ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মওদুদের বাড়ি দুর্নীতি মামলার লিভ টু আপীলের শুনানি ৩ সেপ্টেম্বর

খালেদার বড়পুকুরিয়া মামলা বাতিলের রায় যে কোন দিন

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৩১ আগস্ট ২০১৫

খালেদার বড়পুকুরিয়া মামলা বাতিলের রায় যে কোন দিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে। রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ অর্থাৎ সিএভি রাখা হয়েছে। যে কোন দিন এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। অন্যদিকে বাড়িসংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ আমলে নেয়ার বিরুদ্ধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের করা লিভ টু আপীলের শুনানি ৩ সেপ্টেম্বর। আপীল বিভাগ ও হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ আদেশগুলো প্রদান করেছেন। বড় পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। রায় ঘোষণার জন্য সিএভি রাখা হয়েছে। বিচারপতি মোঃ নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার রগীব রউফ চৌধুরী ও এ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূইয়া। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রুল শুনানিকালে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন ও নিম্ন আদালতে মামলার নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে খালেদার করা দুটি আবেদন গত ২৩ আগস্ট খারিজ করে দেয় আদালত। ওইদিন আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ৩০ আগস্ট দিন ঠিক করে দেন। এর আগে দশ কার্যদিবস রুলের ওপর শুনানি হয়। ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া এবং তার মন্ত্রিসভার ১০ সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে খনি দুর্নীতির মামলা হয়। ওই বছর ৫ অক্টোবর ১৬ জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দেয় দুদক। চীনা প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইম্পোর্ট এ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে এ মামলায়। খালেদা মামলাটি বাতিলের আবেদন করলে ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে। মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দেয়া হয়। হাইকোর্টের ওই আদেশ আপীল বিভাগেও বহাল থাকায় আটকে যায় বিচার। সাত বছর পর চলতি বছরের শুরুতে দুদক মামলাটি সচল করার উদ্যোগ নিলে হাইকোর্টের দেয়া রুলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়। ১৯ এপ্রিল গ্যাটকো, নাইকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার রুল শুনানি পেছাতে খালেদার চারটি সময়ের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে পর্যায়ক্রমে মামলাগুলোর রুল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এই মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেনÑ এম সাইফুর রহমান (মৃত), আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এমকে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম (মৃত), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন। বাড়িসংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ আমলে নেয়ার বিরুদ্ধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের করা লিভ টু আপীলের শুনানি ৩ সেপ্টেম্বর। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপীল বিভাগের বেঞ্চ রবিবার এই আদেশ দেন। আদালতের শুনানিতে দুদকের পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান এবং অপরদিকে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নিজেই। ওই সময়ের মধ্যে মওদুদ আহমদকে লিভ টু আপীল করতে বলা হয়েছে। এর আগে ২৩ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার বিচারিক কার্যক্রমের ওপর ৩০ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন আপীল বিভাগ। গত ২৩ জুন মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়া প্রশ্নে রুল খারিজ করে দিয়ে বিচারিক আদালতে অভিযোগ আমলে নেয়া বৈধ বলে আদেশ দেন বিচারপতি মোঃ মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করেন মওদুদ আহমদ। শুনানিতে মওদুদ আহমদ বলেন, আমি এখনও হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি পাইনি। তাই লিভ টু আপীল করতে পারেননি। পরে আদালত শুনানির জন্য ৩ সেপ্টেম্বর দিন রাখেন। এ সময়ের মধ্যে তাকে লিভ টু আপীল করতে নির্দেশ দেন।
×