নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, যশোর, ২৪ আগস্ট ॥ কেশবপুর উপজেলার গড়ভাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার ক্রীড়া শিক্ষক আলতাফ হোসেন ১২ বছর পর ভারত থেকে ফিরে এসে আবারও স্বপদে চাকরি করছেন। মাদ্রাসার সুপার মাওলানা রেজাউল ইসলাম টাকার বিনিময়ে তাকে ওই চাকরিতে বহাল করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকার তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আলতাফ হোসেন ১২ বছর আগে চলে যাওয়ার পর ওই পদে আব্দুল মালেক নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া হয়। আব্দুল মালেক গত ৭ বছর যাবত ওই পদে চাকরি করেন। আলতাফ হোসেন পুলিশের ভয়ে পালিয়ে ভারতে গিয়ে ১২ বছর বসবাস করে সম্প্রতি বাড়ি ফিরে আসেন। এসেই মাদ্রাসা সুপারের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে মালেকের চাকরি সনদ জাল অভিযোগ এনে তাকে কৌশলে চাকরি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। ওই পদে পুনরায় আলতাফ হোসেনকে অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে স্বপদে বহাল করানো হয়েছে। মাদ্রাসা সুপার রেজাউল ইসলাম জানান, পূর্বের কমিটির নিকট আলতাফ স্বপদে বহাল করতে একটা আবেদন করেন। কমিটি তাকে বহাল করে গেছে। আমি তার কাছ থেকে কোন টাকা-পয়সা নেইনি। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, আমাকে না জানিয়ে সুপার ব্যক্তি উদ্যোগে আলতাফ হোসেনকে তার পূর্বের পদে কোনপ্রকার নিয়োগ বোর্ড না করেই বহাল করেছেন। অথচ তার পদ শূন্য করেই নিয়মতান্ত্রিকভাবে আব্দুল মালেককে তার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, ১২-১৩ বছর আগে যে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যায় তাকে ওই পদে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। আলতাফ হোসেনকে বহাল করার কাগজপত্রে স্বাক্ষর করানোর জন্য সুপার এনেছিলেন, আমি তাতে স্বাক্ষর করিনি।
মৃধারহাট-ভেদুরিয়া ফেরিঘাট নির্মাণ হয়নি আজও
সাবেক মন্ত্রী রাজ্জাক প্রতিশ্রুত
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও জেলার অবহেলিত মুলাদী উপজেলার জয়ন্তী নদীর মৃধারহাট ও ভেদুরিয়া এলাকায় আজও নির্মিত হয়নি ফেরিঘাট। ঢাকা, শরীয়তপুরসহ অন্যান্য জেলার সঙ্গে মুলাদীবাসীর সহজ যোগাযোগের মাধ্যমে জীবনমানের উন্নতি সাধনের জন্য ঘাট নির্মাণসহ ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সাবেক পানি সম্পদমন্ত্রী (প্রয়াত) আব্দুর রাজ্জাক।
স্থানীয়রা জানান, সাবেক মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুলাদীর মৃধারহাট অংশে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে কার্পেটিং সড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করা সত্ত্বেও দীর্ঘদিনেও ঘাট নির্মাণসহ ফেরি চলাচল শুরু করেনি। ফলে একমাত্র সড়ক পথে সহজ যোগাযোগের অভাবে এখনও আলোর নিচে অন্ধকারে রয়ে গেছেন মুলাদীর প্রত্যন্ত এলাকার কয়েক লাখ বাসিন্দা। তাদের জীবনমানের হয়নি কোন উন্নয়ন। যাতায়াতের জন্য একমাত্র নদীপথই তাদের ভরসা।
মুলাদীর চরকালেখা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বজলুর রহমান খান জানান, মুলাদী উপজেলার সীমান্তবর্তী কয়েকটি ইউনিয়ন ও শরীয়তপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঘোষেরহাটসহ অন্যান্য এলাকার কয়েক লাখ বাসিন্দার ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান বাধা জয়ন্তী নদীর মুলাদীর মৃধারহাট ও ৩৬ ভেদুরিয়া নদী।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: