স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে মাফিয়া চক্রের আড্ডাখানায় পরিণত করার নীলনক্সা বাস্তবায়িত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে কোকেন আটকের ঘটনা প্রমাণ করে এ বন্দরকে মাফিয়া চক্র চোরাচালানের রুটে পরিণত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের এই বৃহত্তম বন্দরটি ধ্বংসের জন্য কর্ণফুলী নদীর ওপর পিলার সেতু নির্মাণ করে জাহাজ চলাচলের চ্যানেলে নাব্যতা হ্রাস করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১ ও ২নং জেটি বন্ধ হওয়ার পথে। চট্টগ্রাম বন্দর ধ্বংসের এই নীলনক্সা দেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য অশনিসংকেত ডেকে আনছে। তার চশমাহিলের বাসভবনে অনুষ্ঠিত শ্রমিক লীগ ও বন্দর এলাকার শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনা। এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্রের সদস্যদের বন্দরের কার্যক্রমে অনৈতিকভাবে যুক্ত করায় এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে। যার ফলে এখানে মাদক, অস্ত্রসহ নিষিদ্ধ পণ্যের আনা-নেয়ার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের মতো ভয়াবহ আমদানি চালান ধরা পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রামাণিত হয়েছে যে, মাফিয়া চক্র চট্টগ্রাম বন্দরকে মাদক, অস্ত্রসহ নিষিদ্ধ পণ্য চলাচলের ট্রানজিট রোড হিসেবে ব্যবহার করছে। তিনি উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনায় বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির পথ প্রশস্ত করা হয়েছে। দীর্ঘ আট বছর আগে নির্মিত এ প্রকল্পটির অপারেশন শুরু হওয়ার প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক সভার সিদ্ধান্ত উপেক্ষিত হয়েছে। চিহ্নিত একটি ঠিকাদার সিন্ডিকেটকে এর অপারেশন কাজ পাইয়ে দেয়ার নীলনক্সা বাস্তবায়িত হওয়ার পর সরকারী পিপিআর নীতিমালা লংঘন করে মন্ত্রণালয়ের স্বার্থান্বেষী একটি চক্র এটি বাস্তবায়নের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
তিনি বন্দর তহবিল হরিলুটের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্রয়ের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ ধরনের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের দাখিল করা মামলা দ্রুত নিষ্পিত্তি ও দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বন্দর শ্রমিক কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়ন আবাসন ও চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধি এবং উচ্চতর আদালতের আদেশ অনুযায়ী বরখাস্তকৃত জাহাজ পাহারদারদের অবিলম্বে চকরিতে পুনর্বহাল করার দাবি জানান।
সভায় বক্তব্য রাখেন- শ্রমিক নেতা আবদুল আহাদ, মাহাববুবুল হক চৌধুরী এটলী, মোহাব্বত আলী খান, গাজী জসিম উদ্দিন, আবদুর রহিম, মোঃ ইস্কান্দর মিঞা, মোঃ জসিম, আবদুল লতিফ, আবদুল মালেক, মোবারক আলী, আকবর হোসেন, আবু বক্কর সিদ্দিক, মোঃ শহীদুল আলম বকুল, মোঃ আলী মিন্টু, নান্নু শিকদার, রতন মাঝি, আবদুল মালেক, আনোয়ার হোসেন কাঞ্চন দাশ, বশির আহম্মদ, মোঃ নূর ছোফা ভূইয়া, গাজী মোঃ আলমগীর, মোঃ সেলিম, মোঃ মনির প্রমুখ।
কোকেন আটকে প্রমাণ হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর চোরাচালানের রুটে পরিণত ॥ মহিউদ্দিন
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: