ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আইএসের বর্বরোচিত হামলায় মর্মাহত বান কি মুন

বালশামিন মন্দির ধ্বংস যুদ্ধাপরাধের শামিল

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ২৬ আগস্ট ২০১৫

বালশামিন মন্দির ধ্বংস যুদ্ধাপরাধের শামিল

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন সোমবার বলেছেন, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গীদের প্রাচীন বালশামিন মন্দির গুঁড়িয়ে দেয়ার খবরে তিনি মর্মাহত। জঙ্গীরা রবিবার ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত এই প্রাচীন মন্দিরটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেয়। জাতিসংঘের সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো বলেছে, সিরিয়ার পালমিরায় প্রাচীন বালশামিন মন্দির ধ্বংস একটা যুদ্ধাপরাধ। খবর এএফপির। বান কি-মুন এক বিবৃতিতে পালমিরার অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রতœতত্ত্ববিদ খালেদ আল-আসাদকে হত্যা ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। গত ১৮ আগস্ট তার শিরñেদ করা হয়। সিরিয়ায় বিগত চার বছর তাদের বেসামরিক নাগরিক ও প্রাচীন ঐতিহ্যের ওপর জঙ্গীরা এ ধরনের বর্বরোচিত অনেক ঘটনা ঘটায়। তিনি বলেন, বিশ্ব সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ধ্বংস করা একটি যুদ্ধাপরাধ। জাতিসংঘ মহাসচিব এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা- বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে বিশ্বের সরকার প্রধানদের প্রতি আহ্বান জানান। সংরক্ষিত গ্রীক রোমান ধ্বংসাবশেষের জন্য বিখ্যাত পালমিরা গত মে মাসে সরকারী বাহিনীর কাছ থেকে দখল করে নেয়া হলে আশঙ্কা করা হয়েছিল যে, আইএস চরমপন্থীরা সিরিয়া ও ইরাকের অন্যান্য অংশের মতো এর অমূল্য ঐতিহ্যগুলো ধ্বংস করে দেবে। একে প্রাচীন বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোর অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইউনেস্কো সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, পালমিরা ধ্বংস সিরিয়ার জনসাধারণ ও মানবতার জন্য একটা বিরাট ক্ষতি। ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা বলেন, এ ধরনের হামলার প্রকৃত উদ্দেশ্যে হলো সিরিয়ার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার মূর্ত প্রতীকগুলোর পরিকল্পিত ধ্বংসসাধন। এর ফলে সিরিয়ার জনগণ তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হবে। এর সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। ইরাকেও বেশ কয়েকটি প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করেছে আইএস জঙ্গীরা। ইউনেস্কো তখনও বলেছিল, এটা যুদ্ধাপরাধ ও সাংস্কৃতিক নিদর্শন মুছে ফেলার জঘন্য কর্মকা-। বালশামিন মন্দির নির্মাণ করা হয় ১৭ খ্রিস্টাব্দে এবং ১৩০ খ্রিস্টাব্দে রোমান সম্রাট হাদ্রিয়ানের রাজত্বকালে এটি সম্প্রসারিত হয়। ‘মরুভূমির মুক্তা’ বলে পরিচিত পালমিরা যার অর্থ তালগাছের শহর একটি সুরক্ষিত মরূদ্যান। দামেস্কের ২১০ কিমি উত্তর-পূর্বে এর অবস্থান রেশম পথ এবং পারস্য উপসাগর ও ভূমধ্যসাগরের মধ্যবর্তী পথে চলাচলকারী মরুযাত্রী দলের জন্য এটি ছিল একটি বিরামস্থল। খ্রিস্টপূর্ব ১৯ শতকের একটি ফলকে প্রথম এর নাম পাওয়া যায়। সিরিয়ার পূরাকীর্তি বিষয়ক প্রধান মামুন আব্দুল করিম বলেন, রবিবার মন্দিরটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
×