ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খেলার রাজা ফুটবল

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

খেলার রাজা ফুটবল

শরীফ উল্লাহ ফুটবলকে বলা হয় খেলার রাজা। বিশ্বজুড়ে এত মাতামাতি, এত প্রতিযোগিতা, এত আনন্দ-উল্লাস আর কোন খেলা নিয়ে হয় না। ফুটবল খেলার জন্ম-ইতিহাস সঠিকভাবে বলা কঠিন। ফুটবল সম্পর্কে বিশ্বকাপের সর্বপ্রথম চিন্তা করেন দু’জন ফরাসী নাগরিক জুলে রিমে ও হেনরি ডেলনে। ফুটবল বাংলাদেশের একটি অতি প্রাচীন খেলা। আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে ফুটবল খেলা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এদেশের মানুষ অতি অল্প বয়স থেকেই ফুটবল খেলে আসছে। বিশেষ করে ছোট ছেলেরা কখনও কখনও খড় দিয়ে বল তৈরি করে খেলে থাকে। ৯০ মিনিটের এই খেলায় সম্পৃক্ততার কোন ঘাটতি নেই। অল্প সময়ে খেলা হলেও ছোটাছুটিতে বিষমভাবে সারা মাঠ মাতিয়ে তোলে। ফুটবল খেলা বাংলাদেশের মানুষের তৃপ্তির অবসান না ঘটাতে পারলেও দর্শকরা রাতদিন অপেক্ষা করে তাদের প্রিয় দলের খেলা দেখার জন্য। খেলোয়াড়দের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব মানসিক তৃপ্তি ও উন্নতি সাধন করে। তাছাড়া ফুটবল খেলোয়াড়দের ঐক্য, শৃঙ্খলা, ত্যাগ, সময়নিষ্ঠা, কর্তব্যজ্ঞান, পারস্পরিক সৌহার্দ্য ইত্যাদি গুণে মহিমান্বিত করে। এছাড়া ফুটবল খেলা একটি উৎকৃষ্ট বিনোদন। খেলোয়াড়রা যেমন খেলে মজা পায় তেমনি দর্শকরা দেখে আনন্দ পায়। ফুটবলকে ঘিরে আধুনিক বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের হৈচৈ আর উদ্দীপনার কমতি নেই। এখনও গ্রামগঞ্জে বর্ষাকাল এলে ছোটবড় মাঠগুলো কানায় কানায় ভরে যায়। এতে আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়ে প্রকৃতি ও পরিবেশ। যে যেখানে স্থান পায় সেখানে বল নিয়ে ছোটাছুটি করে থাকে। এতে এক ধরনের রকমারি আনন্দ উপলব্ধি করে। চাহিদা অনুযায়ী খেলার মাঠ না থাকলেও অনেক সময় খেলোয়াড়রা কষ্ট পোহাতে হয়। আশপাশে বিদ্যালয় কিংবা কলেজ মাঠ না থাকায় অনেক খেলোয়াড় নির্বিঘেœ খেলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত খালি জায়গাগুলো ভরাট করে অনেকের বাসস্থানের উপযোগী করে ফেলেছে। ফলে অনেক সময় ফুটবল খেলতে না পেরে অনেক খেলোয়াড় প্রতীক্ষায় থাকে। অনেকের প্রতিভা ঝরেও যায়। হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর থেকে
×