ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নেপাল ২-১ বাংলাদেশ

আত্মঘাতী গোলে হার বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ২৫ আগস্ট ২০১৫

আত্মঘাতী গোলে হার বাংলাদেশের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অল নেপাল ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ২০-২৯ আগস্ট পর্যন্ত নেপালের ললিতপুরে চলছে ‘সাফ অনুর্ধ ১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ’ ফুটবলের প্রথম আসর। এতে অংশ নিেেচ্ছ সাফ অঞ্চলের ছয় দেশ। খেলা হচ্ছে দুটি গ্রুপে। ‘এ’ গ্রুপে আছে স্বাগতিক নেপাল, বাংলাদেশ এবং ভুটান। আর ‘বি’ গ্রুপে আছে মালদ্বীপ, ভারত ও আফগানিস্তান। সোমবার ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২-১ গোলে হেরে গেছে স্বাগতিক নেপালের কাছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবেই, কারণ খেলা শেষ হওয়ার মিনিটখানেক আগে আত্মঘাতী গোল হজম করে বাংলাদেশ! তাদের জন্য আরও দুঃখের বিষয়, ম্যাচের প্রথম গোলটি করেছিল তারাই (প্রথমার্ধে ম্যাচের স্কোর ছিল ১-১)। অবশ্য এই হারে এখানেই শেষ হচ্ছে না বাংলাদেশ দলের সাফ অভিযান। আগেই সেমিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল তারা। এখন নেপালের কাছে হেরে হলো গ্রুপ রানার্সআপ। নেপাল হলো অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা ৩-১ গোলে হারিয়েছিল ভুটানকে। আর বাংলাদেশ ভুটানকে হারিয়েছিল ২-০ গোলে। তবে সোমবারের ম্যাচে নেপালের সঙ্গে ড্র করলেও গ্রুপ রানার্সআপই হতে হতো বাংলাদেশকে। কেননা, তাদের চেয়ে নেপালই গোল গড়ে এগিয়ে ছিল। প্রথম সেমিফাইনাল হবে ২৭ আগস্ট দুপুর সোয়া ১২টায়। একইদিন বিকেল পৌনে ৪টায় হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচ। একদিন বিরতি দিয়ে ২৯ আগস্ট দুপুর সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল খেলা। যদি কোন অঘটন না ঘটে, তাহলে দ্বিতীয় সেমিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছে ভারত। ‘বি’ গ্রুপে ভারতই আপাতত আছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। প্রথম ম্যাচে তারা আফগানিস্তানকে হারিয়েছে ২-০ গোলে। আফগানিস্তান আবার মালদ্বীপকে হারিয়েছে ৩-১ গোলে। মঙ্গলবার ভারত যদি মালদ্বীপের সঙ্গে কমপক্ষে ড্র করে, তাহলেই তারা অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে। আর আফগানিস্তান হবে গ্রুপ রানার্সআপ, যারা প্রথম সেমিতে খেলতে পারে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে। নেপালের ললিতপুরে অনুষ্ঠিত সোমবারে নেপাল-বাংলাদেশ ম্যাচটি ছিল উপভোগ্য ও দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। উভয়দলই সমান আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করে খেলে। ম্যাচে প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায় বাংলাদেশই। ১১ মিনিটে নেপালী ডিফেন্ডারদের ব্যর্থতায় ডানপ্রান্তে ডি-বক্সের ভেতর বল পান রোহিত সরকার। তিনি বল ডান পায়ের কোনাকুনি শটে পরাস্ত করেন নেপালী গোলরক্ষকে এবং মেতে ওঠেন গোলের উল্লাসে। এগিয়ে যায় বাংলাদেশ (১-০)। কিন্তু বেশিক্ষণ এই লিড ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশের যুবারা। ১৮ মিনিটেই সমতা নিয়ে আসে তারা। পেয়ে যায় পেনাল্টি। আর তা থেকে সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি অঞ্জন বিস্টা (১-১)। দ্বিতীয়ার্ধেও উভয়দল একাধিকবার গোল করার সুযোগ হাতছাড়া করে। একসময় যখন মনে হচ্ছিল ড্রতেই পর্যবসিত হতে যাচ্ছে ম্যাচটি, তখনই নেপালকে গোল উপহার দেয় বাংলাদেশ! হ্যাঁ, উপহারই বটে। তখন চলছে ইনজুরি টাইম (৯০+৩ মিনিট)। কাউন্টার এ্যাটাক করে নেপাল। বল পেয়ে ফরোয়ার্ড বিশ্বাস ডি-বক্সে ঢুকে পড়ার সময় তাকে ফাউর করেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা। রেফারি হলুদ কার্ড দেখানে বাদশাকে এবং নেপালের পক্ষে ফ্রিকিক দেন। সেই ফ্রিকিকের বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টো দলের জন্য মহাবিপদ ডেকে আনেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার মোহাম্মদ ইমন। তার পায়ে লেগে বল জড়িয়ে যায় নিজেদের জালে (১-২)! উল্লাসে ফেটে পড়ে স্বাগতিক দল। এর মিনিটখানেক পর খেলা শেষ হয়ে গেলে হতাশায় মাঠ ছাড়ে সাইফুল বারী টিটুর যুবা শিষ্যরা। নেপাল যাওয়ার আগে অনুর্ধ ১৯ দল দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে। দ্বিতীয় ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের রিজার্ভ বেঞ্চের সঙ্গে।
×