ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কোথায় রাখি এ লজ্জা

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

সোমবার সকালে পত্রিকায় চোখ বুলাতেই চমকে উঠি। এও কি সম্ভব! ছাত্র নামধারী কেউ এমন কাজ করতে পারল? ক্ষোভে, দুঃখে আমি নিজেও হতবিহ্বল। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তাঁর সহধর্মিণী ড. ইয়াসমিন হক দেশের সকল ছাত্রছাত্রীর কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র। সবার কাছে আদর্শ। অথচ সেই শিক্ষক দম্পতিকেই বার বার কণ্টক বিছানো পথ মাড়াতে হয়েছে। পত্রিকার প্রথম পাতায় লাঞ্ছিত হতবিহ্বল ড. ইয়াসমিন হক এবং ইনসেটে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ভগ্ন হৃদয়ে নিশ্চুপ বসে থাকা মুহম্মদ জাফর ইকবালের ছবিই আমাদের বলে দেয় তারা কতটা ব্যথিত। মুহম্মদ জাফর ইকবাল নিজেই বলেছেন, ‘জীবনে কখনও কল্পনাও করিনি আজকের এই দৃশ্য আমাকে চোখে দেখতে হবে। এখানে শিক্ষকদের ওপর যে ছাত্ররা হামলা চালিয়েছে, যদি তারা আমার ছাত্র হয়ে থাকে আমার গলায় দড়ি দিয়ে মরে যাওয়া উচিত।’ তাঁর এ কথা থেকেই আমরা বুঝতে পারি, ছাত্রদের প্রতি তার কী অসীম মমত্ব ও ভালবাসা। আর তাঁর সহধর্মিণীকে আমরা দেখেছি কী মমত্ব নিয়ে তিনি শিক্ষা দেন; আবার মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কোন অপচেষ্টা দেখলে কী তেজস্বিনী রূপ নিয়ে হাজির হন। আমরা দেখেছি তাঁকে গণজাগরণ মঞ্চে, দেখেছি তাঁর দেশপ্রেম, দেখেছি দেশ ও জাতির জন্য তাঁর কী অপরিমেয় মমতা! দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্যই তিনি নিজেকে ধূপের মতো পুড়িয়ে পুড়িয়ে নিঃশেষ করে চলেছেন। আর আমরা প্রতিদানে কী দিলাম? লাঞ্ছনা, অপমান, অশ্রদ্ধাÑ এগুলোই কি তাঁর প্রাপ্য ছিল? ঘরের খুঁটি ভেঙ্গে কি ঘর ধরে রাখা যায়? ধিক্ সেই ছাত্র নামধারী নরপিশাচদের! বিকাশ কুজুর রামপুরা, ঢাকা। নশঁলঁৎপংপ@ুধযড়ড়.পড়স ঝুঁকিতে গণমাধ্যম বাংলাদেশে রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন, হয়রানি ও আক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। শুধু বাংলাদেশ না, বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশেও গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি স্বাধীন দেশে এ ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। একটি দেশের গণমাধ্যম তার জনসম্পদ কেননা, তাদের গঠনমূলক সমালোচনা ও দিকনির্দেশনা সংশ্লিষ্ট দেশের অর্থনীতিসহ সকল ক্ষেত্রকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে সক্ষম। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক এবং সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও কর্মীরা নিঃসন্দেহে কঠিন সময়ের মধ্যে যাচ্ছে। নিজের জীবন ঝুঁকি নিয়ে, বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়েও তারা সত্য ঘটনা প্রকাশের চেষ্টা করেন। এতে করে তাদের বিভিন্ন হুমকি-ধমকি, নির্যাতন সহ্য করতে হয়। এসবের মধ্য দিয়ে গণমাধ্যম সুষ্ঠুভাবে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে পারবে না। সাঈদ সাজ্জাদ জেরিস শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট বাস চাই পুরনো ঢাকার লোহারপুল থেকে গে-ারিয়া-মতিঝিল ও টঙ্গী পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালু করা আজ সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। কর্মজীবী মানুষের জন্য এটা খুব জরুরী। একসময় এ রুটে পাঞ্জেরি ও রাহবার নামের বাস সার্ভিস চালু ছিল। কিন্তু কয়েক বছর যাবত তা কী এক রহস্যজনক কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়। বিশেষ করে পুরান ঢাকার গরিব ও দরিদ্র জনসংখ্যা অধ্যুষিত এলাকার মানুষজন মতিঝিল, মগবাজার, মালিবাগ, বনানী, গুলশান, মহাখালী, তেজগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ভীষণ ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এ ছাড়াও বাসের জন্য গে-ারিয়া, সূত্রাপুর, ফরিদাবাদ, আরসিম গেট, কাঠেরপুল, মিলব্যারাক, দয়াগঞ্জ, ওয়ারী নারিন্দা প্রভৃতি এলাকার জনগণকে ভীষণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুর্ভোগের সঙ্গে বাড়তি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে তাদের যা বোঝাস্বরূপ। এমতাবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে মানবিক কারণে পুরান ঢাকার গে-ারিয়ার লোহারপুল থেকে টঙ্গী (আবদুল্লাহপুর) পর্যন্ত বিআরটিসি বাস বা প্রাইভেট কোম্পানির বাস চালু করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী ফরিদাবাদ, ঢাকা চূড়ান্ত ফল চাই খাদ্য অধিদফতরের চতুর্থ শ্রেণীর এমএলএসএস, স্প্রেম্যান সাইলো অপারেটিভ ও দারোয়ান পদে গত বছরের ১১ নবেম্বর মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এই পরীক্ষার ফল কোন এক রহস্যজনক কারণে আজও প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে দীর্ঘ প্রায় ১০ মাসেও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়ায় ৩৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। হতাশ হয়ে পড়েছেন অনেকে। চূড়ান্ত ফলের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তারা। কারণ অনেকেরই সরকারী চাকরির বয়স ইতোমধ্যে শেষের দিকে। তাই এসব বিষয় বিবেচনা করে খাদ্য অধিদফতরের চতুর্থ শ্রেণীর চূড়ান্ত ফল প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ কামনা করছি। সঞ্চয় কুমার কু-ু আমিনপুর, পাবনা মাদকের হাতছানি মাদক একটি অভিশাপ। একটি মানুষের জীবনকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দিতে পারে এই মাদক। এসব মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে গাঁজা, ইয়াবা, মদ, ফেনসিডিল ইত্যাদি। আজকের এই সময়ে মাদক শুধু বখে যাওয়া তরুণদের হাতেই সীমাবদ্ধ নয় বরং তা ছড়িয়ে পড়েছে কিশোর এবং শিশুদের হাতেও। বিশেষ করে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের মধ্যে মাদক গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু পুরুষ নয় আজকাল মহিলাদের মধ্যেও মাদক গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে। মাদকের আগমন ও বিস্তারের পথ দিন দিন ছাড়িয়ে পড়ছে শহর বন্দর থেকে শুরু করে গাঁয়ের প্রত্যন্ত অলিগলি পর্যন্ত। মাদকদ্রব্যের বিস্তারসংক্রান্ত রিপোর্টে প্রকাশ প্রতিদিন শুধু রাজধানীতেই ইয়াবা বাবদ হাত বদল হয় ৭ কোটি টাকা। বিভিন্ন পরীক্ষামূলক তথ্য থেকে জানা যায়, প্রতিদিন নেশাদ্রব্যের পেছনে জাতীয় অপচয় হচ্ছে প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা যা মোট জিডিপির ২.২ শতাংশের বেশি। মিয়ানমারের মংড়ু এলাকায় ৪-৫টি কারখানা শুধু বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশে ইয়াবা তৈরি করে। এছাড়া ভারতের তিন সীমান্ত দিয়ে অনবরত আসছে মাদক। এসব মাদকদ্রব্য গ্রহণের ফলে নানা ধরনের শরীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক বিকৃতি ঘটে। ফলে দেশে দিন দিন সামাজিক অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতন, চুরি, ডাকাতির মতো মারাত্মক অপরাধগুলোর সঙ্গে মাদকসেবীরাই যুক্ত। ফলে জাতি হাঁটছে অন্ধকারের দিকে, মৃত্যুর দিকে হাঁটছে নৈতিক মূল্যবোধ এবং জন্ম নিচ্ছে ঐশীর মতো পিতামাতা হত্যাকারী সন্তানরা। তাই সমাজ ও জাতির স্বার্থে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত। সুর্জানা শারমিন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা হোক বিদ্যুৎ ব্যবহার করে শিল্প কারখানা, কৃষি কাজের জন্য সেচ পাম্প, অফিস আদালত, বাসা-বাড়ি, শহর গ্রাম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আলোকিত হয়। বিদ্যুতের মাধ্যমে শিল্প কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। রাজস্ব আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। রাজস্ব আয়ের কারণে রাষ্ট্র ও সরকার উপকৃত হয়। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত যোগ করারও পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই বিদ্যুত যোগ হলে জনগণের দোরগোড়ায় বিদ্যুত পৌঁছাবে। এজন্য দরকার অতি দ্রুত বিতরণ লাইন সম্প্রসারণ করা। বিদ্যুত বিভাগের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এবং জনস্বার্থে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তাদের আরও বেশি এর দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তবে তাদের কাজে মনোযোগী করতে দরকার আর্থিক প্রণোদনা। তাই অন্তত মানবিক দিক বিবেচনা করে বিদ্যুত বিভাগের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থার দাবি করছি। মোহাম্মদ খলিলুর রহমান ডিপিডিসি শ্রমিক লীগ শাহরিয়ার কবিরের কাছে অনুরোধ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র জহির রায়হান অগ্রজ শহীদুল্লাহ কায়সার স্বাধীনতা পূর্বকালে একটি ভ্রমণভিত্তিক গ্রন্থ লিখেছিলেন, যার নাম ছিল ‘পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ’। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের উদ্যোগে তাসখন্দে সম্পাদিত শান্তিচুক্তির প্রেক্ষাপটে তিনি বইটি লিখেছিলেন। বইটি পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল। শাহরিয়ার কবির কয়েক বছর পূর্বে একটি জাতীয় দৈনিকে বর্তমান রাশিয়ার এক অঙ্গরাজ্য তাতারিস্তান ভ্রমণবিষয়ক ধারাবাহিক লিখেছিলেন। তাতারিস্তান রাজধানী মস্কোর নিকটবর্তী একটি পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র। রুশ শাসনতন্ত্র অনুযায়ী তাতারিস্তান কোন কোন বিষয়ে বিদেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনেও সক্ষম। বাংলাদেশের সঙ্গে তাতারিস্তানের অনুরূপ চুক্তি রয়েছে। উল্লিখিত জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত লেখাগুলোকে ভিত্তি করে তিনি যদি একটি ভ্রমণবিষয়ক ও পর্যালোচনামূলক গ্রন্থ আগামী একুশে বইমেলায় প্রকাশ করেন, তাহলে তা পাঠকপ্রিয়তা পেতে পারে। বিগত বইমেলায় অনেক ভ্রমণবিষয়ক গ্রন্থ বেরিয়েছিল, যা পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। আশা করি বিষয়টি তিনি ভেবে দেখবেন। নাসিরুদ্দিন আহমেদ দনিয়া, ঢাকা হাতিরঝিলে বিআরটিসি সার্ভিস চাই ফার্মগেট, ঢাকার এক অন্যতম ব্যস্ত জায়গা। ফার্মগেটকে আমরা ঢাকার প্রাণকেন্দ্র হিসেবেই জানি। অনেক লোকের বসবাস এই এলাকাতে। ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে চাকরিজীবী এবং পরিবার। ফার্মগেট থেকে ঢাকার ভেতর মোটামুটি সব জায়গাতে বাস সার্ভিস চালু থাকলেও রামপুরা এবং বনশ্রীতে সরাসরি বাস সার্ভিস চালু নেই। যেতে হয় গুলশান-১ হয়ে। সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের। নষ্ট হয় সাধারণ যাত্রীদের মূল্যবান সময়। সম্প্রতি কাওরানবাজার থেকে রামপুরা এবং রামপুরা থেকে কাওরানবাজার চালু হয়েছে মাইক্রো সার্ভিস। সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এই সার্ভিসটি পাওয়া যায়। প্রতিদিন প্রায় ৪০টি মাইক্রো এ রুটে চলাচল করে। জনপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা। কাওরানবাজার থেকে হাতিরঝিল হয়ে রামপুরা যেতে সময় লাগে ৭-৮ মিনিট। সময় স্বল্পতার কারণে এ রুটে রয়েছে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। কিন্তু এই সার্ভিসটি অস্থায়ী। প্রতিদিন মাইক্রো প্রতি ১৩৪০ টাকা দিতে হয় পুলিশ এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের। মাঝে মাঝেই পুলিশ এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় এ মাইক্রো সার্ভিসটি। ফলে বিপাকে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমার আবেদন, যেন তারা অবিলম্বে এই রুটে বাস সার্ভিসটি চালু করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যার ফলে সাধারণ যাত্রীদের সময় বাঁচবে এবং দুর্ভোগ লাঘব হবে। প্রকাশ কুমার দত্ত ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ঢাকা
×