ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রবীন্দ্রনাথ ও ইয়েট্স খামখেয়ালী সভায়

প্রকাশিত: ০৭:২০, ২৩ আগস্ট ২০১৫

রবীন্দ্রনাথ ও ইয়েট্স খামখেয়ালী সভায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘খামখেয়ালী সভা’র ২০তম আড্ডা হলো শুক্রবার। প্রবন্ধ উপস্থাপনা, প্রশ্নোত্তর আর রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশনা ছিল এ আড্ডার অন্যতম বিষয়। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে এদিন বিকেল থেকে শুরু হয় এ প্রাণবন্ত আয়োজন। মূল আলোচক ছিলেন অধ্যাপক ড. শফি আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সভার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আল্লাদিত্তা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। ‘প্রতীচির সাথে প্রাচ্যের মেলবন্ধন : প্রসঙ্গ রবীন্দ্রনাথ ও ইয়েট্স’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সভার সদস্য টাঙ্গাইল সরকারী সা’দত কলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক শাকিলা পারভীন বীথি। তাঁর প্রবন্ধে উঠে আসে জটিল আবর্তে মুখোমুখি হওয়া দুটি মানুষ রবীন্দ্রনাথ ও ইয়েট্স- যাদের পথ বেঁধে দিয়েছিল বন্ধনহীন গ্রন্থি। এক অবিচ্ছন্নতার যোগসূত্রে এক কবি দেখেছিলেন অপর কবির মহিমা পরশ বিস্ময়ে, যার সূত্রপাত ১৯১২ সালের ২৭ জুন তাদের প্রথম সাক্ষাতে। প্রবন্ধ পাঠের পর শুরু হয় প্রশ্ন-উত্তরের পালা। পরে আলোচনায় অংশ নেন ড. শফি আহমেদ। আলোচনার এক অংশে তিনি বলেন, আমি রবীন্দ্রনাথকে ইয়েট্সের চেয়ে অনেক বড় কবি বলে মনে করি। ইয়েট্স চাইতেন অভিজাত রাষ্ট্র ও সমাজ কায়েম করতে কিন্তু রবীন্দ্রনাথ এ জায়গা থেকে সরে এসেছিলেন। মানব মুক্তি বা চিত্ত মুক্তিই ছিল তাঁর চিন্তা চেতনা ও লেখনীতে। তাঁর চেয়ে প্রগতিশীল মানুষ একেবারেই বিরল। অনেকে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধর্মীয় চিন্তায় বেশি নিমগ্ন হতে থাকে কিন্তু রবীন্দ্রনাথ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধর্ম থেকে সরে এসেছেন। বিশ্বকে নিজের মধ্যে আনতে পারতেন বলেই তিনি বিশ্ব কবি। তাঁর নোবেল পুরস্কার পাওয়া ছিল তাৎক্ষণিক বিষয়। আলোচনার পর শুরু হয় গান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন দেশের দু’জন প্রথিতযশা রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। তারা হলেন-শিল্পী আহমেদ শাকিল হাশমি ও শিল্পী মাহবুবা কামাল বিনু। ‘তুমি এপার ওপার করো কেন খেয়ার নেয়ে’ গানটি দিয়ে পরিবেশনা শুরু করেন শিল্পী আহমেদ শাকিল হাশমি। তিনি একে একে পরিবেশন করেন ‘দু’জনে দেখা হলো’ ও ‘আমি চিনিগো চিনি তোমারে’। এর পরের পরিবেশনা ছিল শিল্পী মাহবুবা কামাল বিনুর। তিনি পর পর পরিবেশন করেন ‘ধায় যেন মোর সকল ভালবাসা’, ‘কেন চোখের জলে ভিজিয়ে দিলেম না’ ও ‘আজ কিছুতেই সয়না মনের ভার’। এভাবে একবার বিনু ও একবার হাশমি একের পর এক রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন দীর্ঘক্ষণ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ড. মোহাম্মদ আজম।
×