ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঘরোয়া ক্রিকেটে স্পোর্টিং উইকেট চান প্রধান নির্বাচক ফারুক

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ঘরোয়া ক্রিকেটে স্পোর্টিং উইকেট চান প্রধান নির্বাচক ফারুক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঘরের মাটিতে বাংলাদেশ দল এখন ক্রিকেট মাঠের সত্যিকার টাইগার। তবে বিভিন্ন সময়ে নিজেদের গড়া উইকেটই নিজেদের জন্য ফাঁদ হয়ে গেছে স্বাগতিকদের জন্য। এবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগামী মাসে দুই টেস্টের সিরিজের আগে ভালভাবে দলকে প্রস্তুত করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সে কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেমন উইকেট থাকে তেমনটাই ঘরোয়া আসরে চান ক্রিকেটাররা। আর বরাবরের মতো এবারও জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ দাবি করলেন স্পোর্টিং উইকেটের। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হবে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট আসর জাতীয় ক্রিকেট লীগ (এনসিএল)। তবে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে সকলের চাওয়া অনুসারেই উইকেট তৈরি করতে চান বিসিবি গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান হানিফ ভূঁইয়া। স্পোর্টিং উইকেট সব পর্যায়ে রাখা যায় কি না সেটাও বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত আগস্টের প্রথম সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোমসিরিজ শেষ হওয়ার পর থেকেই খেলার মধ্যে নেই ক্রিকেটাররা। এখন শুধু অনুশীলনেই সীমাবদ্ধ ক্রিকেটারদের কার্যক্রম। তবে ঈদ উল আযহার আগেই শুরু হচ্ছে ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। এনসিএল শুরু ১৮ সেপ্টেম্বর। এ আসরে এবার কেমন উইকেটে খেলা হলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরবর্তী টেস্ট সিরিজের জন্য কার্যকর কিছু উপকার পাবে ক্রিকেটাররা? সেটা নিয়েই এবার চিন্তা। এ বিষয়ে হানিফ বলেন, ‘প্রধান নির্বাচক আছেন, বিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গেও আগে একবার কথা হয়েছিল। যারা বাংলাদেশে গ্রাউন্ডের দায়িত্বে রয়েছেন, যারা ইনচার্জ রয়েছেন তাদের সবাইকে ডাকা হয়েছে। চেষ্টা করেছি যারা পিচ তৈরি করে এবং যারা নির্বাচক রয়েছেন তাদের মধ্যে আলোচনা করেই যেন উইকেট তৈরি করেন।’ ভাবা হচ্ছে আগামী বছর দেশের মাটিতে অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ নিয়েও। ওই টুর্নামেন্টে উইকেট কেমন হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান হানিফ। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আসলে সবে শুরু করলাম। এরপর দ্বিতীয়, তৃতীয় বিভাগে বানানোর চেষ্টা করব। সব পর্যায়ের ক্রিকেটে স্পোর্টিং উইকেট রাখা যায় কি না তা নিয়েও আলোচনা করেছি আমরা।’ কিন্তু আলোচনা যাই হোক জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক ফারুক কিন্তু স্পোর্টিং উইকেটই চান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ঘরোয়া ক্রিকেটটা ঢেলে সাজানোর। সবার আগে দেখছি যেখান ভিত তৈরি হয় সেই জাতীয় লীগ নিয়ে। আমরা স্পোর্টিং উইকেট চেয়েছি। ঘাস থাকল কী থাকল না সেটা বিষয় না। সত্যিকারের বাউন্সি উইকটে হতে হবে। বোলাররা সুবিধা পাবে। আবার ব্যাটসম্যানরাও সুবিধা নিতে পারবে।’ এমন উইকেট তিনি চাইছেন মূলত দেশের বাইরে খেলার সুবিধার্থে। কারণ দেশে ধীরগতির উইকেটে খেলে অভ্যাসের পর বিদেশের মাটিতে বাউন্সি উইকেটে সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ দল। এ বিষয়ে ফারুক বলেন, ‘বিশেষ করে চারদিনের ম্যাচগুলোতে। বাইরে দেশে গেলে আমরা যে ধরনের উইকেট ফেস করে থাকি। বাউন্স হবে কিন্তু লো বাউন্স হবে না। লো বাউন্স হলে আবার অনেক সময় খেলতে সমস্যা হয়। লো বাউন্সের উইকেটে স্পিনাররাও বুঝতে পারেন না তার বল কতটটা ভাল হচ্ছে।’ অক্টোবরে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টের হোমসিরিজ। সেটা মাথায় রেখেও উইকেট তৈরি করতে হবে। এ বিষয়ে অবশ্য ফারুক বললেন, ‘অস্ট্রেলিয়া সিরিজ এখনও অনেকদিন বাকি। কোচ সবে এসেছেন। সিরিজ শুরুর কয়েকদিন আগে তার সঙ্গে আলোচনা করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উইকেট তৈরির কথা ভাবব।’
×