ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধে জিয়া ছিলেন অনুপ্রবেশকারী ॥ আসাদুজ্জামান নূর

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মুক্তিযুদ্ধে জিয়া ছিলেন  অনুপ্রবেশকারী ॥  আসাদুজ্জামান  নূর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, আজ যারা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক অবদানকে অস্বীকার করতে চায়, তারা মূলত বাংলাদেশকেই অস্বীকার করতে চায়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সাড়ে সাত কোটি বাঙালীর একমাত্র ও অদ্বিতীয় নেতা। বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ঘোষণা শুনেই মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে নিজ এলাকায় গিয়ে সকলকে সংগঠিত করে ১৪ মার্চ থানা দখল করেছি। অবাঙালী পুলিশদের আটকে রেখেছিলাম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ দিনব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোমবার বক্তৃতামালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডাঃ মিলন হলে ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ওপর এ বক্তৃতামালার আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি ছিলেন কবি রবিউল হুসাইন ও সংস্কৃতিজন পিযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, ডাঃ শাহ জাকির হোসেন সুমন, ডাঃ মামুন মোর্শেদ। পরিচালনা করেন বিএসএমএমইউ’র প্রক্টর অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ নুজহাত চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থের ওপর আলোচনা করেন ডাঃ শেখ সাইফুল ইসলাম শাহীন, ডাঃ মহিউল আলম সিদ্দিক, ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মাসুম, ডাঃ সুরজিত কুমার সরকার, ডাঃ হেলালউদ্দিন, ডাঃ তাজরীন ফারহানা। উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ রুহুল আমিন মিয়া, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জুলফিকার রহমান খান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়া, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আলী আসগর মোড়ল, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আসাদুল ইসলাম, পরিচালক ডাঃ জামাল উদ্দিন খলিফা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। এর আগে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে বি-ব্লকের নিচতলায় মিলন হলের সামনে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ৩১তম দিনের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচী পালন করা হয়। সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী। তা না হলে তিনি কী ভাবে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর হত্যাকারীদের শাস্তি দেয়ার পরিবর্তে পুরস্কৃত করে বিদেশে পাঠিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে প্রচার-প্রচারণাকারী শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী করেছেন। গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফেরত এনেছেন। এসবের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী ছিলেন। আজকেও ষড়যন্ত্রকারীকের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। বিএনপির এক নেতার ছেলে বিদেশে বসে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার জন্য খুনীদের ভাড়া করেছিলেন। উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৪ বছর জেল খেটেছেন। ব্যক্তিগত জীবন বলে তাঁর কিছুই ছিল না। বঙ্গবন্ধু জীবন দিয়ে মানুষকে ভালবেসে গেছেন। যদি চিকিৎসকরা রোগীদের তাঁদের চূড়ান্ত সেবা প্রদান করেন এবং প্রত্যেকেই যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন সেটাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধা নিবেদন। কবি রবিউল হুসাইন বলেন, সাহিত্য রাজনীতির ওপর নির্ভর হতে পারে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী হলো দেশের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রথম সাহিত্য। সংস্কৃতিজন পিযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে সত্য কথন যতটা উঠে এসেছে অন্য কোন বইতে তা দেখা যায় না। অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান কতটা ছিল তা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়া ছাড়া জানা সম্ভব নয়।
×