নবান্ন অভিযান ও সাধারণ ধর্মঘটের সাফল্যে উৎসাহিত সিপিএম সংগঠনের এই চাঙ্গা অবস্থাকে আরও চাঙ্গা করতে আগামী ২৭ ডিসেম্বর ব্রিগেড প্যারেডে জনসভা করার কথা ভাবছে। এর আগে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করে ২৭-৩০ ডিসেম্বর প্লেনাম (কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্ণাঙ্গ বৈঠক) হবে কলকাতায়। সেই প্লেনামের শুরুতে ব্রিগেড প্যারেডে জনসভা করবে সিপিএম। রাজ্য সম্পাদকম-লীর বৈঠকে এমনটাই ঠিক হয়েছে। তবে তা রাজ্য কমিটিতে পাস করাতে হবে। খবর আজকাল অনলাইনের।
ক’দিন পরই রাজ্য কমিটির দুদিনের বৈঠক। সেখানে অনুমোদনের পর এই জনসভার কথা ঘোষণা করা হতে পারে। রাজ্য সম্পাদকম-লীর বৈঠকে সাম্প্রতিক দুই সফল কর্মসূচী নিয়ে রিভিউ হয়। তাতে ঠিক হয়েছে, আগামী কর্মসূচীগুলোতেও এই সাফল্য ধরে রাখতে হবে। ৯-১০ সেপ্টেম্বর বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কলকাতায় অবস্থান ধর্মঘট করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। খাদ্য সুরক্ষার নামে লাখ লাখ রেশন কার্ড বাতিল করছে সরকার। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের জন্য এক দিন মেয়াদ বাড়াতে রাজি হয়নি সরকার। এ বিষয়টি নিয়ে লাগাতার আন্দোলনের চিন্তা করছে বামদলগুলো। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না। তা নিয়েও বড় আন্দোলনে যেতে চায় দল। তবে এই সব আন্দোলন ১৭ বাম দলের ঐক্য বজায় রেখেই করতে চায় তারা। তাই ৬ সেপ্টেম্বর ১৭ বাম দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। এদিন কলকাতায় ১৭ বাম দলের প্রতিবাদ মিছিলে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন, ধর্মঘটের সাফল্যে তৃণমূল সরকার ভয় পেয়েছে। তাই আক্রমণের পথ নিয়েছে।
মিথ্যেমামলা দিয়ে প্রতিবাদ থামাতে চাইছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা শুরু করেছে। বুধবারের স্বতঃস্ফূর্ত সাধারণ ধর্মঘটে শাসক দল ও প্রশাসন আক্রমণ চালিয়েছে, এই অভিযোগে এদিন গোটা রাজ্যেই প্রতিবাদ মিছিল বের করে ১৭টি বামপন্থী দল। কলকাতায় কেন্দ্রীয় মিছিলটি হয় সুবোধ মল্লিক স্কায়ার থেকে এন্টালি বাজার পর্যন্ত।
বেশ বড়সড় এই মিছিলে সেøাগান ওঠে ‘মুখ্যমন্ত্রীকে ধিক্কার’। বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাজ্য জুড়ে ধিক্কার মিছিলের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেজন্যই মুখ্যমন্ত্রীর নামে ধিক্কারধ্বনি দিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন বামপন্থীরা। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মনোজ ভট্টাচার্য, অমিতাভ চ্যাটার্জি, তরুণ ম-ল, প্রবীর দেব, নিরঞ্জন চ্যাটার্জি প্রমুখ।