ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘মিনারেল ওয়াটার’ যখন ওয়াসার নোংরা পানি

প্রকাশিত: ০৮:২৭, ২৩ আগস্ট ২০১৫

‘মিনারেল ওয়াটার’ যখন ওয়াসার নোংরা পানি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ওয়াসার নিম্নমানের দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা ও নোংরা পানি কোনপ্রকার পরিশোধন ছাড়াই জারে ভরে সেটার নাম দেয়া হয় মিনারেল ওয়াটার। সে পানি আবার কিনে পান করেন ওয়াসার কর্মকর্তারাই। এমনই এক বিচিত্র অপরাধের দায়ে জেল জরিমানা করা হয়েছে। র‌্যাব পুরনো ঢাকার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে হানা দিয়ে এমনই কা- আবিষ্কার করে। এ অপরাধে যাদের জেল জরিমানা করা হয়েছে তারা হলেন-আর কে মিশনের ভাইটাল ড্রিংকিং ওয়াটারের ম্যানেজার মোঃ মামুন মিয়া (২০), সাবরিনা ড্রিংকিং ওয়াটারের মালিক-মোঃ হারুন অর রশিদ (৩৫), আপলাইন ফ্রেস ওয়াটারের মালিক সালমান এফ রহমান (৩০), বিক্রমপুর প্রোডাক্টসের সোহেল রানা (১৯) ও তানজীল আহম্মেদ (১৯)। তাদের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদ- ও আর্থিক জরিমানা করেন র‌্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযান পরিচালনার সময় আদালত দেখতে পান যে, প্রত্যেকটি পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াসার সাপ্লাই লাইন থেকে মেশিন দিয়ে পানি টেনে ভর্তি করা হচ্ছে শত শত জার। প্রত্যেকটি জারে শৈবাল আর আয়রনের স্তরের কারণে জারগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। বিএসটিআই ও ঢাকা ওয়াসার অনুমোদন ছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া পানি বাজারজাত করার অপরাধে চারটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে ইতোপূর্বে বিভিন্ন মেয়াদে ভ্রাম্যমাণ আদালত দ- আরোপ করা হয়। আদালত পরিচালনাকালীন বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায় যে, বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, খাবার হোটেল এবং ব্যক্তি মালিকানার প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন খুচরা দোকানে পানি সরবরাহ করত এ চক্র। এসব পানি পান করে মানুষ ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়সহ বিভিন্ন ধরনের পেটের পীড়ায় ভোগে। ফিল্টারিং মেশিন ও নোংরা ড্রাম জব্দ করা হয়েছে এবং বোতলজাত ৬০০ পানির জার ধ্বংস করা হয়েছে। ভাইটাল ড্রিংকিং ওয়াটার, বিক্রমপুর প্রোডাক্টসের মালিক পলাতক থাকায় তাকে সাজা প্রদান বা জরিমানা করা সম্ভব হয়নি।
×