ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নগর সংলাপে বিশেষজ্ঞরা

টেকসই নগরায়নের মূল সমস্যা চিহ্নিত করা জরুরী

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২৬ আগস্ট ২০১৫

টেকসই নগরায়নের মূল সমস্যা চিহ্নিত করা জরুরী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নগরায়ন ও এর ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে বহুমুখী গবেষণা ও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের ওপর জোর দিয়েছেন নগর বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, উন্নয়নের একটি নির্ধারক হলো নগরায়ন। বর্তমানে গোটা বিশ্বের ৫৩ শতাংশ মানুষ নগরে বাস করে। সেই তুলনায় বাংলাদেশে নগরবাসীর হার কম, মাত্র ২৮ শতাংশ। কিন্তু জনসংখ্যার আধিক্য এবং অপরিকল্পিত নগরায়ন জলাবদ্ধতা, বিভিন্ন ধরনের দূষণ ও ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভূ-প্রাকৃতিক ভিন্নতা এবং বসবাসকারীদের আর্থ-সামাজিক শ্রেণীভিন্নতার কারণে দেশের নগর-শহরগুলোর সমস্যাও বহুমুখী। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘তৃতীয় নগর সংলাপ-২০১৫’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। নগর সমস্যা সমাধানে কাজ করে এমন ১২টি এনজিওর প্ল্যাটফরম আরবান আইএনজিও ফোরাম বাংলাদেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স এ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ যৌথভাবে এ সংলাপের আয়োজন করে। হ্যাবিটেট ফর হিউম্যানিটির জাতীয় পরিচালক জন এ আর্মস্ট্রংয়ের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান। অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক শেখ তাওহিদুল ইসলাম বাংলাদেশের নগরায়ন ব্যবস্থা : সমস্যা এবং সম্ভাবনা বিষয়ক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। পরে প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন নগর বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শহিদুল্লাহ মিয়া প্রমুখ। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের পরিচালক উইলফ্রেড সিকুকুলা এবং ডিজাস্টার সায়েন্স এ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক এম মাকসুদ কামাল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, নগরায়নের ক্ষেত্রে সরকারী কর্মকর্তা ও নীতি নির্ধারকদের অনেকের শহরমুখী মানসিকতা রয়েছে। এটি পরিবর্তন প্রয়োজন। সমস্যা সমাধানের জন্য সমস্যাটা চিহ্নিত করা জরুরী। আর ন্যায্যতা ও সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে গ্রামীণ নগরায়নও টেকসই হবে।
×