ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চিংড়িতে ভেজাল ৭ জনকে কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ০৮:০৮, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

চিংড়িতে ভেজাল  ৭ জনকে  কারাদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দোকানের নাম-আল্লাহর দান। কিন্তুু ভেতরে চলে সব ভেজাল কায়-কায়বার। এমন অপরাধে উপস্থিত দর্শকরাও ক্ষুব্ধ। তাদেরও মন্তব্য, দেন ওদের ভাল সাজা। আর যাতে এমন কারবার না করে। যাত্রাবাড়ীর কয়েকটি মৎস্য আড়তে মঙ্গলবার সকালে অভিযান চালায় র‌্যাব। তখন ধরা পড়ে আল্লাহর দানসহ এসব আড়তে কিভাবে চিংড়ি মাছে ভেজাল দেয়া হয়। এ সময় ৭ মৎস ব্যবসায়ীকে কারাদ- ও জরিমানা করা হয়। জানা যায়, হোয়াইট গোল্ড বা সাদা সোনা নামে খ্যাত এ চিংড়ির কদর বিশ্বব্যাপী থাকলেও এখন হুমকির মুখে পড়েছে। এ ধরনের ভেজালের দরুন বিদেশেও ভাবমূতি ক্ষুণœ হচ্ছে। এমন চেতনাবোধ থেকেই র‌্যাব-২ ছায়া তদন্তে নামে। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ও মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তা মোঃ নাজিম উদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত উত্তর এবং দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকায় আড়তগুলোতে হানা দেয়। এ সময় বুড়িগঙ্গা মৎস্য আড়ত, আল্লাহর দান মৎস্য আড়ত, আলী মার্কেট মৎস্য আড়তে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৫০০ কেজি ভেজাল গলদা চিংড়ি জব্দ করে। এ সব মাছ মজুদ ও বিক্রয়ের অপরাধে ৭ মৎস্য বিক্রেতাকে আটক করা হয়। আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ঢাকার বিভিন্ন বাজারে গলদা চিংড়ির চাহিদা অনেক বেশি। এ চাহিদা মেটানো ও অতি মুনাফা লাভের আশায় দেশের সুমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চল সাতক্ষীরা, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল এলাকা হতে এ মাছ সংগ্রহ করার পর মাছের ওজন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলি, সাদা লোহা, সাগু ও পানিসহ বিভিন্ন অপদ্রব্য ইনজেকশন দিয়ে পুশ করা হয়। ফলে এ মাছ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়াসহ ব্যাপক স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে। আটককৃতদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৪২ ধারায় পবিত্র কুমার (২১), মোঃ মাসুদ (২৮), মোঃ জাকির (৩৪), রাশেদ মোড়ল (৩০), জয়দেব নন্দি (২৭), মনিরুজ্জামান (২৯) ও মোঃ আজিজুল চৌকিদারকে (৩০), জেল জরিমানা করা হয়।
×