ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

টি২০ ও ওয়ানডের জন্য প্রস্তুত স্টিভেন স্মিথ

প্রকাশিত: ০৬:২২, ৩০ আগস্ট ২০১৫

টি২০ ও ওয়ানডের জন্য প্রস্তুত স্টিভেন স্মিথ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ্যাশেজ ভরাডুবিতে অনেকটা বেসামাল অস্ট্রেলিয়া। ব্যর্থতা মেনে নিয়ে ক্রিকেট ছেড়েছেন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। সামনে ইংল্যান্ডের সঙ্গে একটি টি২০ ও পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ। যার প্রস্তুতি স্বরূপ আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে এক ওয়ানডেতে অংশ নেয় অতিথিরা। যেখানে অনুমিতভাবে জয় পেয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ওই ম্যাচের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টিভেন স্মিথ-যুগে প্রবেশ করে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট। তবে আসল পরীক্ষাটা অবশ্যই ইংল্যান্ড সিরিজ। কার্ডিফে একমাত্র টি২০ দিয়ে যেটি শুরু হচ্ছে সোমবার। প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষের পাশাপাশি এ্যাশেজ ব্যর্থতা মুছে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তরুণ অধিনায়ক। স্মিথ বলেন, ‘আইরিশদের সঙ্গে ম্যাচটি বৃষ্টি যথেষ্ট ঝামেলা করেছে। শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশামতো আমরাই জিতেছি। ম্যাচে আমাদের জন্য অনেক ইতিবাচক বিষয়ই ছিল। যেমন ওয়ার্নারের সঙ্গে তরুণ বার্নস ওপেনিংয়ে চমৎকার ব্যাটিং করেছে। ধারাবাহিক হতে পারলে আগামীতে ওকে আমরা টেস্টেও বিবেচনা করতে পারব। তবে মিডল-অর্ডারে ব্যাটিং ভাল হয়নি। অবশ্য বেইলি-ম্যাক্সওয়েল অনেক দিন খেলার মধ্যে নেই। আশা করছি দ্রুতই মানিয়ে নেবে। এ্যাশেজের ব্যর্থতা ভুলে এই সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে চাই।’ বেলফাস্টে আইরিশদের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘিœত ম্যাচটা স্মিথরা জেতে ২৩ রানে। ওপেনিংয়ে ১৩৯ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার (৮৪) ও জো বার্নস (৬৯)। পরে প্রতিপক্ষকে ১৫৭ রানে অলআউট করার পথে ভাল বোলিং করেন মিচেল স্টার্ক, কল্টার নাইল, প্যাট কুমিন্স ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বিশ্বকাপের পর পাঁচ টেস্টে দীর্ঘ এ্যাশেজ খেলে কুলিন অসিরা। স্বভাবতই ম্যাক্সওয়েল-জর্জ বেইলির মতো ওয়ানডে স্পেশালিস্টরা খেলার মধ্যে ছিলেন না। কাউন্টিতে নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়ি চালানোয় আপাতত নিষিদ্ধ বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক জেমস ফকনার। সুতরাং মাঠে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় সেটি দেখার বিষয়। অবশ্য আত্মবিশ্বাসের সুরটা স্মিথের কণ্ঠেই মানায়। কারণ এ্যাশেজে দলের ব্যর্থতার মাঝে ব্যাট হাতে প্রায় একাই লড়েছেন তুখোড় প্রতিভাবান এই ব্যাটসম্যান। ৩-২-এ হারা সিরিজে যে দুটি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে, তাতে প্রত্যক্ষ অবদান স্মিথেরই। ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। আইসিসির সর্বশেষ টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ফের শীর্ষে উঠে এসেছেন। শীর্ষে থেকেই শুরু করেছিলেন। ট্রেন্ট ব্রিজে চতুর্থ টেস্টে দলের পরাজয়ের সঙ্গে জো রুটের কাছে শীর্ষস্থান হারিয়েছিলেন। শেষ টেস্টে তার ১৪৩ রানের দুরন্ত সেঞ্চুরির সুবাদে ইংলিশদের ইনিংস ও ৪৬ রানে হারিয়ে ব্যবধান কমায় অতিথিরা। তার আগে লর্ডসের দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের পথে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি (২১৫) হাঁকান স্মিথ। দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৫৮। এ পারফর্মেন্সই স্মিথকে ফের শীর্ষে তুলে আনে। গত দেড় বছরে নিজেকে অস্ট্রেলিয়ার স্বীকৃত সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শেন ওয়াটসন-ডেভিড ওয়ার্নারের মতো ক্রিকেটারকে পেছনে ফেলে হয়েছেন অধিনায়ক। ইংল্যান্ড সিরিজে ওয়ানডে এবং আসন্ন বাংলাদেশ সফরে টেস্ট দিয়ে পুরোপুরি দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন। নেতৃত্ব পাওয়ার পরই স্মিথ বলেছেন, তার প্রথম কাজ বিদেশের মাটিতে সাফল্য এনে দেয়া। সাউদাম্পটনে প্রথম ওয়ানডে ৩ সেপ্টেম্বর।
×