ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ৩১ আগস্ট ২০১৫

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার প্রস্তুতি

সুধীর বরন মাঝি, শিক্ষক ডক্টর মালিকা কলেজ ,৭/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯, মোবাইল- ০১৯১২-২৯৫০৮৫ .............................................................. প্রস্তুতি ৫ম অধ্যায় (পূর্ব প্রকাশের পর) ১০। নতুন অবস্থায় একা একা সাঁতার অনুশীলনে না যাওয়া পরিশেষে আমরা বলতে পারি অসর্তকতার কারনে যে কোন বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে । তাই সাঁতার শেখার ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করেেবা। ৪। প্রতিযোগিতামূলক সাঁতার কত প্রকার ও কী কী ? মুক্ত সাঁতারের নিয়মাবলি লিখ । ভূমিকা ঃ জীবন রক্ষার তাগিদ থেকেই সাঁতারের উৎপত্তি । শুরুর দিকে সাঁতারে কোন প্রতিযোগিতা না থাকলেও সভ্যতার বিকাশ ও কালের পরিবর্তনে সাঁতার খেলাধুলায় এবং প্রতিযোগিতায় রূপ নেয়। সাতাঁরের প্রকারভেদ ঃ প্রতিযোগীতামূলক সাঁতারকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন; ১। মুক্ত সাঁতার ২। চিৎ সাঁতার ৩। বুক সাঁতার ৪। প্রজাপতি সাঁতার। মুক্ত সাঁতারের নিয়মাবলি ঃ মুক্ত সাঁতারের কিছু নিয়মাবলি রয়েছে। যেমন ১। মুক্ত সাঁতার আরম্ভ ব্লকে উঠে শুরু করতে হয়। ২। মুক্ত সাতাঁর উপুর হয়ে সাঁতার কাটতে হয়। ৩। পা পানির নিচে সাধারণত ১২-১৮ ইঞ্চি পরিমাণে যায়। ৪। অন্য প্রতিযোগির লেনে গিয়ে বাধাঁর সৃষ্টি করতে পারবে না। ৫। পানির নিচে দিয়ে সাঁতার কাটা যাবে না । ৬। টার্নিংয়ের সময় শরীরে যে কোন অংশ দিয়ে টার্নিং করা যাবে। ৭। সমাপ্তি যে কোন অবস্থায় করা যাবে। ৮। হাতের কাজ পানির নিচে ঝ এর মতো হবে। পরিশেষে আমরা বলতে পারি মুক্ত সাঁতারের ক্ষেত্রে উপরোক্ত নিয়মগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগিতার সময় এই নিয়মগুলো না মানলে প্রতিযোগিকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ৫। ডলফিন কিক কাকে বলে ? প্রজাপতি সাঁতারের কৌশল বর্ণনা কর। ডলফিন কিক ঃ ডলফিন কিক প্রজাপতি সাঁতারে ব্যবহার করা হয়। প্রজাপতি সাঁতারে পা দুটো একত্রে সোজা রেখে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় পায়ের পাতা বাহিরের দিকে রেখে ডলফিনের মত পা দ্বারা ধাক্কা মারাকে ডলফিন কিক বলে। প্রজাপতি সাঁতারের কৌশল ঃ এই সাঁতার দেখতে অনেকটা প্রজাপতির মত দেখায় বলে একে প্রজাপতি সাঁতার বলে। প্রজাপতি সাঁতারের কৌশল নিন্মরূপ : দেহের অবস্থান ঃ ১। এই সাঁতারে শরীর খুব দ্রুত ওঠানামা করে। ২। পা দ্বারা যখন নিচের দিকে লাথি মারা হয় কোমর থেকে তখন ওপরের দিকে উঠে আসে। ৩।পুনরায় পানি টানার জন্য হাতকে যখন প্রস্তুত করা হয়,তখন মাথা ও ঘাড় পানির নিচে চলে যায় ৪। আবার যখন হাত দ্বারা পানি পুল করা হয় , তখন ঘাড় ও মাথা পানির ওপর দিকে জেগে ওঠে। ৫। দুই পা জোড়া করে একই সাথে হাতকে প্রসারিত করা হয়। ৬। মাথা উপরে থাকা অবস্থায় শ্বাস নিতে হয়। হাতের কাজ ঃ ১। প্রজাপতি সাঁতারে হাতের কাজ হবে একসাথে। পানির ওপরে হোক আর নিচে হোক,হাতকে আগে পরে করা যাবে না। ২। হাতের কুনইকে বাঁকা এবং উঁচু করে এবং বাহিরমুখি করে পানিতে চাপ দিতে হবে। ৩। হাত মাথা বরাবর সোজা রাখেেত হবে। ৪। বুকের দুই পাশ থেকে শরীর ঘুরিয়ে বুকের নিচে হাতকে নিয়ে আসতে হবে। ৫। পানির নিচে হাতকে কোমর পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। পায়ের কাজ ঃ ১। প্রজাপতি সাঁতারে পায়ের কাজ হবে ডলফিন কিকের মত। দুই পা কোন অবস্থাতেই আগে পরে হলে চলবে না, পা একসাথে ওঠানামা করতে হবে। ২। শরীর শোয়ানো অবস্থায় পা দুটো একত্রে সোজা করে রাখতে হবে। ৩। সাঁতারুকে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় কাঁধের ওপর ভর করে ঢেউ খেলানোর পা সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস ঃ১। প্রজাপতি সাঁতারে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের কাজে সামনে ও পাশে ফিরে উভয় দিকে করা গেলেও বিশ্বখ্যাত সাঁতারুরা সামনের দিকেই শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে থাকে। ২। মাথাকে ওপরে তোলা অবস্থায় মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করতে হবে। ৩। শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের সময় ঘাড় নমনীয় থাকবে। ৬। কী কী কারণে ব্যাডমিন্টন খেলায় সার্ভিস ফল্ট হয় ? ভূমিকা ঃ ১৮৭৩ সালের কাছাকাছি সময়ে সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডে ব্যাডমিন্টন কøাব প্রতিষ্ঠিত হয়ে খেলা শুরু হলেও তৎপূর্বে ১৮৭০ সালে ভারতের পুনায় ব্যাডমিন্টন খেলার প্রচলন হয়। সার্ভিস ঃ একজন খেলোয়াড় নিয়ম-কানুন মেনে খেলার শুরুতে এবং প্রতি পয়েন্টের শুরুতে প্রতিপক্ষের কোর্টে শাটল কর্ক পাঠানোকে সার্ভিস বলে। সার্ভিস ফল্ট ঃ ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু হয় সার্ভিসের মাধ্যমে। সার্ভিস ফল্ট হলে পয়েন্ট লস হয়। যেসব কারণে সার্ভিস ফল্ট হয় । ১। শাটলটি যদি কোনাকুনি না পড়ে। ২। সার্ভিসের সময় যে কোন পা শূন্যে উঠে গেলে। ৩। শাটলটি শট সার্ভিস এরিয়ায় পড়লে ৪। শাটলটি কোর্টের বাহিরে পড়লে। ৫। শাটলটি হাত থেকে ছেড়ে সার্ভিস না করলে। ৬। শাটলটি কোমরের উপর তুলে সার্ভিস করলে। ৭। শাটলটি যদি নেটে আটকে যায় । ৮। সার্ভিস করার সময় কোর্টের দাগ স্পর্শ করলে। ৯। সার্ভিসকারী ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিপক্ষকে ধোকা দিলে। ১০। সার্ভিস করার সময় যদি ইচ্ছাকৃতভাবে সময় নষ্ট করে। ১১। দ্বৈত খেলায় শাটলটি লং সার্ভিস এরিয়ায় পড়লে । ১২। শার্টলের তলায় আঘাত না লাগলে। উপরের আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি সার্ভিস ব্যাডমিন্টন খেলার একটি কৌশল। খেলায় জয়পরাজয়ের ক্ষেত্রে সার্ভিসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৭। ব্যাডমিন্টন খেলায় র‌্যাকেটধরাসহ সার্ভিস করার কৌশল বর্ণনা কর। ভূমিকা ঃ আধুনিক বিশ্বে ব্যাডমিন্টন একটি অতি জনপ্রিয় খেলা । ১৮৭০ সালে ভারতের পুনায় প্রথম ব্যাডমিন্টন খেলার প্রচলন হয়। ব্যাডমিন্টন মূলত ইনডোর গেমস। আমাদের দেশের আবহাওয়া এবং অর্থনৈতিক বিবেচনায় ব্যাডমিন্টন খেলা মৌসুম ভিত্তিক (শীত কালীন) খেলা হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত।
×