ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টাইব্রেকারে বাংলাদেশ ৩ ()-৪ () ভারত

ভারতের কাছে হেরে বিদায় বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২৮ আগস্ট ২০১৫

ভারতের কাছে হেরে বিদায় বাংলাদেশের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টাইব্রেকারে এগিয়ে থেকেও সাডেন ডেথে স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটাল বাংলাদেশ অনুর্ধ ১৯ জাতীয় ফুটবল দলের। ‘সাফ অনুর্ধ ১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ’ ফুটবলের ফাইনালে নাম লেখাতে পারল না মাসুক-ইব্রাহীম, রোহিতরা। অল নেপাল ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে নেপালের ললিতপুরের আনফা কমপ্লেক্সে চলমান ‘সাফ অনুর্ধ ১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ’ ফুটবলের প্রথম আসরে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ভারত টাইব্রেকারে (সাডেন ডেথে) ৪-৩ (০-০) হারায় ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ বাংলাদেশকে। আগামী শনিবার একই ভেন্যুতে দুপুর সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক নেপাল বনাম ভারত। বাংলাদেশ দলের কোচ টিটুর কথা না বললেই নয়। পুরো ম্যাচেই তিনি দলকে খেলিয়েছেন কাউন্টার এ্যাটাক, রক্ষণাত্মক ও নেতিবাচক ধরনের ফুটবল! খেলা শুরুর সময় তার প্রথম একাদশের ফর্মেশন ছিল ৫-৪-১। তার মানে রক্ষণভাগেই ছিল পাঁচ ডিফেন্ডার, আর স্ট্রাইকার ছিল মাত্র একজন! সে তুলনায় ভারতের খেলা ছিল অনেক বেশি দ্রুতগতির এবং আক্রমণাত্মক। তাদের ফর্মেশন ছিল ৪-৪-২। টিটু তার দলের খেলোয়াড়দের সামর্থ্য থাকার পরেও নেগেটিভ ফুটবল খেলানোর কারণে দেশে ফেরার আগেই প্রচ-ভাবে সমালোচিত হতে পারেন। পুরো ম্যাচে যেখানে ভারত ৮ কর্নার পেয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ কোন কর্নারই আদায় করতে পারেনি! ভারতের গোলমুখে বাংলাদেশের যে হাতে গোনা কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ও পরিকল্পনাহীন আক্রমণ দেখা গেছে, তা থেকে গোল করার বিন্দুমাত্র কোন সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। অথচ ভারতের একাধিক আক্রমণ গোল করার জোরালো সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছিল। ভারতের গোলপোস্টে বাংলাদেশ একটিও শট নিতে পারেনি। ভারত নিয়েছে একাধিকবার। ফাউল দু’দলই সমান করেছে। কিন্তু হলুদ কার্ড দেখেছে বাংলাদেশ দলের আলম শাকিল, মান্নাফ রাব্বি ও মিনিটে ইমন বাবু। ‘ফাইনালের আগের দিনও আমি ছেলেদের পেনাল্টি শট নেয়া অনুশীলন করিয়েছি। তারপরও টাইব্রেকারে এভাবে লিড নিয়েও আমাদের এভাবে হেরে যাওয়াটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আসলে আমাদের যুবারা এই পর্যায়ের ফুটবল খেলে অভ্যস্ত নয়, তাই এভাবে হেরেছে।’ ম্যাচ শেষে এভাবেই নিজের ও দলের পক্ষে সাফাই গান বাংলাদেশের কোচ টিটু। টাইব্রেকারেও ম্যাচের ফল ছিল ৩-৩ এর সমতা। ভারতের পক্ষে গোল করেন শাহবাজ, রোহিত কুমার, গুরসিমরাত সিং। মিস করেন লালরাম জাওভা এবং স্বার্থক গৌলি। লালরামের শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। স্বার্থকের গড়ানো শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। বাংলাদেশের পক্ষে গোল করেন মাসুক মিয়া জনি, রোহিত সরকার এবং মান্নাফ রাব্বি। মিস করেন ইমন এবং ইব্রাহিম। ইব্রাহিমের গড়ানো শট বারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ইমনের শট প্রতিহত হয়। এরপর শুরু হয় টাইব্রেকারের দ্বিতীয় পর্ব ‘সাডেন ডেথ।’ ভারতীয় অধিনায়ক ড্যানিয়েলের শট জালে জড়ালেও বাংলাদেশের রহমত মিয়া ব্যর্থ হন গোল করতে। তার শটটি বারের অনেক ওপর দিয়ে আকাশে উঠে যায়! ফলে সাডেন ডেথে জিতে ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের সঙ্গী হয় ভারত। বাংলাদেশ দল : আনিসুর, রহমত, ইমন, টুটুল, মাসুক, রোহিত, শাহরিয়ার (অনীক), মান্নাফ, ইব্রাহিম, বিশ্বনাথ ও শাকিল।
×