ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ তিন মামলার পৃথক পৃথক শুনানির দিন ধার্য

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ তিন মামলার পৃথক পৃথক শুনানির দিন ধার্য

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পৃথক পৃথকভাবে তিনটি মামলার অভিযোগের ওপর শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কিশোরগঞ্জের নাসির উদ্দিন আহমেদ ও শামসুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) শুনানির জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। হবিগঞ্জের দুই সহোদর রাজাকার কমান্ডার মহিবুর রহমান ওরফে বড় মিয়া ও মজিবুর রহমান ওরফে আঙ্গুর মিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ হেয়ারিংয়ের জন্য ১৬ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জামালপুরের সৈয়দ আশরাফসহ ৮ রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানির জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশগুলো প্রদান করেছেন। অন্যদিকে কিশোরগঞ্জের নাসির উদ্দিন আহমেদ ও শামসুদ্দিন আহমেদের মামলা এবং জামালপুরের আট রাজাকারের মামলা দুটি ট্রাইব্যুনাল-২ থেকে ট্রাইব্যুনাল-১ এ হস্তান্তর করা হয়েছে। নাসির-শামসুদ্দিন ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কিশোরগঞ্জের নাসির উদ্দিন আহমেদ ও শামসুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) শুনানির জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের বিষয়ে শুনানির জন্য নতুন এই তারিখ ধার্য করা হয়েছে। রবিবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে সময় আবেদন করেন মামলার প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন। প্রসিকিউটর সুলতানা রেজিয়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মাদ আতিক ও আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান। হবিগঞ্জের দুই রাজাকার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হবিগঞ্জের দুই সহোদর রাজাকার কমান্ডার মহিবুর রহমান ওরফে বড় মিয়া ও মজিবুর রহমান ওরফে আঙ্গুর মিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ হেয়ারিংয়ের জন্য ১৬ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দিয়েছেন। দুই সহোদরের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ২টি হত্যা, ১টি ধর্ষণ, ১টি অপহরণ, আটক ও ১টি অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর। জামালপুরের ৮ রাজাকার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামালপুরের রাজাকার কমান্ডার আশরাফ হোসেনসহ ৮ রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ প্রদান করেছেন। এই আটজন হচ্ছেন আশরাফ হোসেন, অধ্যাপক শরীফ আহম্মেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মোঃ আবদুল মান্নান, মোঃ আবদুল বারী, মোঃ হারুন, মোঃ আবুল হাশেম, শামসুল হক ওরফে বদর ভাই ও এস এম ইউসুফ আলী। প্রসিকিউশনের আবেদনে গত ৩ মার্চ আশরাফ হোসেনসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। পরোয়ানা জারির পর ওইদিনই বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে অভিযান চালিয়ে জামালপুর শহরের নয়াপাড়ায় নিজ বাড়ি থেকে শামসুল হককে ও ফুলবাড়িয়ার জাহেদা শফির মহিলা কলেজ গেট প্রাঙ্গণ থেকে ইউসুফ আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই দুইজনকে তদন্তের স্বার্থে ৬ মার্চ সেফহোমে নিয়ে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন। ২৪ মার্চ তদন্ত সংস্থা ৮ রাজাকারের বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগ এনে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেন। এর পরের দিন তা চীফ প্রসিকিউটরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রসিকিউশন পক্ষ ওই ১০টি অভিযোগে থেকে একটি অভিযোগ বাদ দিয়ে অন্যান্য অভিযোগ সমন্বয় করে মোট ৫টি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন প্রসিকিউশন পক্ষ। ২ মামলা ট্রাইব্যুনাল-১ এ হস্তান্তর ॥ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জের নাসির উদ্দিন আহমেদ ও শামসুদ্দিন আহমেদের মামলা এবং জামালপুরের আট রাজাকারের মামলা দুটি ট্রাইব্যুনাল-২ থেকে ট্রাইব্যুনাল-১ এ হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এই মামলা দুটি হন্তান্তর করা হয়। ট্রাইব্যুনাল-২ এ কিশোরগঞ্জের নাসির উদ্দিন আহমেদ ও শামসুদ্দিন আহমেদের মামলাটি অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছিল। এ মামলায় প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করছেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন। পাশাপাশি জামালপুরের আট রাজাকারের মামলাটিও অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছিল। আর এ মামলাটির প্রসিকিউটর হলেন প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল। এর আগে হবিগঞ্জের দুই সহোদর রাজাকার কমান্ডার মহিবুর রহমান ওরফে বড় মিয়া ও মজিবুর রহমান ওরফে আঙ্গুর মিয়া মামলাটিও ট্রাইব্যুনাল-১ এ স্থানান্তর করা হয়।
×