ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম

‘জনসন খেললেই ভাল হতো’

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

‘জনসন খেললেই ভাল হতো’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ সফরে আসছেন না অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল জনসন ও জস হ্যাজলউড! বাংলাদেশী ক্রিকেট ভক্তদের জন্য দুঃখের খবরই। জনসন, হ্যাজলউডের বলে ব্যাট করছেন মুশফিক, তামিম, সাকিবরা; তা আর দেখা হচ্ছে না। শুধু ভক্তরাই নন, হতাশ যেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমও। তাইতো বলেছেন, ‘জনসন এলেই তো ভাল হতো। এখানকার উইকেটে ওর বলে অনেক রান করা যেত!’ সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার টিম পারফর্মেন্স ম্যানেজার প্যাট হোয়ার্ড এমনটিই জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘জনসন ও হ্যাজলউডের ওপর অনেক চাপ পড়ে যাচ্ছে। তাদের সতর্কভাবেই কাজে লাগাতে হবে।’ এতেই বোঝা যাচ্ছে, জনসন ও হ্যাজলউডকে বাংলাদেশ সফরে নাও পাঠানো হতে পারে। বাংলাদেশ সফরের দল এখনও ঘোষণা করেনি অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষ হওয়ার আগে দল ঘোষণার সম্ভাবনাও খুব কম। তবে জনসন, হ্যাজেলউডকে বিশ্রাম দেয়ার বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়া দলে জনসন-হ্যাজেলউডের মতো গতিময় পেসার নেই। খবরটা বাংলাদেশ দলে স্বস্তির বাতাস বইয়ে দেয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু মুশফিকুর রহীম মনে করেন, জনসন আসলেই ভাল হতো। জনসন না থাকলেও মিচেল স্টার্কসহ অন্য বোলারদের নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ অনেক শক্তিশালী হবে বলেই মনে করেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। এলিট প্লেয়ার্স কন্ডিশনিং ক্যাম্পে এখনও প্রতিদিন ফিটনেসের কাজই করছেন ক্রিকেটাররা। ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পর অনেকেই নিজ উদ্যোগে ব্যাটিং-বোলিং করছেন। বৃহস্পতিবার যেমন সাকিব-নাসিররা ফিটনেস ট্রেনিং করার পর ফিরে গেলেও সেন্টার উইকেটে ঘণ্টাখানেক ব্যাটিং করেছেন মুশফিক। জনসন-হ্যাজেলউডদের বিশ্রামের খবরটা জানাতেই টেস্ট অধিনায়ক আরও বললেন, ‘এমনিতে মনে হতে পারে জনসন-হ্যাজেলউডের মতো দুজন পেসার না আসায় আমাদের ভালই হবে। কিন্তু বিষয়টা এমন নয়। অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ অনেক শক্তিশালী। আমি তো মনে করি, এখন মিচেল স্টার্ক ওদের সবচেয়ে ভাল বোলার। সে আসবে। বাকি যারা আছে, তাদের খেলাও সহজ হবে না।’ সম্প্রতি সাফল্যের বিচারে স্টার্কই অস্ট্রেলিয়ার এক নম্বর পেসার। বিশ্বকাপে সেরা বোলার হয়েছেন। ২২ টেস্ট খেলে ৭৮ উইকেট নিয়ে ফেলেছেন। সম্প্রতি এ্যাসেজে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৮ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক। বাংলাদেশের বিপক্ষে অবশ্য এখনও টেস্ট, ওয়ানডে কোন ম্যাচই খেলা হয়নি এ পেসারের। বিশ্বকাপে খেলার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে ম্যাচটি হয়নি। তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে স্টার্কেরও খেলা হয়নি। শুধু স্টার্কই নন, তার সঙ্গে বাংলাদেশে আসতে পারেন অভিজ্ঞ পিটার সিডল, প্যাট কামিন্স, জেমস প্যাটিনসনরা। মুশফিক স্টার্ক, কামিন্সের কথাই উল্লেখ করলেন। তিনি বলেন, ‘স্টার্ক তো এখন জনসনের চেয়েও বেশি গতিতে বল করে। ওর সুইংও অনেক। কামিন্সের বলেও গতি, বাউন্স আছে।’ ক্রিকেট দুনিয়ার হাল সময়ের সেরা পেসারদের বিপক্ষে খেলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। যদিও জনসনকে কখনই টেস্টে খেলা হয়নি তামিম-সাকিবদের। বিশ্রামে চলে যাচ্ছেন বলে টেস্টে জনসনকে না খেলতে পারার একটা আক্ষেপ থেকেই যাবে মুশফিকদের মাঝে। অধিনায়কও মানছেন তার বিপক্ষে খেলাও একটা বড় অভিজ্ঞতা হতে পারত বাংলাদেশের জন্য। তবে অনেক বড় বড় পেসারকে আমরা খেলেছি, ভালোও করেছি। আশা করছি ভবিষ্যতে জনসনের বিপক্ষেও খেলব আমরা এবং ভালভাবেই তাকে সামলাবো।’ জনসনরা না থাকলেও মুশফিকের মতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। অধিনায়কের আশা বাংলাদেশ ভালও করবে। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া তো আর উপমহাদেশের দলগুলোর মতো নয়। ওরা কখনই হাল ছাড়ে না। ওরা পেশাদার দল। কে আসছে, না আসছে, সেটা তাই গুরুত্বপূর্ণ নয়। ওদের বিপক্ষে ভাল কিছু করতে হলে আমাদের নিজেদের সেরাটাই খেলতে হবে।’
×