ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে আজ

এবার ওয়ানডে লড়াই

প্রকাশিত: ০৬:১০, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

এবার ওয়ানডে লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পরিস্থিতি কত দ্রুতই না পরিবেশ বদলে দেয়। গত ১২ মাসে ২৪ ওয়ানডের ২১টিতে জয়, বিশ্বকাপ পুনররুদ্ধারের স্মৃতিটা এখনও টাটকা। বিশ্বকাপের পর নিজেদের প্রথম ওয়ানডে সিরিজে সেই অস্ট্রেলিয়াকে নিশ্চিত ফেবারিট বলা যাচ্ছে না! মূলত এ্যাশেজ হারের (টেস্ট ৩-২এ) ধাক্কায় ঝুঁঝছে অসিরা। একমাত্র টি২০তেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্টিভেন স্মিথের দল। অন্যদিকে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার নিয়ে এই ইংল্যান্ড বদলে যাওয়া এক দল। রঙিন পোশকের এ দ্বৈরথ দু’দলের জন্য দু’রকমের পরীক্ষা। সব মিলিয়ে আজ থেকে শুরু হওয়া ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ ঘিরে আগ্রহটা তুঙ্গে। টেস্ট, ওয়ানডে আর টি২০ যে সম্পূর্র্ণ ভিন্ন ঘারনার ক্রিকেট, এই দু’দলের দিকে তাকলে সেটি বেশি করে চোখে পড়ে। যাদের প্রত্যেক ভার্সনের জন্য রয়েছে স্পেশালিস্ট খেলোয়াড়। লড়াই যে জমবে সেই ইঙ্গিত মিলেছে একমাত্র টি২০তে, যেখানে ৫ রানের নাটকীয় জয় পায় ইংলিশরা। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে নির্ধারিত বিশ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮২ রানের ফাইটিং স্কোর গড়ে স্বাগতিকরা। জবাবে ৮ উইকেটে ১৭৭Ñএ থামে অতিথি অসিদের সংগ্রহ। ৪৬ বলে অপরাজিত ৭২ রানের পর বোলিংয়ে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা মঈন আলি। এ্যাশেজে ফর্ম ফিরে পাওয়া অলরাউন্ডার ব্যাটিংটা উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি ওয়ানডেতেও দলের সাফল্যে ভূমিকা রাখতে মরিয়া তিনি। বিশ্বকাপ দুঃখ ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে আশাবাদী মরগান। ইংল্যান্ডের রঙিন পোশাকের অধিনায়ক বলেন, ‘টি২০ ছিল অসাধারণ এক ম্যাচ। পাঁচ টেস্টের দীর্ঘ সিরিজের পর বেন স্টোকস দারুণ ঔজ্জ্বল্য ছাড়িয়েছে, প্রমাণ করেছে সে ব্যতিক্রম এক পারফর্মার। ফিল্ডিংয়েও অন্যদের চেয়ে আলাদা। শক্ত দলের বিপক্ষে সেটি আমাদের জন্য ছিল অনেক কিছু শেখার ম্যাচ। যে শিক্ষাটা ওয়ানডে সিরিজে কাজে লাগবে। পাশাপাশি এ্যালিস্টার কুকদের এ্যাশেজ (টেস্ট) জয় আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। বিশ্বকাপের হতাশ ভুলতে এই সিরিজে ভাল করতে চাই। ছেলেরা প্রস্তুত।’ ব্যাট হাতে মঈনের সঙ্গে রান পেয়েছেন অধিনায়ক নিজেও। আছেন এ্যালেক্স হেলেস, জস বাটলার, স্টিভেন ফিন, আদিল রশিদের মতো প্রতিভাবান পারফর্মার। বিপরীতে ওয়ানডে নিয়ে আশাবাদী অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথও। তিনি বলেন, ‘আইরিশদের বিপক্ষে ওয়ানডে জয় এবং ইংল্যান্ডের কাছে টি২০তে হারÑ দুটি ম্যাচে আমাদের জন্য ছিল ইতিবাচক। ওয়ার্নারের সঙ্গে তরুণ বার্নস ওপেনিংয়ে চমৎকার ব্যাটিং করেছে। যদিও মিডল-অর্ডারে ব্যাটিং ভাল হয়নি। বেইলি-ম্যাক্সওয়েল অনেক দিন খেলার মধ্যে নেই। আশা করছি দ্রুতই মানিয়ে নেবে। এ্যাশেজের ব্যর্থতা ভুলে এই সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে চাই।’ ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়ার বড় ভরসা অধিনায়ক নিজে। যিনি ব্যর্থ এ্যাশেজ টেস্টে রানের ফল্গুধরা বইয়ে দিয়েছেন। আছেন জর্জ বেইলি, মিচেল মার্শের মতো স্পেশালিস্টরা। বোলিংয়ে মিচেল স্টার্ক, প্যাট কুমিন্স, কাল্টার নাইল প্রত্যেকে দৃশ্যপট বদলে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন। অবশ্য দুর্ভাগ্য গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া পাচ্ছে না বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক জেমস ফকনারকে। কাউন্টিতে গিয়ে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ তুখোড় এই অলরাউন্ডার। হয়ত সিরিজের শেষ ম্যাচে দেখা যেতে পারে তাকে।
×