ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফেরত দিচ্ছে না

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফেরত দিচ্ছে না

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও প্রাণনাশের চেষ্টা প্রসঙ্গে বলেছেন, যে দেশে খুনীদের পুরস্কৃত ও দায়মুক্তি দেয়া হয়, সে দেশে আমার পদে পদে বাধা ও আঘাত আসবে এটা আমি জানি। কিন্তু আমি মৃত্যুকে ভয় করি না, ঘাতকদের পরোয়া করি না। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমি রাজনীতি করি। তাই আমার জীবন দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছি। আল্লাহ ছাড়া জীবনে কখনও কারও কাছে মাথানত করিনি, করবও না। যত বাধা বা আঘাতই আসুক, আমি ভয় করি না, ভয় পাই না। আল্লাহ যতদিন বাঁচিয়ে রাখবেন দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি ও সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকরের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ সময় খুনীদের আশ্রয়দাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার সমালোচনা করে বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যারা নিজেদের সভ্য ও উন্নত দেশ হিসেবে দাবি করে, তারাই এসব ঘৃণ্য ঘাতকদের আশ্রয় দিয়েছে। কেন আমেরিকা ও কানাডার মতো দেশ এটা করছে তা আমার জানা নেই। ওইসব দেশের সরকারের কাছে অনুরোধ করেছি, কিন্তু তারা কোন সহযোগিতা করছে না। যে কোন কারণেই হোক আমাদের সহযোগিতা করছে না এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এটা দেশবাসীর জানা দরকার। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, কয়েকজনের রায় কার্যকর করা হয়েছে। পলাতক খুনীদের মধ্যে যারা বিদেশে পলাতক রয়েছে তাদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে। তিনি বলেন, খুনী খুনীই, সে যেখানেই থাকুক। আমরা অনেকবার সেসব দেশের সরকারের কাছে খুনীদের ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করেছি, তারা দেয়নি। আমাদের চেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে। আমরা কূটনৈতিক ও আইনগতভাবে খুনীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর দ-প্রাপ্ত খুনীদের মধ্যে ২ জন আমেরিকায়, ১ জন কানাডায়, ২ জন লিবিয়ায় ছিল, পরে পাকিস্তানে গেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে, তারা পাকিস্তানে আছে। যদিও পাকিস্তান সরকার তা স্বীকার করে না। এ প্রসঙ্গে ওয়ান ইলেভেনের সময় চ্যানেল আইয়ে খুনী রশিদের সাক্ষাতকার প্রচারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চ্যানেল আইয়ের তৃতীয় মাত্রায় খুনী কর্নেল রশিদ চৌধুরীর সাক্ষাতকার প্রচার করা হয়েছে। সাক্ষাতকার গ্রহণকারীকে জিজ্ঞাসা করলেই জানা যাবে খুনী রশিদ কোথায় আছে। তবে জেনেছি, খুনী রশিদ ওই সময় লিবিয়ায় থাকলেও এখন পাকিস্তানে রয়েছে। বাকি দুই খুনী কোথায় পালিয়ে রয়েছে সেই তথ্য আমরা এখনও জানতে পারিনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর হত্যাকা-ের পর যারা উল্লসিত হয়েছিল তারা স্বাধীনতার শত্রু, পরাজিত শক্তির পদলেহনকারী। বাঙালীর বিজয় যারা মেনে নিতে পারেনি তারাই উল্লসিত হয়েছিল। আর পুরো বাঙালী জাতি বুঝতে পেরেছিল তাদের সবকিছুকে কেড়ে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালবাসতেন। দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে তিনি আমৃত্যু ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন দেশের ইতিহাসে নেই যে খুনীদের ইনডেমনিটি দিয়ে বিচার বন্ধ করা হয়। কিন্তু জিয়াউর রহমানরা তাই করেছিল। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী ও হাজী মোহাম্মদ সেলিমের পৃথক দুটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি সততা, দৃঢ়তা ও আদর্শ নিয়ে কাজ করলে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। আমি সেই লক্ষ্য নিয়েই চাওয়া-পাওয়ার সবকিছু উর্ধে থেকে নির্মোহভাবে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তাই কেন ভয় পেতে যাব? ঘাতকদের পরোয়া করব? তিনি ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্বল্পমূল্যে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী সরবরাহের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় যত ভাষণ, স্বাধীনতা পরবর্তী ভাষণ, কারাবন্দী থাকাবস্থায় লেখা ডায়েরিগুলো সংগ্রহ করে বড় ধরনের ডকুমেন্টারি করার কাজ চলছে। শিশুদের জন্যও কমিকস আকারে ছোট ছোট বই বের করে নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার কাজ চলছে। অতিরঞ্জিত নয়, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা সম্পর্কে সঠিক তথ্যগুলো আগামী প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর পরবর্তী ২১ বছর বঙ্গবন্ধুর নাম অনেকটাই নিষিদ্ধ ছিল, স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে কয়েকটি প্রজন্মকে ভুল ইতিহাস শেখানো হয়েছে। পরাজিত শক্তির আদর্শ শেখানো হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙানো এবং ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাজাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। কিন্তু সত্য ইতিহাসকে কখনও মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। ঘাতকরা ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারলেও আদর্শিক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি। বাঙালীর হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু চিরঞ্জীব, চির জাগরুক। মোশতাক-জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী ॥ ধানম-ির ৩২ নম্বরে নৃশংস হত্যাকা-ের পর ওই বাড়িতে প্রবেশের পর ভয়াল-বীভৎস্য দৃশ্যের আবেগঘন বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনী মোশতাক ও তার দোসর জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট হত্যাকা- চালায়। এর পরই দেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর এই জিয়াই আমাদের দেশে ফিরতে দেয়নি, এমনকি ধানম-ির বাড়ি ও ৩২ নম্বর সড়কের নম্বরও বদলে দেয়। সরকারী দলের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩০ জুলাই আমি ও শেখ রেহানা জার্মানিতে রওনা হই। ১৫ দিনের মাথায় শুনি আমরা দুই বোন এতিম হয়ে গেছি। নিঃস্ব ও রিক্ত হয়ে গেছি। আমি এখনও মাঝে মাঝেই ৩২ নম্বর ধানম-ির বাড়িতে যাই। আমার সকল ব্যথা-বেদনা সহ্য করার শক্তি আর বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলার জন্য কাজ করার প্রেরণা সঞ্চয় করার জায়গা এটা। এই বাড়ি থেকেই যেন শক্তি পাই। একদিকে সব হারানোর বেদনা, অন্যদিকে মানুষের সেবা করার প্রেরণাÑ সবই ধানম-ির এই বাড়িতে এলে পেয়ে থাকি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিজের চোখের জল সংবরণ করতে পারেননি। সংসদে উপস্থিত সংসদ সদস্যরাও আবেগে জড়িয়ে পড়েন। পিনপতন নীরবতায় আবেগজড়িত কণ্ঠে শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্ট ধানম-ির ৩২ নম্বর সড়কের বাসায় ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে আমার পিতা-মাতা, ভাইসহ পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের জীবনে যেমন এই দিনটি একটি কালো দিন, তেমনি বাংলাদেশের জনগণের জীবনেও নেমে আসে অমানিষার অন্ধকার। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর পুরো বাংলাদেশই কয়েদ খানায় পরিণত হয়। সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পালা শুরু হয়। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়া আমাদের দু’বোনকে দেশে ফিরতে বাধা দেয়। ’৭৫ থেকে ’৮১ পর্যন্ত আমাদের বিদেশের মাটিতেই পড়ে থাকতে হয়। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান আমাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি। বাংলাদেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মী বাহিনী সকল বাধা উপেক্ষা করে আমাকে দেশে ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু দেশে ফিরলেও আমাকে ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। পিতা-মাতা, ভাইদের জন্য একটু দোয়া করার সুযোগও দেয়া হয়নি। বাড়ির সামনের রাস্তার ওপর বসে পড়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে মিলাদ ও দোয়া পড়ি। বাড়ির বীভৎসতা দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি ॥ ’৭৫-এর হত্যাকা-ের ছয় বছর পর বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে প্রবেশের মুহূর্তটি বর্ণনা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর ১৯৮১ সালের ১২ জুন হঠাৎ করে এক ঘণ্টার নোটিসে বঙ্গবন্ধুর বাড়িটি আমাকে হস্তান্তর করা হয়। তখন আবদুস সাত্তার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ধূলি-ধূসর, বিধ্বস্ত, রক্তের ছোপ ছোপ কালো দাগ ও রক্তমাখা ছড়ানো ছিটানো কাপড়-চোপড়, ছেড়া বালিশ, রক্তমাখা তুলা, দেয়ালের গায়ে ও মেঝেতে গুলির আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত- এমনি অবস্থায় ওই বাড়িতে যখন প্রবেশ করতে যাই, তখন আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। একটা কথা আমি এখনও বুঝি না, হঠাৎ বাড়িটা হস্তান্তরে কিসের এত তাড়া ছিল? আবেগজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমাকে ধরে ধরে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে নিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু যখনই আমি সিঁড়ির ধাপের মাঝামাঝি উঠে আসি তখনই আমার নজরে পড়ে সিঁড়ির সেই অংশটি, যেখানে ঘাতকের আঘাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন আমার বাবা বঙ্গবন্ধু। আমি সহ্য করতে পারিনি। ছুটে ফিরে নিচে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু বের হতে পারিনি। নিচ তলার করিডরে বাইরে যাওয়ার যে কলাপসিবল গেট ছিল তা বন্ধ, তালা দেয়া। আমি দরজা খোল বলে চিৎকার দিয়ে ওখানেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আরও বলেন, জানি না কত সময় পরে, দেখি তিন তলার ছাদে। আমার সামনে অনেক কাগজ আমাকে সই করতে হবে। আমার ফুফা সৈয়দ হোসেন সাহেব বললেন একজন আইনজীবীর মাধ্যমে বুঝে নিতে, কিন্তু সরকারী লোকেরা তাও মানবে না। আমাকেই সই করতে হবে। আমি অনেকটা অচেতন অবস্থায়ই সই করে দিতে বাধ্য হই। কারণ আমার সঙ্গে যে নেতারা ছিলেন তারাও তাগাদা দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, এরপর বহু বছর লেগেছে আমার ওই বাড়ির দোতলায় প্রবেশ করতে। পেছনে রান্নাঘরের সঙ্গে যে সিঁড়ি সেটা ব্যবহার করেছি। আর মূল সিঁড়িতে গিয়ে বসে থেকেছি। আমি এখনও মাঝে মাঝেই সেখানে যাই। আমার সকল ব্যথা বেদনা সহ্য করার শক্তি আর বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলার জন্য কাজ করার প্রেরণা সঞ্চয় করার জায়গাই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বাড়িটি। তিন ঘন্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ॥ সরকারী দলের সংসদ সদস্য তাজুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, ঢাকা হতে চট্টগ্রাম হয়ে লাকসাম সরাসরি যাতায়তের লক্ষ্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা-চট্টগ্রামের রেলপথের দূরত্ব হ্রাস পাবে। তখন ৩ ঘণ্টায় ঢাকা হতে চট্টগ্রাম যাতায়াত করা সম্ভব হবে। সরকারী দলের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সুষ্ঠু পরিকল্পনায় বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার। বিশ্বব্যাংকের নিজস্ব হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ বার্ষিক মাথাপিছু গড় জাতীয় আয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে থাকতে চাই না। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নকালীন সময়ে পরবর্তী পাঁচ বছরে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করে আমরা আমাদের ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে পারব ইনশাল্লাহ। বাংলাদেশ হবে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড। রূপকল্প ২০২১ আমাদের বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা অর্থাৎ ২০৪১ উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথ দেখাবে।
×