ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফরিদপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ নিহত ছয়

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ফরিদপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ নিহত ছয়

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ২ সেপ্টেম্বর ॥ দুটি বাসের সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬৪ জন। বুধবার বিকেল তিনটার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের জামতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। টেকেরহাট থেকে ফরিদপুরগামী রাব্বী পরিবহন নামের একটি মিনিবাস ফরিদপুর থেকে টেকেরহাটগামী মৃধা ডিলাক্স নামের অপর একটি মিনিবাসের সংঘর্ষ হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। টেকেরহাটগামী মৃধা ডিলাক্স বাসটি রাস্তার ডানপাশের খাদে পড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় মৃধা ডিলাক্সের সুপারভাইজার ফরিদপুর সদরের কাফুরা এলাকার করুন দত্ত (৪৫), গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের মহারাজপুর এলাকার হাবিব শেখ (৫০) এবং আনুমানিক ৩৭ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক নারী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হাসপাতালে আনার পর আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সী এক নারী, আনুমানিক ৪০ বছর বয়সী অজ্ঞাত মহিলা ও দুই বছর বয়সী এক শিশু মারা যায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জামতলা এলাকার লিয়াকত হোসেন জানান, একটি নসিমনকে সাইড দিতে গিয়ে দুটি বাসের সংঘর্ষ হয়। ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক গণপতি বিশ্বাস বলেন, এ দুর্ঘটনায় আহত ৬৪ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজে আনা হয়। এখানে আহত একজনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে ৫৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভালুকায় ট্রাক চালক নিজস্ব সংবাদদাতা ভালুকা, ময়মনসিংহ থেকে জানান, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের বড়টিলায় বুধবার দুপুরে লরি ও ট্রাকের সংঘর্ষে ট্রাকচালক ভালুকা উপজেলার নয়নপুর গ্রামের আবুল হাশেমের পুত্র রতন (৪০) গুরুতর আহত হন। ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক রতনকে মৃত ঘোষণা করেন। কক্সবাজারে বৃদ্ধ স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার থেকে জানান, যাত্রীবাহী পিয়াজিও গাড়ির ধাক্কায় এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। বুধবার সকাল ৭টায় সদরের খরুলিয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুকুমার শর্মা (৫০) স্থানীয় হিন্দুপাড়ার মৃত নগেন্দ্র শর্মার পুত্র। গাজীপুরে জোড়া খুনের দায়ে যুবকের ফাঁসি নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ২ সেপ্টেম্বর ॥ গাজীপুরে জোড়া খুনের দায়ে এক আসামির মৃত্যুদ- ও যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ। বুধবার গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক রায় প্রদান করেন। দ-প্রাপ্ত আসামির নাম বদরুল ইসলাম (২৬)। তার বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার রৌহা কালিরহাট এলাকায়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও মামলা সূত্রে গেছে, গাজীপুরের টঙ্গীর বৌবাজার এলাকায় লতিফ গাজীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ইসমাইল হোসেন। সেখানে তার শ্যালক বদরুল ইসলাম বেড়াতে আসে। ২০১০ সালের ১৫ জুন ভগ্নিপতি ইসমাইলের কাছে টাকা ধার চায় বদরুল। টাকা দিতে অস্বীকার করলে বদরুল ক্ষিপ্ত হয়ে ইসমাইলের বুকের বাম পাশে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় ইসমাইল ও তার মায়ের চিৎকার শুনে ঘরের ভাড়াটে বেলাল ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ সময় বেলালের বুকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় বদরুল। ছুরিকাঘাতে ইসমাইল ও বেলাল ঘটনাস্থলেই মারা যান। বদরুলকে তার গ্রামের বাড়ি গফরগাঁও থেকে গ্রেফতার করা হয়। ১৩ সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বুধবার আদালত বদরুল ইসলামকে মৃত্যুদ- ও যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
×