ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারতকে একাই টানলেন পুজারা

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৩০ আগস্ট ২০১৫

ভারতকে একাই টানলেন পুজারা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টেস্টে রক্ষা বললে হয়ত ‘ড্র’ বা জয়ের অবদানকে বোঝায়। কলম্বোয় সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের ফল কী হবে, সময়ই তার জবাব দেবে। তবে প্রথম ইনিংসে ভারতকে রক্ষায় অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করেছেন চেতেশ্বর পুজারা। সতীর্থদের সাজঘরে ফেরার মিছিলে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছেন একাই, তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি। ফলে ১৭৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানো সফরকারীদের দিন শেষে সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৯২, পুজারা অপরাজিত ১৩৫!! স্রোতের বিপরীতে এই ওপেনার যেভাবে ব্যাটিং করেছেন সেটিকে এক কথায় ‘অবিশ্বাস্যই’ বলতে হবে। শেষদিকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন অমিত মিশ্র (৫৯)। দু’জনে মিলে বোর্ডে জমা করেন মহামূল্যবান ১০৪ রান, যা টেস্টে অষ্টম উইকেট জুটিতে ভারতের হয়ে নতুন রেকর্ড। আগের দুই টেস্টে স্পিনাররা দাপট দেখানোয় কলম্বোর সিহংলি স্পোর্টস ক্লাবের উইকেট নিয়ে আগ্রহ ছিল। অতিথিদের অবাক করে দিয়ে ঘাসে ভরা বাউন্সি পিচ বানায় লঙ্কানরা। টস জিতে অনুমিতভাবে ফিল্ডিং নেন অধিনায়ক এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। বৃষ্টি বাগড়ায় প্রথম দিন যে ১৫ ওভার খেলা হয়, সেখানে ৫০ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। শনিবার দ্বিতীয় দিনে কোহলিদের শুরুটা ছিল আরও বাজে। যথারীতি স্বাগতিক পেস আক্রমণের সামনে হাবুডুবু খায় অতিথি ব্যাটসম্যানরা। সকালে অবশ্য দেখেশুনে শুরু করতে চেয়েছিলেন বিরাট কোহলি ও পুজারা। ম্যাথুস-প্রদীপের সাপের ফনা হয়ে আসা ডেলিভারিগুলোতে ছিলেন দারুণ রকমের সাবধানী। তাতেও লাভ হয়নি। ম্যাথুসের গুডলেন্থ ডেলিভারি মাঝ ব্লেডে নিতে ব্যর্থ কোহলি ক্যাচ তুলে দেন উইকেটের পেছনে। দলীয় ৬৪ ও নিজের ১৮ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। আউটের ধরন দেখে মানসম্পন্ন পেসের বিপরীতে কোহলির ফুটওয়ার্ক নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়! ৪৬তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন প্রসাদ। পর পর দুই বলে রোহিত শর্মা (২৬) ও স্টুয়ার্ট বিনিকে (০) ফিরিয়ে দিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন প্রসাদ। সেটি হয়ত হয়নি। তবে দলীয় ১১৯ রানে ৫ উইকেট হারানো ভারতকে ঠিকই গর্তে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। মনে হচ্ছিল, সফরকারীদের ইনিংস গুটিয়ে যাওয়া সময়ের ব্যাপার। তখনই পুজারা-মিশ্রর দুরন্ত ব্যাটিং! ২৭ ওভারে ইনিংসের সর্বোচ্চ ১০৪ রান জমা করেন দু’জনে। ভারতের হয়ে অষ্টম উইকেটে আগের রেকর্ড ছিল ৭০ রানের, ১৯৮৫ সালে যেটি করেছিলেন কপিল দেব ও শ্রী ভার্মাকৃষ্ণন। ৮৭ বলে ৭ চারের সাহায্যে ৫৯ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে স্পিনার রঙ্গনা হেরাথের শিকারে পরিণত হন মিশ্র। ১৬তম টেস্টে এটি তার তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। মিশ্র অভিজ্ঞতার দিনে পুজারাকে আউট করার রাস্তা খুঁজে পায়নি লঙ্কানরা। ২৭৭ বলে ১৩ চারের সাহায্যে ১৩৫ রান নিয়ে অপরাজিত তিনি। ২৮তম ম্যাচে পুজারার এটি সপ্তম সেঞ্চুরি। এর আগে ২২ ইনিংস পূর্বে আগের সেঞ্চুরিটি পেয়েছিলেন তিনি, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে জোহানেসবার্গে। স্বাগতিকদের সফল বোলার প্রসাদ ৮৩ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ২০১০ সালের (লাসিথ মালিঙ্গা) পর ঘরের মাটিতে কোন লঙ্কান পেসারের সেরা বোলিং এটিই।
×