ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

যশোরে কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ মনিরামপুর উপজেলার মশিয়াহাটী ডিগ্রী কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সঞ্জয় হালদার হত্যা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিতুজ্জামান ওরফে মহিত মাস্টারসহ সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান এবং প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে খুলনায় দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন। একই সঙ্গে আদালত ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ ধারায় ওই সাত আসামির প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদ- ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদ- এবং একই আইনের ৪ ধারায় প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদ- ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। সকল দ- একই সঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক। দ-প্রাপ্তরা হলেন মনিরামপুর উপজেলার খাকুন্দি গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিতুজ্জামান ওরফে মহিত মাস্টার, রোজিপুর গ্রামের ভোলানাথ হালদারের ছেলে প্রসেন হালদার, মহেন হালদার ও হিরামন হালদার, একই উপজেলার খাকুন্দি গ্রামের সরোয়ার সরদারের ছেলে আনিচুর রহমান, মনোহরপুর গ্রামের আব্দুল সরদারের ছেলে মিজানুর রহমান, রোজিপুর গ্রামের বিকাশ হালদারের ছেলে বিধান হালদার। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় রোজিপুরস্থ বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী কুমরঘাটা বাজারে যান প্রভাষক সঞ্জয় হালদার। কেনাকাটা শেষে রাত ১০টার দিকে বাড়ি যাওয়ার পথে আমজাদও মোজাম বিশ্বাসের বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীরা সঞ্জয় হালদারের ওপর বোমা হামলা চালায়। বিস্ফোরিত বোমার স্পিøন্টারে সঞ্জয়ের দেহ ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়। তাকে সঙ্গে সঙ্গে একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে যশোরের ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে সঞ্জয় মারা যান। র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধ ॥ চারজনের কারাদ- স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ মামলায় আলমগীর, পান্না, আশরাফুল ও শাহিনকে ১৪ বছরের কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। পান্নার বিরুদ্ধে আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়েছে এবং আব্দুস সামাদকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। রবিবার বিশেষ ট্রাইবুন্যাল দায়রা জজ আদালত-১ ও জেলা জজ ওবায়দুস সোবাহান এ রায় প্রদান করেন। সূত্র মতে, ২০০৭ সালের ২৯ জুলাই বিকেলে পাকশী পদ্মা নদীর গাইড বাঁধে রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসীদের আখড়া হঠাৎপাড়ায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয়।
×