ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমার-পাকিস্তানের পেঁয়াজ এসে পড়ায় দাম কমা শুরু

পেঁয়াজের হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধি বারো সিন্ডিকেটের কারসাজিতে

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৬ আগস্ট ২০১৫

পেঁয়াজের হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধি বারো সিন্ডিকেটের কারসাজিতে

মোয়াজ্জেমুল হক ও এম শাহজাহান ॥ ভোগ্যপণ্যের বাজারে এ আপদ নতুন নয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজের বাজারমূল্যে হঠাৎ অস্থিতিশীলতা লক্ষণীয়। এ যেন রেসের ঘোড়া। মাত্র একমাস আগে যে পেঁয়াজের খুচরা মূল্য কেজিপ্রতি ২৫ থেকে ২৮ টাকায় ছিল তা একলাফে কোথাও ৯০ কোথাও ১শ’ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। চার-পাঁচ দিন আগেও ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এত অল্প সময়ে এমন কী ঘটে গেল, পণ্যটির মূল্যের ঝাঁঝ ভোক্তাদের নাকাল করে দিয়েছে। তবে গত সোম ও মঙ্গলবার মিয়ানমার ও পাকিস্তানী পেঁয়াজ বাজারে চলে আসায় দাম এখন নিন্মমুখী। মঙ্গলবার খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোতে পেঁয়াজের পাইকারি ক্রেতাদের ঘাটতি ছিল। দেশে ভোগ্যপণ্যের একক বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে মঙ্গলবার ভারতীয় পেঁয়াজের খুচরা মূল্য নেমে এসেছে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। তবে খাতুনগঞ্জের বাইরে এখনও ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে কোথায় ৮০ আবার কোথাও ৮৫ টাকায়। গত সোমবার এ মূল্য ছিল সর্বোচ্চ ৯০ টাকায়। পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার নেপথ্য কারণ খুঁজতে মঙ্গলবার টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম ইকবাল ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্মকর্তারা মঙ্গলবার সকালে খাতুনগঞ্জ পরিদর্শন করেছেন এবং কথা বলেছেন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। বৈঠক করেছেন খাতুনগঞ্জ ট্রেড এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এ্যাসোসিয়েশন নেতাদের নিয়ে। এদিকে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। দামের উর্ধমুখিতা ঠেকাতে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করবে সরকার। অবৈধ মজুদ ঠেকাতে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকদের নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কোরবানি সামনে রেখে ট্রাক সেলে পেঁয়াজ বিক্রি করবে সরকারী সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। টিসিবি চীন থেকে আমদানির জন্য ঋণপত্র (্এলসি) খুলেছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দেশে ঢুকবে চীনের পেঁয়াজ। এছাড়া বেসরকারী পর্যায়ে মিয়ানমারের পাশাপাশি মিসর থেকে মসলা জাতীয় এ পণ্যটি আমদানি করার সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে। আমদানি নির্বিঘœ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং দেশের সকল পোর্টগুলোকে অনুরোধ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এসব উদ্যোগের ফলে রাজধানীতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে আসতে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, পেঁয়াজের দাম অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা করণীয় ঠিক করতে সোমবার সচিবালয়ে বৈঠক করেন। এরই ধারবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার আবারও কর্মকর্তারা মূল্য নিয়ন্ত্রণে কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন জনকণ্ঠকে বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে সর্বক্ষণিক বাজার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। চীন থেকে সরকারীভাবে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। পরবর্তীতে টিসিবির মাধ্যমে খোলা ট্রাকে এই পেঁয়াজ সহনীয় মূল্যে বিক্রি করা হবে। তিনি বলেন, এছাড়া ভারতের পাশাপাশি বিকল্প বাজার থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে সর্বোচ্চ ২৪ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদিত হয় সরকারী মতে ১৮ থেকে ১৯ লাখ টন। চাহিদার বাকি অংশ আমদানি করা হয় ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান, তুরস্ক ও চীন থেকে। বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা বরাবরই বেশি থাকে বিধায় সেখান থেকে চাহিদার বড় অংশটি স্থলপথে অর্থাৎ বেনাপোল, হিলি, তামাবিল ও ভোমরা দিয়ে আমদানি হয়ে আসে। অতীতে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রিত হতো চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ থেকে। কারণ বড় বড় আমদানিকারকরা ছিলেন খাতুনগঞ্জের। এখন ওই পরিস্থিতি আর নেই। বেনাপোল, তামাবিল, হিলি ও ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানিকারকদের বারোটি সিন্ডিকেট পেঁয়াজ বাজারের মূল নিয়ন্ত্রক। খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তে এ সমস্ত আমদানি-কারকদের পেঁয়াজ এনে শুধু বিক্রি করা হয়। বিনিময়ে আড়তদাররা ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে ৩০ পয়সা করে সর্বোচ্চ ৬০ পয়সা কেজিপ্রতি কমিশন পেয়ে থাকে। বাজারে কখনও এ পণ্য, কখনও ওই পণ্যের মূল্য বছরজুড়ে আকস্মিকভাবে অস্থিতিশীল পর্যায়ে চলে যায়। এ ঘটনা কখনও বাস্তবতার নিরিখে ঘটে থাকে, আবার কখনও কৃত্রিম। কিন্তু সুরাহার পথ কখনই মিলে না। ভোক্তাদের পকেট ফতুর করার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দেখা যায়। এ যেন চান্সেই থাকে সংশ্লিষ্ট সকলে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নেয়া। বর্তমানে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক বাজার মূল্যের নেপথ্যেও রয়েছে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা। শুধু ভারতে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি ঘটায় বাংলাদেশেও তাতে সয়লাব হয়ে যায়। এ যেন কলি যুগের রাম রাজত্ব। বাজার সূত্র বলেছে, ভারতে পেঁয়াজের দাম সেখানকার স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। আমদানিমূল্য হয়েছে টনপ্রতি ৭০৫ ডলার, যা আগে ছিল ৪৩৫ ডলার। ফলে এর উত্তাপ লেগেছে বাংলাদেশে। অথচ বাজারে এখনও যে পেঁয়াজের মজুদ রয়েছে তা ভারতে বাজার বৃদ্ধির বহু আগের আমদানি করা। এর সঙ্গে রয়েছে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ। এতেও কেন অগ্নিমূল্য? এটা তো আমদানির নয়। ফলে এটা নিশ্চিত যে, এ মুহূর্তে পেঁয়াজের যে অগ্নিমূল্য তা সিন্ডিকেট সৃষ্ট। অসৎ ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফা হাতিয়ে নেয়ার অপতৎপরতা। চট্টগ্রামে খাতুনগঞ্জ বাজার সূত্রে এ চিত্রই পাওয়া গেছে। সরকার পক্ষে টিসিবি ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানতে চেয়েছে কেন এ অবস্থা। উত্তরে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পেঁয়াজের আন্তর্জাতিক বাজার দর বৃদ্ধি ও সরবরাহ আগের তুলনায় না থাকায় মূল্য বৃদ্ধির কারণ। এ ছাড়া পরিবহন খাতে এবং বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে বাজারমূল্য এত বৃদ্ধি পেত না। টিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে এ সময় ছিলেনÑ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল হোসেন, খাতুনগঞ্জ ট্রেড এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমদ, চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল হোসেন, হামিদউল্লাহ বাজার সমিতির সভাপতি হাজী নুরুল আলম সওদাগর, সহসভাপতি আফসার উদ্দিন, নুর হোসেন, আবদুল আলীম প্রমুখ। খাতুনগঞ্জ ট্রেড এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমদ জনকণ্ঠকে জানান, চট্টগ্রামে বড় বড় আড়তের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়ে থাকে। আমদানিকারকরা সকলেই চট্টগ্রামের বাইরের। এছাড়াও পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে যা ঘটে পেঁয়াজের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটবে, তা আশা করা বোকামী। বর্তমান যুগ তো ইন্টারনেটের। কী-বোর্ডে চাপ দিলেই পণ্যের মূল্য কোথায় বাড়তি, কোথায় কমতি নিমিষেই হাতে চলে আসে। আর পর মুহূর্তেই বাজারে এর প্রতিফলন ঘটে। বাজারে তো পেঁয়াজের সঙ্কট নেই। যোগান স্বাভাবিক। তাহলে এভাবে এক মাস আগের পেঁয়াজের মূল্য এখন দ্বিগুণ-তিনগুণ বেড়ে যাওয়ার কারণ কী। এমন প্রশ্নের উত্তরে চট্টগ্রামের পেঁয়াজের আড়তদার ও পাইকাররা অভিন্ন সূত্রে জানিয়েছেন বাজার বাজারের গতিতেই চলে। দেশে এমন বহু আমদানির পণ্য আছে, যা বিশ্ব বাজার মূল্যের চেয়ে কমে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে ওই সব পণ্যের আমদানিকারকরা মোটা অঙ্কের লোকসান দিচ্ছে। অতীতে এ প্রক্রিয়ায় চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পণ্য আমদানিকারকরা বিপুল অঙ্কের অর্থ লোকসান দিয়ে ফতুর হয়ে গেছে। ব্যাংক দেনায় অনেকে গা ঢাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। যে কোন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির নেপথ্যে কিছু কারণ থাকে। সে সব কারণ উদ্ঘাটন করে এর তাৎক্ষণিক সমাধান করা না হলে বাজার পরিস্থিতিতে কোন পরিবর্তন আসার কথা নয়। বাংলাদেশের বাজারে ভারত ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, তুরস্ক, চীন, মিয়ানমার ইত্যাদি। কিন্তু শুধু ভারতে পেঁয়াজের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় তা বাংলাদেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করেছে। এর মূল কারণ আমদানির বড় অংশটি ভারত থেকে এসে থাকে বলে। এ অবস্থায় ইতোমধ্যেই খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জরুরীভিত্তিতে ভারত ছাড়া অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে নেমেছেন। ইতোমধ্যেই পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে প্রথম চালান বাজারে ঢুকেছে। আর এতেই পেঁয়াজের বাজারমূল্যে প্রথম দফা হ্রাস পেয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজের একক আধিপত্য না থাকলে বাজার অস্বাভাবিক পর্যায় থেকে স্বাভাবিকের কাছাকাছি চলে আসতে বাধ্য। ব্যবসায়ীদের মতে, বাজারে পেঁয়াজের বর্তমান অগ্নিমূল্য সাময়িক। পার্শ¦বর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে সমুদ্র পথে পেঁয়াজ আমদানির সুবিধা দেয়া হলে এর মূল্য স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসতে বাধ্য। এদিকে পেঁয়াজের খুচরা বিক্রেতারা বলেছেন, ‘আমাদের কী দোষ, পাইকারি বাজারে যেভাবে বাড়ে ঠিক সেভাবে খুচরা মূল্য বাড়াতে হয়। আবার পাইকারি ব্যবসায়ীরা বললেন, তাদের কী দোষ। আমদানিকারকরা যে দামে ছাড়ে সে ভিত্তিতেই বাজারমূল্য উঠানামা করে। এক্ষেত্রে অনৈতিক কোন ম্যাকানিজম নেই। মূল্য নির্ধারিত হয় আমদানিকারকদের পাইকারি মূল্য নির্ধারণের ওপর। আর পাইকারদের কাছে পেঁয়াজ আসে কয়েক হাত ঘুরে। এতে আমদানিকারকদের মূল্যের চেয়ে তা অটো পদ্ধতিতে বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে খুচরা ব্যবসায়ীদের কিছুই করার থাকে না। মূল মুনাফাটি হাতিয়ে নেয় চালানের হাত বদলের সঙ্গে জড়িতরা। বিভিন্ন পণ্যের বাজার মূল্য বিভিন্ন সময়ে শেয়ার মার্কেট ও ক্যাসিনোতে জুয়া খেলার মতো ঘটে থাকে। বড় পাইকার বা বড় আমদানিকারকদের রিস্ক থাকে অকল্পনীয়। খুচরা ব্যবসায়ীদের কোন রিস্ক থাকে না। বাজারমূল্য বাড়লে খুচরা পর্যায়ে তা বেড়ে যায়। আবার কমলে এমনিতেই কমে যায়। জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মঙ্গলবার টিসিবি পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের তথ্য সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছে। দেশগুলো হলো মিয়ানমার, চীন, মিসর, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান ও ইরান। এর মধ্যে খাওয়ার উপযোগী ও দামের দিক দিয়ে সাশ্রয়ী হওয়ায় এ মুহূর্তে চীন, মিয়ানমার এবং মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। তবে সমস্যা হলো পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাবে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য এমনিতেই কম। সে কারণে ওই দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। চীনে দাম যেমন কম, তেমনি পেঁয়াজের উৎপাদনও ভাল হয়েছে। এ কারণে চীন থেকে আপাতত পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। আর ঝাঁঝ কম হওয়ার কারণে থাইল্যান্ডের পেঁয়াজ সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। এ পেঁয়াজের বাংলাদেশে চাহিদা নেই বললেই চলে। জানা গেছে, টিসিবির আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশে এলে রাজধানী ঢাকার ২৫টি স্থানসহ সারাদেশে মোট ১৭৪টি স্থানে ট্রাকে করে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। বাজারে চাহিদা থাকা পর্যন্ত এ বিক্রি কার্যক্রম চলবে। এসব ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ॥ যশোর ও বেনাপোল থেকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে ভারতে পেঁয়াজের রফতানি মূল্য তিন দফা বাড়িয়ে প্রতি মেট্রিক টন ৭শ’ ৫ ডলার করা হয়েছে। এতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি করতে খরচ পড়ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। হঠাৎ করে দাম বাড়ায় মঙ্গলবার বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। এ সুযোগে সিন্ডিকেট করে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিকেল পর্যন্ত বেনাপোল বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৮২ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
×