ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোহাম্মদপুরে আ’লীগ নেতা খুনের ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৫ আগস্ট ২০১৫

মোহাম্মদপুরে আ’লীগ নেতা খুনের ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত রবিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, মেয়েদের উত্ত্যক্ত ও ছিনতাইয়ে জড়িত স্থানীয় বখাটে যুবকদের বাঁধা দেয়া এবং সঙ্গে থাকা ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিতেই কুপিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল আহমেদকে হত্যা করা হতে পারে। হত্যার ঘটনায় এজাহারনামীয় অন্যতম আসামি মোহাম্মদপুরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মেয়েদের উত্ত্যক্তকারী, মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী মনিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি মনির ধর্ষণের মামলায় জামিনে কারামুক্ত হয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। সোহেল হত্যা মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। রবিবার রাত ১০টার দিকে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যানের পাশে ফোর ব্রাদার্স গার্মেন্টসের সামনে সোহেল আহমেদকে (৩৫) সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। রাত সোয়া এগারোটার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেলের মৃত্যু হয়। নিহত সোহল ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ১০০ নম্বর ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মাদারীপুর জেলা সদরের শিলারচর গ্রামের আবদুল মান্নান বালির ছেলে ছিলেন সোহেল। ভাড়ায় বসবাস করছিলেন মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের ২ নম্বর সড়কের একটি বাসায়। নিহতের স্ত্রী ছাড়াও এক সন্তান রয়েছে। সোহেলের বন্ধু সুমন জানান, বাসার পাশে একটি মুদি দোকান আছে সোহেলের। বাসার পাশেই ওই ফোর ব্রাদার্স গার্মেন্টস অবস্থিত। গার্মেন্টসের নারী কর্মীরা রাতে ফেরার পথে স্থানীয় কতিপয় যুবক কর্তৃক উত্ত্যক্তের শিকার হতেন। পাশাপাশি ছিনতাই করত ওই যুবকরা। এ সব কাজে বাঁধা দিতেন নিহত সোহেল। রবিবার রাতে এমনই এক ছিনতাইয়ের ঘটনার সময় বাঁধা দিতে গেলে মনির, বদরুল, শরীফসহ ৭ থেকে ৮ বখাটে যুবক সোহেলকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করলে পরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৮ জনকে এজাহারনামীয় এবং বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় নিহতের পরিবারের তরফ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সোহেল মাল্টিপারপাস ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ছাড়াও গার্মেন্টেসের মেয়েদের উত্ত্যক্ত ও ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ার কারণে আসামিরা হত্যাকা-ের ঘটনাটি ঘটাতে পারে। পুুলিশ জানায়, ঘটনার সময় সোহেলের কাছে ৬০ হাজার টাকা ছিল। সেই টাকা নিতেও সোহেলকে হত্যা করা হতে পারে। মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন মীর জনকণ্ঠকে বলেন, নিহত সোহেল ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার ১০০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। সোহেল ছিনতাই, মেয়েদের উত্ত্যক্তসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকা-ে বাধা দিত। এছাড়া তিনি মাল্টিপারপাস ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ব্যবসায়িক, ব্যক্তিগত, উত্ত্যক্ত ও ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ার সূত্র ধরে হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার ভোরে মনির (২৫) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে নিয়ে অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মনির ওই এলাকার বখাটে যুবক হিসেবে পরিচিত। মাদক ছাড়াও নানা অপরাধে জড়িত সে। সম্প্রতি এক ধর্ষণের মামলা জেল খেটে জামিনে কারামুক্ত হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
×