ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুলতান ইশতিয়াকের একক চিত্র প্রদর্শনী

প্রাচীন আর পুরনোর পরতে পরতে শৈল্পিক পরিভ্রমণ

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

প্রাচীন আর পুরনোর পরতে পরতে শৈল্পিক পরিভ্রমণ

মোরসালিন মিজান ॥ একটু যেন পেছন ফিরে দেখা। প্রাচীন আর পুরনোর পরতে পরতে যে গল্প, খুঁজে নেয়ার প্রয়াস। পাঠ এবং পরিভ্রমণ। শিল্পী সুলতান ইশতিয়াক আদি ঢাকার বিস্মৃত গলিপথ খুঁজে নিয়েছেন। পথিকের মতো হেঁটে পৌঁছে গিয়েছেন গৌরবময় ইতিহাসের স্মারক পানাম নগরীতে। কত কত দেখা! জলরঙে ফুটিয়ে তুলেছেন। এভাবে বেশ কিছু ছবি। এসব ছবি নিয়ে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে এখন চলছে বিশেষ প্রদর্শনী। শিরোনাম- দ্য মেলানকলি অব আরবান লাইফ। ইশতিয়াক বয়সে তরুণ। এখনও শিক্ষার্থী। তবে তাঁর চিত্রকর্মকে বয়সের তুলনায় অনেক বেশি পরিণতই বলতে হবে। নিজস্ব শিল্পভাষায় নগর ও জীবনকে প্রকাশ করেছেন তিনি। অতীত ও ঐতিহ্যের প্রতি টান অনুভব করেন। হয়ত তাই পুরনো ঢাকা তাঁর অন্যতম আশ্রয়। বিভিন্ন দূরত্বে থেকে চারপাশ দেখেন তিনি। কখনও চোখের সমান্তরাল অবস্থানে থেকে, কখনওবা উপর থেকে দৃষ্টি ফেলেন। তবে সবই ঘনিষ্ঠ চোখে দেখা। রিয়ালিস্টিক কাজ। কল্পনার যেটুকু বিস্তার, খুব যৌক্তিক হয়ে ধরা দেয়। অনুভূতির ডিটেইল করেন শিল্পী। তবে প্রমিন্যান্ট ডিটেইল না। ভাসা ভাসা। তাঁর লাইট এ্যান্ড শ্যাডোর খেলাটিকে বলা যায় জাদুর খেলা। আলো-আঁধারীর মধ্য দিয়ে অদ্ভুত নাটকীয়তার জন্ম দেন শিল্পী। এ খেলা সত্যি দেখার মতো। শিল্পী ধুঁকতে থাকা বাড়িকে আঁকেন। বিশাল কাঠামো থেকে স্থাপত্য শৈলীর নিদর্শন খুঁজে নেন সযতেœ। সরু গলি, প্রতিদিনের জীবনকে চিত্রিত করেন। জীবনের পাশাপাশি যে জঞ্জাল, সে-ও অনুষঙ্গ হয়। চমৎকার ফিগার আঁকেন শিল্পী। ব্যাক লাইটের সৌন্দর্য আর সামনে পরা শ্যাডো সত্যি উপভোগ্য। হতে পারে, চ্যালেঞ্জ নেয়ার মানস থেকে শিল্পী ডকইয়ার্ডে পৌঁছে যান। জাহাজ নির্মাণের মতো জটিল প্রক্রিয়া থেকে নিজের শিল্পভাষা নির্মাণ করেন। এখানেই বিশেষ পরিণত মনে হয় শিল্পীকে। একইভাবে তিনি আঁকেন পানাম নগরীর ছবি। সুলতান ইশতিয়াকের দ্বিতীয় একক প্রদর্শনী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
×