ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নৃত্য উপলব্ধির লোকনৃত্যে মুগ্ধ দর্শক

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২৯ আগস্ট ২০১৫

নৃত্য উপলব্ধির লোকনৃত্যে মুগ্ধ দর্শক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মিলনায়তনজুড়ে ছিল নূপুরের ঝঙ্কার। একেকটি নৃত্য পরিবেশনের পূর্বে পর্দায় প্রদর্শন করা হচ্ছিল দেশ-বিদেশের লোকজ আঙ্গিকের নৃত্য। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত নৃত্য উপলব্ধির ষষ্ঠ পর্ব প্রদর্শন হলো সম্প্রতি ডেইলি স্টার বেঙ্গল আর্টস প্রিসিঙ্কটে। এদিন সন্ধ্যায় দেশের উদীয়মান নৃত্যশিল্পীদের লোক আঙ্গিকের এ পরিবেশনা ছিল মনোমুগ্ধকর। প্রতিটি নৃত্য পরিবেশনার আগে দেশের স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী ও শিক্ষক শর্মিলা ব্যানার্জীর নৃত্য বর্ণনাও ছিল অসাধারণ। এতে লোকনৃত্যের যে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় তা হলো-ভূমিকা, ইতিহাস ও বিবর্তন, বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে এর তাৎপর্য, লোকনৃত্য পরিবেশন পাতা নাচ, পাইক নাচ, মায়ূরভানজ ছাউ, ত্রিপুরা, জুম নাচ এবং রাইবেশী। শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের লোকনৃত্যর ইতিহাস, বিবর্তনের একটি পরিষ্কার এবং তথ্যপূর্ণ ভূমিকা উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধাঁচের বাংলাদেশী লোকনৃত্য যেমন পাটা নাচ, পাইক নাচ, ময়ূরভাঞ্জ চাউ, ত্রপুরা, জুম নাচ এবং রাইবেশী পরিববেশন করা হয়। দর্শক মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেন এ নান্দনিক উপস্থাপনা এবং হাততালির মাধ্যমে শিল্পীদের উৎসাহও দেন। নৃত্যপরিবেশন করেনÑ আফসানা ইসলাম, সুদেষ্ণা স্বয়মপ্রভা, মেহেরাজ হক তুষার, লাডলী মোহন মিত্র, ইরা বালা, কৃষ্ণা রায়, ফালগুনী সেন, শফিকুল ইসলাম, চনদ্র চাকমা, ঝিলিক চাকমা, সূধা চাকমা, নাই আই সিন তুতু, আসাইনু মারমা, বিপাশা মারমা, ফারহাদ আহমেদ সামিম ও জাসিমউদদীন। শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী ও পরিচালক শর্মিলা ব্যানার্জী শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃত্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি কথাকলি ও মণিপুরী নৃত্যে বিশেষভাবে পারদর্শী। কলকাতার মণিপুরী নৃত্যালয়ের খ্যাতিমান শিক্ষক গুরু বিপিন সিংহ ও শ্রীমতী কলাবতী দেবীর তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের পর তিনি ‘নর্তন বিশারদ’ উপাধিতে ভূষিত হন। তিনি ভরতনাট্যম, ওড়িশী এবং বিভিন্ন লোকজ নৃত্যেরও বিশেষজ্ঞ। নৃত্যনন্দন নামে একটি নাচের শিক্ষালয় তিনি পরিচালনা করেন। শর্মিলা ব্যানার্জী বর্তমানে ছায়ানটের নৃত্য বিভাগের প্রধান। অনুষ্ঠান শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেনÑ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগাম ম্যানেজার সারোয়ার জাহান চৌধুরী, সাবেক সংস্কৃতি সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।
×