ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচার অভিযান শুরু

নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক পাঠানোর আহ্বান সুচির

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক পাঠানোর আহ্বান সুচির

মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় নেত্রী আউং সান সুচি নবেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহযোগিতার জন্য মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সম্পদ্রায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সাবেক জান্তাশাসিত দেশটিতে যথার্থ রাজনৈতিক ও সরকার পরিবর্তনে এ নির্ধারণের প্রচার অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলে গণতন্ত্রকামী নেত্রী এ আহ্বান জানান। খবর এএফপির। মিয়ানমারে এ নির্বাচনে প্রায় ৩ কোটি নাগরিক ভোট দেবে। এদের অনেকেই জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দেবে। সিকি শতাব্দীর মধ্যে দেশব্যাপী এ একমাত্র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। এনএলডি প্রকাশিত ইংরেজী ভাষায় এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমাদের জনগণ যথার্থ পরিবর্তন ঘটানোর জন্য কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম সত্যিকার সুযোগ পাবে। এ সুযোগ আমরা ছেড়ে দিতে পারি না। সুচি নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আন্তর্জাতিক সম্পদ্রায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা আমাদের জনগণকে নিশ্চিত করুন যে তাদের ইচ্ছার প্রতি এবং সত্যিকার রাজনৈতিক ও সরকার পরিবর্তনের এ ব্যবস্থাতে তাদের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখানো হয়েছে। তিনি মিয়ানমারের ভাষায় পৃথক এক বার্তায় ভোটারদের ভোট দেয়ার আগে ভবিষ্যত প্রজন্মের ব্যাপারে ভাবার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এনএলডি মনে করে, জনগণের দুর্বার ইচ্ছায় দল নির্বাচনে বিজয়ী হবে। মিয়ানমারের এ নির্বাচনে প্রায় ৯০টি রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। নির্বাচনে এনএলডির ১ হাজারের বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ সংখ্যা দলটির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সেনাবাহিনী সমর্থিত ক্ষমতাসীসন ইউনিয়ন সলিডারিটি এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (ইউএসডিপি) প্রার্থী সংখ্যার চেয়ে কিছুটা বেশি। এক শ’ শরণার্থী শিশু নিজের বাড়িতে রাখবেন উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে এতিম হয়ে যাওয়া অন্তত এক শ’ শিশুকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেয়ার কথা জানিয়েছেন উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট হোসে মুজিকা। শীঘ্রই এসব শিশু প্রেসিডেন্টের বাড়িতে পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর ওয়েবসাইটের। মুজিকার গ্রীষ্মকালীন নিবাসে তাদের পৌঁছানোর কথা রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির থেকে শিশুদের সেখানে পাঠানো হবে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) একজন অভিভাবক ছাড়া এতিমদের নতুন আবাসে পাঠায় না। ফলে ওই সব শিশু তাদের অন্তত একজন স্বজন নিয়ে উরুগুয়ে যাবে। যেমন- চাচা, ভাই-বোন কিংবা জ্ঞাতি ভাই-বোন। তবে শিশুদের সঠিক সংখ্যাটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যেহেতু বিশেষত, উরুগুয়ে সরকারই শিশুদের সমস্ত খরচ বহন করবে। ‘বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে খ্যাত মুজিকা নিজের মাসিক বেতন ১২ হাজার মার্কিন ডলারের অধিকাংশেই দাতব্য কাজে দান করে দেন। তিনি নিজে মাত্র একটি শয়নকক্ষ সংবলিত বাড়িতে বসবাস করেন। যদিও সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে তার সম্পত্তির পরিমাণ বেশি বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
×