ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্বতন্ত্র বেতন স্কেল দাবিতে পাবলিক ভার্সিটিতে ফের কর্মবিরতি

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ৩১ আগস্ট ২০১৫

স্বতন্ত্র বেতন স্কেল দাবিতে পাবলিক ভার্সিটিতে ফের কর্মবিরতি

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ প্রস্তাবিত অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো পুনর্নির্ধারণ ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল ঘোষণার দাবিতে তৃতীয় দফায় কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করা হয়। এর আগে গত ১৬ এবং ২৩ আগস্ট একই দাবিতে কর্মবিরতি ও স্বাক্ষর সংগ্রহ পালন করা হয়। তিন মাস ধরে মানববন্ধন, স্মারকলিপি, সংবাদ সম্মেলনের পর এখন নিয়মিত কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা। তবে সব ধরনের পরীক্ষা এই কর্মসূচীর আওতার বাইরে ছিলো। এই তিন ঘন্টায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়নি। আন্দোলন আয়োজক সংগঠনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)সহ মোট ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই এই কর্মসূচী পালিত হয়েছে। চলমান এ আন্দোলন বিষয়ে আন্দোলনের আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে আগ্রহী হলেও আমাদের এই সহযোগিতার মনোভাব নীতিনির্ধারণী মহল গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে তাদের পক্ষ থেকে অদ্যাবধি কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ বা আশ্বাস না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে এই কর্মসূচী পালন করতে হচ্ছে। দাবি আদায়ে ভবিষ্যতে এ আন্দোলন কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এ আন্দোলন শুধু বেতন-ভাতার জন্য নয়, শিক্ষা; ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক ও সামগ্রীক রূপ দিয়ে প্রকৃত মানবসম্পদ সৃষ্টির দ্বার উন্মোচন করার আন্দোলন; যেখানে শিক্ষকদের জবাবদিহিতার বিষয়ও থাকবে। শিক্ষকরা অতীতেও যেভাবে দায়িত্ব পালনে কার্পণ্য করেননি ভবিষ্যতেও করবেন না। আমরা বিশ্বাস করি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। ফলে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার এ ধরনের বৈষম্যমূলক বেতন কাঠামো পুনর্নিধারণ করে সকল পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যৌক্তিক প্রাপ্যসমূহ প্রদান ও যথাযোগ্য মর্যাদা নিশ্চিত করবে, এটিই আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সঙ্গে ফেডারেশনের যৌথসভা করে আন্দোলন ও দাবি আদায়ে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান জানানো হবে এবং ওই দিনই ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভার মাধ্যমে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
×