়ার দর। সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পর ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ২৬ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৭৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১৬৭ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮১৫ পয়েন্টে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দিনটিতে ডিএসইতে মোট ব্লক মার্কেটে ১৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শুধু গ্লাক্সোমিথক্লাইনের শেয়ারেরই ১০ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ৫০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। মাত্র ২ হাওলায় এ শেয়ারগুলো লেনদেন হয়েছে। এর বাইরে গ্রামীণফোনের ১ কোটি ১৪ লাখ টাকার ৩৫ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলোÑ স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, গ্রামীণফোন, আমান ফিড লিমিটেড, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেড, এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বিডি, আইডিএলসি ফিন্যান্স লিমিটেড, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড এবং ওরিয়ন ইনফিউশনস। ডিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : মুন্নু সিরামিক, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, হাক্কানী পাল্প, মুন্নু স্টাফলারস, আইপিডিসি, বিডি ওয়েল্ডিং, ন্যাশনাল টিউবস, আরামিট সিমেন্ট ও লংকাবাংলা ফিন্যান্স। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : জুটস স্পিনার্স, রূপালী লাইফ, এইম ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ১ম আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, ১ম আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড, শমরিতা হসপিটাল, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স ও ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং লিমিটেড। এদিকে ঢাকার বাজারের মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও সব ধরনের সূচক কমেছে। সেখানে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও কমেছে। সিএসইতে ২৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ৫৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৭১ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৬০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৫টির, কমেছে ১৩৭টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : আমান ফিড, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ইউনাইটেড এয়ার, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, এমারেল্ড ওয়েল, আরামিট সিমেন্ট, বেক্সিমকো ফার্মা ও সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল।
×