ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আবারও ‘বিদ্যুত বোল্ট’-জেসিকার শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৪ আগস্ট ২০১৫

আবারও ‘বিদ্যুত বোল্ট’-জেসিকার শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা ২৮ রেস জয়, মৌসুমের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান এবং ১০ সেকেন্ডের নিচে টাইমিং করা নিয়ে বোল্টের সংগ্রাম-এ সবই কথা বলছিল জাস্টিন গ্যাটলিনের পক্ষে। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন বেজিংয়ের বার্ডস নেস্ট স্টেডিয়াম দেখবে সর্বকালের সবচেয়ে গতিধর মানব, বিশ্বরেকর্ডধারী উসাইন বোল্টের পতন। কিন্তু বিদ্যুত যার নাম তাকে হারানো যায় না। সেটা প্রমাণ করে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে বিশ্বসেরার মুকুট ধরে রাখলেন এ জ্যামাইকান স্প্রিন্টার। নিজের মৌসুম সেরা ৯.৭৯ সেকেন্ড টাইমিং গড়ে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপসের স্বর্ণ জিতলেন। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ১০ সেকেন্ডের ক্লাইম্যাক্সে বোল্টের চরম প্রতিপক্ষ মার্কিন তারকা গ্যাটলিন হেরে যান। তিনি মাত্র ০.০১ সেকেন্ড পিছিয়ে থেকে (৯.৮০) জিতেছেন রৌপ্য। ব্রোঞ্জ ভাগাভাগি করেছেন কানাডার আন্দ্রে ডি গ্রাসি ও যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেভন ব্রোমেল ৯.৯২ সেকেন্ড সময় নিয়ে। একই দিনে হেপ্টাথলন শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার করেছেন ব্রিটিশ এ্যাথলেট জেসিকা ইন্নিস হিল। এবার বিশ্ব আসরের আগে ইনজুরি আর অসুস্থতায় আক্রান্ত একটি বছর কাটিয়েছিলেন বোল্ট। খুব কমই দৌড়েছেন। মাস দুয়েক আগে নিজের মৌসুম সেরা ৯.৮৭ সেকেন্ড টাইমিং গড়েছিলেন। কিন্তু বিশ্ব আসর শুরুর আগে জাপানে দলের সঙ্গে প্রাথমিক প্রস্তুতি ক্যাম্পেও ছিলেন না। ফাইনালের মাত্র ২ ঘণ্টা আগে হওয়া সেমিফাইনালেও গতির ঝড় তুলতে পারেননি। ৯.৯৬ সেকেন্ড টাইমিং নিয়ে ফাইনালে ওঠেন বোল্ট। অপরদিকে, গ্যাটলিনের গেছে স্বর্ণ সময়। টানা ২৮ রেস জিতেছেন এবং সেমিতে ৯.৭৭ সেকেন্ড টাইমিং। মৌসুম সেরা ৯.৭৪ সেকেন্ড ছাড়াও এ বছর দুইবার তিনি ৯.৭৫ সেকেন্ড নিয়ে শেষ করেছেন ১০০ মিটার। কিন্তু ফাইনাল তো অন্য এক স্নায়ুচাপ। বিশ্বের সেরা ৮ স্প্রিন্টারের মধ্যে ১০ সেকেন্ডের (বিশ্বের ক্ষুদ্রতম প্রতিযোগিতা) ক্লাইম্যাক্সে জিততে পারেন যে কেউ। সেখানেই পারলেন না গ্যাটলিন। হেরে গেলেন তার চরম প্রতিপক্ষ বোল্টের কাছে। ৭ বছর আগে বার্ডস নেস্টে হওয়া অলিম্পিকে এ জ্যামাইকান গতি তারকার টাইমিং ছিল ৯.৬৯ (সে সময়ের বিশ্বরেকর্ড)। এবার ০.১০ সেকেন্ড বেশি লেগেছে, কিন্তু জয়ের সোনার পদক তার গলাতেই থেকে গেল। স্বদেশী আসাফা পাওয়েল ষষ্ঠ হন ১০.০০৮ এবং পঞ্চম হন আরেক চরম প্রতিপক্ষ টাইসন গে ১০.০০৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের আরেক তারকা মাইক রজার্স ৯.৯৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে চতুর্থ স্থান পান। অপরদিকে হেপ্টাথলনে ২০১১ বিশ্ব আসরে শ্রেষ্ঠত্ব হারানো জেসিকা ২০১৩ সালেও ব্যর্থ হয়েছিলেন, কিন্তু আবার স্বর্ণ জিতেছেন তিনি। সবমিলিয়ে মৌসুম সেরা ৬৬৬৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনি স্বর্ণ, ৬৫৫৪ পয়েন্ট নিয়ে কানাডার ব্রায়ানি থিসেন ইটন রৌপ্য এবং লাটভিয়ার লরা ইকাউনিস আডমিডিনা ব্রোঞ্জ জয় করেন।
×